
যুক্তরাজ্যে সরকারি সফরে থাকা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ১৩ জুন (শুক্রবার) লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন। সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত চলবে এই বৈঠক।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ (মঙ্গলবার) গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান, “প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি যেই হোটেলে রয়েছেন, সেখানেই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।”
মির্জা ফখরুল আরও জানান, “বৈঠকের ঠিক পরে লন্ডনে হাউজ অব কমন্সের ডেপুটি লিডার অব দ্য হাউসের সঙ্গেও তারেক রহমানের একটি সাক্ষাৎ হবে। এরপর অন্যান্য নেতাদের সঙ্গেও দেখা হবে। পুরো ভেন্যু একই — হোটেল ডোরচেস্টার।”
চার দিনের সরকারি সফরে সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা ত্যাগ করেন মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টার দিকে তিনি লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
২০০৮ সালের জরুরি অবস্থার সময় কারামুক্ত হয়ে সপরিবারে লন্ডনে গিয়ে বসবাস শুরু করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান। এরপর আওয়ামী লীগের শাসনামলে তার অনুপস্থিতিতে পাঁচটি মামলায় সাজা হন এবং দায়ের হয় শতাধিক মামলা। বর্তমানে তাকে ‘পলাতক আসামি’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
পাসপোর্ট মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারেককে যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে হয়। ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুও, মায়ের কারাগারে যাওয়ার মতো দুঃসময়েও দেশে ফেরার সুযোগ পাননি তিনি।
জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে এবং তাকে সাজা দেওয়া মামলাগুলোতে খালাস পেয়েছেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান।
খালেদা জিয়া এ বছর চিকিৎসার জন্য লন্ডন সফর করেন এবং সেখানে তারেকের বাসাতেই অবস্থান করেন। তারেকের স্ত্রী জুবাইদা রহমানও দীর্ঘ ১৭ বছর পর গত মে মাসে ঢাকায় যান। তবে তারেক রহমানের দেশে ফিরার সময় নির্দিষ্ট নয়। বিএনপি নেতারা বলছেন, ‘সময় হলেই’ তিনি দেশে ফিরবেন।
তবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে তারেক রহমান অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দলের নিয়মিত বৈঠক পরিচালনা করে যাচ্ছেন এবং দলের কার্যক্রমে সক্রিয় রয়েছেন।