হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর প্রাক্কালে মক্কার আকাশপ্রান্তর আজ মুখরিত “লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক” ধ্বনিতে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত লাখো হাজির কণ্ঠে উচ্চারিত হচ্ছে এ মহিমান্বিত তালবিয়া— যা আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণের প্রতীক।

“লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক”— অর্থাৎ “হে আল্লাহ! আমি হাজির, আমি হাজির”— এই বাক্য শুধু একটি উচ্চারণ নয়, এটি এক আত্মিক আহ্বানে সাড়া দেওয়া, এক অঙ্গীকার, এক আত্মসমর্পণ।

সৌদি হজ কর্তৃপক্ষ জানায়, বাইরের দেশ থেকে আগত হাজিদের আগমন ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অভ্যন্তরীণ হাজিরাও মক্কায় এসে পৌঁছাচ্ছেন। কাবা শরীফে তারা তাওয়াফে কুদুমের মাধ্যমে হজের সূচনায় অংশ নিচ্ছেন।

এ বছর প্রায় ১০ লাখের বেশি হাজি হজে অংশ নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। ইহরাম বাঁধার পর তালবিয়া পাঠ করা হজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী, এই তালবিয়া পাঠের মাধ্যমে হাজিরা ঘোষণা দেন যে, তারা আল্লাহর ডাকে সাড়া দিতে এসেছেন, তাঁর কোনো শরীক নেই, সমস্ত প্রশংসা, নিয়ামত ও রাজত্ব একমাত্র আল্লাহর।

📖 হাদীস অনুযায়ী,

“যে ব্যক্তি অন্তর থেকে তালবিয়া পাঠ করে, আকাশ ও জমিনে তা প্রতিধ্বনিত হয়।” (তিরমিযী: ৮২৮)

হজের এই মুহূর্তগুলোতে লাখো মানুষের মুখে একই বাক্য, একই বিশ্বাস, একই অনুভব— যেন পৃথিবীর সব প্রান্ত থেকে একত্রিত হওয়া বান্দাদের একক আরাধনার প্রতিচ্ছবি।

🕌 লাব্বাইক... লাব্বাইক...— এই পবিত্র ধ্বনি যতবার উচ্চারিত হয়, ততবারই প্রতিধ্বনিত হয় বান্দার একনিষ্ঠ ভালোবাসা, আনুগত্য ও আত্মনিবেদন।