
মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে আজ (৭ জিলহজ, মঙ্গলবার) শুরু হলো পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। ইতোমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মিনায় পৌঁছাতে শুরু করেছেন। মিনার উপত্যকা মুখরিত হয়ে উঠেছে “লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক” ধ্বনিতে।
নিয়ম অনুযায়ী, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারাম বা নিজ নিজ আবাসন থেকে ইহরাম বেঁধে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে মিনার উদ্দেশে রওনা হন হাজিরা। সৌদি আরবের হজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রায় চার লক্ষাধিক মুসল্লি মিনায় অবস্থান করছেন।
হজের নিয়ম অনুযায়ী, মিনায় রাত্রিযাপন শেষে আগামী ৯ জিলহজ (৫ জুন, বৃহস্পতিবার) আরাফাতের ময়দানে যাবেন হাজিরা, যেখানে প্রদান করা হবে হজের ঐতিহাসিক খুতবা। উল্লেখযোগ্যভাবে, এবারের খুতবা প্রদান করবেন সৌদি আরবের প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার শেখ সালেহ বিন হুমাইদ। তাকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ।
ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী, আরাফাতে অবস্থান করাকেই হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে গণ্য করা হয়। সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে হাজিরা রওনা হবেন মুজদালিফার পথে। সেখানে রাত যাপন ও রমি (শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ) এর জন্য পাথর সংগ্রহ করবেন।
পরদিন ১০ জিলহজ, ফজরের নামাজ আদায় করে হাজিরা ফিরে আসবেন মিনায়। সেদিনই অনুষ্ঠিত হবে বড় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, দমে শোকর বা কোরবানি, মাথা মুণ্ডন বা চুল ছাঁটা, কাবা শরিফে তওয়াফ এবং সাফা-মারওয়া সায়ি। এরপর তারা পুনরায় মিনায় ফিরে আসবেন।
১১ ও ১২ জিলহজ মিনায় অবস্থান করে হাজিরা তিনটি শয়তানকে (বড়, মধ্যম ও ছোট) প্রতিদিন ২১টি করে মোট ৬৩টি পাথর নিক্ষেপ করবেন। সবশেষে বিদায়ি তওয়াফের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে হজের এই মহান ইবাদতের আনুষ্ঠানিকতা।
এ বছর হজে অংশ নিচ্ছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ১৫ লাখ মুসল্লি। তাদের নির্বিঘ্ন হজ পালনের লক্ষ্যে সৌদি সরকার নিয়েছে কড়া নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধিসহ নানা প্রস্তুতি।