১১:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লস অ্যাঞ্জেলস জ্বলছে অভিবাসন বিরোধী অভিযানে

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলস শহর অভিবাসন বিরোধী অভিযানের জেরে টানা তৃতীয় দিনের মতো উত্তাল হয়ে উঠেছে। বিক্ষোভকারীরা শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছে, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেছে এবং যান চলাচলে স্থবিরতা সৃষ্টি করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয়েছে ন্যাশনাল গার্ডের দুই হাজার সদস্য।

লস অ্যাঞ্জেলস পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, কেন্দ্রস্থল ১০১ ফ্রিওয়েতে বিক্ষোভকারীদের ছোঁড়া বিভিন্ন বস্তুতে বেশ কয়েকটি পুলিশ গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে সড়কটি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিক্ষোভকারীদের ‘পেইড বিদ্রোহী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। নিজের সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “এরা প্রতিবাদকারী নয়, এরা সমস্যা সৃষ্টিকারী এবং বিদ্রোহী।”

তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম এবং লস অ্যাঞ্জেলস মেয়র কারেন ব্যাসের প্রতি কড়া সমালোচনা করে বলেন, “তাদের ব্যর্থতার জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।”

গভর্নর নিউসম ট্রাম্পের নির্দেশে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনকে ‘নজিরবিহীন ক্ষমতার অপব্যবহার’ বলে মন্তব্য করেছেন এবং তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এই পদক্ষেপ উত্তেজনা আরও বাড়াবে, শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে না।”

এদিকে ইউএস নর্দার্ন কমান্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রায় ৫০০ মেরিন সেনা লস অ্যাঞ্জেলসে মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে তারা আত্মরক্ষার নীতিমালা মেনে শক্তি প্রয়োগ করবে।

বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলসে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) এর সাম্প্রতিক অভিযানে। এতে ১১৮ জন অনিবন্ধিত অভিবাসীকে আটক করা হয়। অভিযানের নিন্দা জানিয়ে গভর্নর নিউসম বলেন, “এই ধরনের পদক্ষেপ মানবিকতার পরিপন্থী।”

লস অ্যাঞ্জেলসের মেয়র কারেন ব্যাস বিক্ষোভকারীদের প্রতি শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের দাবি জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা লস অ্যাঞ্জেলসবাসীর পাশে আছি। কিন্তু সহিংসতা আমাদের পথ নয়।”

পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। অভিবাসন নীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গভীর বিভক্তি আবারও প্রকাশ পাচ্ছে এই উত্তাল পরিস্থিতির মাধ্যমে। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয়, তা এখন গোটা দেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

ট্যাগ

লস অ্যাঞ্জেলস জ্বলছে অভিবাসন বিরোধী অভিযানে

প্রকাশিত হয়েছে: ০৫:০৮:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জুন ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলস শহর অভিবাসন বিরোধী অভিযানের জেরে টানা তৃতীয় দিনের মতো উত্তাল হয়ে উঠেছে। বিক্ষোভকারীরা শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছে, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেছে এবং যান চলাচলে স্থবিরতা সৃষ্টি করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয়েছে ন্যাশনাল গার্ডের দুই হাজার সদস্য।

লস অ্যাঞ্জেলস পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, কেন্দ্রস্থল ১০১ ফ্রিওয়েতে বিক্ষোভকারীদের ছোঁড়া বিভিন্ন বস্তুতে বেশ কয়েকটি পুলিশ গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে সড়কটি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিক্ষোভকারীদের ‘পেইড বিদ্রোহী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। নিজের সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “এরা প্রতিবাদকারী নয়, এরা সমস্যা সৃষ্টিকারী এবং বিদ্রোহী।”

তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম এবং লস অ্যাঞ্জেলস মেয়র কারেন ব্যাসের প্রতি কড়া সমালোচনা করে বলেন, “তাদের ব্যর্থতার জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।”

গভর্নর নিউসম ট্রাম্পের নির্দেশে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনকে ‘নজিরবিহীন ক্ষমতার অপব্যবহার’ বলে মন্তব্য করেছেন এবং তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এই পদক্ষেপ উত্তেজনা আরও বাড়াবে, শান্তি প্রতিষ্ঠা করবে না।”

এদিকে ইউএস নর্দার্ন কমান্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রায় ৫০০ মেরিন সেনা লস অ্যাঞ্জেলসে মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে তারা আত্মরক্ষার নীতিমালা মেনে শক্তি প্রয়োগ করবে।

বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলসে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) এর সাম্প্রতিক অভিযানে। এতে ১১৮ জন অনিবন্ধিত অভিবাসীকে আটক করা হয়। অভিযানের নিন্দা জানিয়ে গভর্নর নিউসম বলেন, “এই ধরনের পদক্ষেপ মানবিকতার পরিপন্থী।”

লস অ্যাঞ্জেলসের মেয়র কারেন ব্যাস বিক্ষোভকারীদের প্রতি শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের দাবি জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা লস অ্যাঞ্জেলসবাসীর পাশে আছি। কিন্তু সহিংসতা আমাদের পথ নয়।”

পরিস্থিতি ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। অভিবাসন নীতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে গভীর বিভক্তি আবারও প্রকাশ পাচ্ছে এই উত্তাল পরিস্থিতির মাধ্যমে। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয়, তা এখন গোটা দেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।