০৩:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৬ বছরের গাজার অবরোধ ভাঙার চেষ্টায় আন্তর্জাতিক ত্রাণ মিশন!

গাজায় সন্ত্রাসী ইসরাইলের চাপিয়ে দেওয়া ১৬ বছরের অবরোধ ভাঙতে জাহাজভর্তি ত্রাণ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছেন সুইডেনের পরিবেশকর্মী গ্রেটা থানবার্গ এবং তার আন্তর্জাতিক সহযোগীরা। রোববার (১ জুন) ইতালির সিসিলি দ্বীপের কাতানিয়া বন্দর থেকে “ম্যাডেলিন” নামের একটি ত্রাণবাহী জাহাজে করে রওনা হন তারা। এই ত্রাণ অভিযানটি পরিচালনা করছে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন নামক একটি আন্তর্জাতিক দাতব্য জোট।

গ্রেটার সঙ্গে রয়েছেন আইরিশ অভিনেতা লিয়াম কানিংহাম, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য রিমা হাসানসহ মোট ১১ জন আন্তর্জাতিক অধিকারকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক। তারা জানিয়েছেন, ২০০৭ সাল থেকে চলমান গাজা অবরোধ ভাঙতে এ মিশন কেবল প্রতীকী নয়, বাস্তবিকভাবেই মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর গুরুত্বপূর্ণ প্রয়াস।

গ্রেটা থানবার্গ বলেন, “গণহত্যার মুখে থাকা গাজাবাসীর প্রতি বিশ্বের নিঃস্তব্ধতা অমানবিক। আমরা সেখানে সহানুভূতির বার্তা এবং বাস্তব সাহায্য নিয়ে যাচ্ছি।”

ফ্লোটিলা দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যদি কোনো বাধা না আসে, তবে সাত দিনের মধ্যে তারা গাজায় পৌঁছাবেন। তবে ইসরায়েল অতীতেও এ ধরনের ত্রাণবাহী জাহাজে হামলা ও বাধা দিয়েছে, যেমন ২০১০ সালের মার্মারা ফ্লোটিলায় সংঘটিত রক্তক্ষয়ী হামলা।

ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “এই অবরোধ আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। আমাদের এই যাত্রা প্রতিরোধ নয়, বরং মানবতা রক্ষার একটি প্রচেষ্টা।”

এই মিশন আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে এবং নতুন করে গাজার সংকটের দিকে মনোযোগ ফেরাতে বাধ্য করছে বিশ্ব বিবেককে।

 

ট্যাগ

১৬ বছরের গাজার অবরোধ ভাঙার চেষ্টায় আন্তর্জাতিক ত্রাণ মিশন!

প্রকাশিত হয়েছে: ১১:২২:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

গাজায় সন্ত্রাসী ইসরাইলের চাপিয়ে দেওয়া ১৬ বছরের অবরোধ ভাঙতে জাহাজভর্তি ত্রাণ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছেন সুইডেনের পরিবেশকর্মী গ্রেটা থানবার্গ এবং তার আন্তর্জাতিক সহযোগীরা। রোববার (১ জুন) ইতালির সিসিলি দ্বীপের কাতানিয়া বন্দর থেকে “ম্যাডেলিন” নামের একটি ত্রাণবাহী জাহাজে করে রওনা হন তারা। এই ত্রাণ অভিযানটি পরিচালনা করছে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন নামক একটি আন্তর্জাতিক দাতব্য জোট।

গ্রেটার সঙ্গে রয়েছেন আইরিশ অভিনেতা লিয়াম কানিংহাম, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য রিমা হাসানসহ মোট ১১ জন আন্তর্জাতিক অধিকারকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক। তারা জানিয়েছেন, ২০০৭ সাল থেকে চলমান গাজা অবরোধ ভাঙতে এ মিশন কেবল প্রতীকী নয়, বাস্তবিকভাবেই মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর গুরুত্বপূর্ণ প্রয়াস।

গ্রেটা থানবার্গ বলেন, “গণহত্যার মুখে থাকা গাজাবাসীর প্রতি বিশ্বের নিঃস্তব্ধতা অমানবিক। আমরা সেখানে সহানুভূতির বার্তা এবং বাস্তব সাহায্য নিয়ে যাচ্ছি।”

ফ্লোটিলা দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যদি কোনো বাধা না আসে, তবে সাত দিনের মধ্যে তারা গাজায় পৌঁছাবেন। তবে ইসরায়েল অতীতেও এ ধরনের ত্রাণবাহী জাহাজে হামলা ও বাধা দিয়েছে, যেমন ২০১০ সালের মার্মারা ফ্লোটিলায় সংঘটিত রক্তক্ষয়ী হামলা।

ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “এই অবরোধ আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। আমাদের এই যাত্রা প্রতিরোধ নয়, বরং মানবতা রক্ষার একটি প্রচেষ্টা।”

এই মিশন আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে এবং নতুন করে গাজার সংকটের দিকে মনোযোগ ফেরাতে বাধ্য করছে বিশ্ব বিবেককে।