০৬:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“যে ব্যক্তি মানুষকে ধোঁকা দেয়, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।”

প্রতারণা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ: “যে ব্যক্তি ধোঁকা দেয়, সে আমাদের দলভুক্ত নয়”

ইসলামে সততা, বিশ্বস্ততা এবং ন্যায়পরায়ণতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গুণ হিসেবে বিবেচিত। একমাত্র ধর্মীয় চেতনাই নয়, সামাজিক সুস্থতা বজায় রাখার ক্ষেত্রেও এই গুণাবলি অপরিহার্য। এ বিষয়ে পবিত্র হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অত্যন্ত কঠোর ভাষায় সতর্ক করে বলেন—
“যে ব্যক্তি মানুষকে ধোঁকা দেয়, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।”
📚 (সহীহ মুসলিম, হাদীস: ১০১)

এই হাদীস থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, ইসলামে প্রতারণা করা শুধু একটি গুনাহ নয়, বরং এটি মুসলিম পরিচয়ের সম্পূর্ণ পরিপন্থী একটি আচরণ।

বর্তমান সমাজে প্রতারণা যেন একটি ছড়িয়ে পড়া ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। ব্যবসায়িক লেনদেনে প্রতারণা, চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, অনলাইন প্রতারণা, এমনকি শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতেও নানা ধরণের প্রতারকচক্র সক্রিয়। ইসলামের চোখে এইসব প্রতারকরা কেবল অপরাধী নয়, বরং তারা নবীজি (সা.)-এর উম্মতের প্রকৃত গণ্ডি থেকেও ছিটকে পড়ে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইসলামি নৈতিকতা চর্চার অভাবই সমাজে প্রতারণা, লোভ এবং আত্মকেন্দ্রিক মনোভাবকে উৎসাহিত করছে। একজন প্রকৃত মুসলমান কখনোই তার ভাই বা বোনকে ধোঁকা দিতে পারে না। রাসূলুল্লাহ (সা.) এর শিক্ষায় দেখা যায়, তিনি সর্বদা সততা ও সত্যবাদিতার উপর গুরুত্ব দিতেন এবং প্রতারণাকারীদের থেকে নিজেকে দূরে রাখতেন।

১. পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নৈতিক শিক্ষার চর্চা
২. ইসলামি মূল্যবোধ নিয়ে গণমাধ্যমে আলোচনা
৩. প্রতারকদের বিরুদ্ধে কঠোর সামাজিক ও আইনি ব্যবস্থা
৪. পবিত্র কুরআন ও হাদীসের আলোকে ব্যক্তিগত চরিত্র গঠনের উদ্যোগ

🕋 ইসলাম আমাদের শুধু ইবাদত শেখায় না, বরং মানবিক, ন্যায়পরায়ণ ও বিশ্বস্ত সমাজ গঠনের দিকনির্দেশনাও দেয়। প্রতারণা রোধ করতে হলে শুধুমাত্র আইন নয়, চাই ইসলামি আত্মসচেতনতা ও নৈতিকতার জাগরণ।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

“যে ব্যক্তি মানুষকে ধোঁকা দেয়, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।”

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:৫৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ জুন ২০২৫

প্রতারণা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ: “যে ব্যক্তি ধোঁকা দেয়, সে আমাদের দলভুক্ত নয়”

ইসলামে সততা, বিশ্বস্ততা এবং ন্যায়পরায়ণতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গুণ হিসেবে বিবেচিত। একমাত্র ধর্মীয় চেতনাই নয়, সামাজিক সুস্থতা বজায় রাখার ক্ষেত্রেও এই গুণাবলি অপরিহার্য। এ বিষয়ে পবিত্র হাদীসে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অত্যন্ত কঠোর ভাষায় সতর্ক করে বলেন—
“যে ব্যক্তি মানুষকে ধোঁকা দেয়, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।”
📚 (সহীহ মুসলিম, হাদীস: ১০১)

এই হাদীস থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, ইসলামে প্রতারণা করা শুধু একটি গুনাহ নয়, বরং এটি মুসলিম পরিচয়ের সম্পূর্ণ পরিপন্থী একটি আচরণ।

বর্তমান সমাজে প্রতারণা যেন একটি ছড়িয়ে পড়া ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। ব্যবসায়িক লেনদেনে প্রতারণা, চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, অনলাইন প্রতারণা, এমনকি শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতেও নানা ধরণের প্রতারকচক্র সক্রিয়। ইসলামের চোখে এইসব প্রতারকরা কেবল অপরাধী নয়, বরং তারা নবীজি (সা.)-এর উম্মতের প্রকৃত গণ্ডি থেকেও ছিটকে পড়ে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইসলামি নৈতিকতা চর্চার অভাবই সমাজে প্রতারণা, লোভ এবং আত্মকেন্দ্রিক মনোভাবকে উৎসাহিত করছে। একজন প্রকৃত মুসলমান কখনোই তার ভাই বা বোনকে ধোঁকা দিতে পারে না। রাসূলুল্লাহ (সা.) এর শিক্ষায় দেখা যায়, তিনি সর্বদা সততা ও সত্যবাদিতার উপর গুরুত্ব দিতেন এবং প্রতারণাকারীদের থেকে নিজেকে দূরে রাখতেন।

১. পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নৈতিক শিক্ষার চর্চা
২. ইসলামি মূল্যবোধ নিয়ে গণমাধ্যমে আলোচনা
৩. প্রতারকদের বিরুদ্ধে কঠোর সামাজিক ও আইনি ব্যবস্থা
৪. পবিত্র কুরআন ও হাদীসের আলোকে ব্যক্তিগত চরিত্র গঠনের উদ্যোগ

🕋 ইসলাম আমাদের শুধু ইবাদত শেখায় না, বরং মানবিক, ন্যায়পরায়ণ ও বিশ্বস্ত সমাজ গঠনের দিকনির্দেশনাও দেয়। প্রতারণা রোধ করতে হলে শুধুমাত্র আইন নয়, চাই ইসলামি আত্মসচেতনতা ও নৈতিকতার জাগরণ।