১১:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জোটে ফাটল, সংসদ ভাঙার পথে ইসরায়েল – চাপে নেতানিয়াহু

গাজা যুদ্ধ, সামরিক নীতিতে বিভাজন এবং জোটভিত্তিক দ্বন্দ্ব—সব মিলিয়ে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আজ বুধবার ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক ভোটাভুটি হতে পারে, যেখানে বিরোধী দল এবং নেতানিয়াহুর নিজ জোটের কয়েকটি শরিক দল সংসদ ভেঙে দেওয়ার পক্ষে ভোট দিতে পারে।

সরকার পতনের মূল ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘অতি-গোঁড়া ইহুদি সেমিনারি শিক্ষার্থীদের’ সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্তি। নেতানিয়াহুর জোটভুক্ত কট্টরপন্থি ধর্মীয় দলগুলো চাইছে তাদের শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক সামরিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।

অন্যদিকে বিরোধী দলসহ নেসেটের একটি বড় অংশ এই অব্যাহতির বিপক্ষে। তারা চায়, সব ইসরায়েলি নাগরিকের মতো ধর্মীয় শিক্ষার্থীদেরও সামরিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।

যুদ্ধের কারণে সেনা চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এই ইস্যুটি নতুন করে সামনে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে এখন নেতানিয়াহু নিজেই চরম চাপে পড়েছেন।

নেতানিয়াহু সরকারবিরোধী প্রস্তাবে আজ যদি ভোট হয় এবং তা পাস হয়, তাহলে সরকার পতনের দিকে এটি হবে প্রথম পদক্ষেপ। এরপর প্রয়োজন হবে আরও তিনটি ধাপ—যার মধ্যে রয়েছে পরবর্তী ভোটাভুটি ও সংসদ ভাঙার আনুষ্ঠানিকতা। এসব ধাপ পেরিয়ে গেলে আগাম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ইসরায়েলের লেবার পার্টির নেতা ও সংসদ সদস্য মিরাভ মিখাইলি বলেন,

“এই মুহূর্তে নেতানিয়াহুর সরকারকে অপসারণ করা জরুরি। এই সরকার শুধু বিষাক্ত নয়, ক্ষতিকরও। গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে, সব জিম্মিকে মুক্ত করতে হবে এবং ইসরায়েলকে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে।”

তবে নেতানিয়াহু এখনও হাল ছাড়েননি। তিনি তার ধর্মীয় ও কট্টর ডানপন্থি জোট শরিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছেন। তাদের অনুরোধ করছেন সরকার টিকিয়ে রাখতে সহযোগিতা করার জন্য।

বিশ্লেষকদের মতে, “নেসেট যদি আজকের ভোটে সংসদ ভাঙার পক্ষে অবস্থান নেয়, তাহলে নেতানিয়াহুর শেষ সুযোগটিও হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।”

অতি-গোঁড়া ইহুদি ছাত্রদের সেনা দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি: সরকার পতনের কেন্দ্রীয় ইস্যু

গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সেনা নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক তীব্র

সরকার পতনে জোটভুক্ত ধর্মীয় দলগুলোর অংশগ্রহণই এখন মূল নিয়ামক

নেতানিয়াহু সরকার পড়লে নতুন নির্বাচন অনিবার্য

এই সংকট ইসরায়েলি রাজনীতিতে এক নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে। একদিকে গাজা যুদ্ধের দীর্ঘায়ন, অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব—সব মিলিয়ে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার আজ পড়েছে এক অগ্নিপরীক্ষার মুখে।

 

 

ট্যাগ

জোটে ফাটল, সংসদ ভাঙার পথে ইসরায়েল – চাপে নেতানিয়াহু

প্রকাশিত হয়েছে: ০৯:১৪:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

গাজা যুদ্ধ, সামরিক নীতিতে বিভাজন এবং জোটভিত্তিক দ্বন্দ্ব—সব মিলিয়ে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আজ বুধবার ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক ভোটাভুটি হতে পারে, যেখানে বিরোধী দল এবং নেতানিয়াহুর নিজ জোটের কয়েকটি শরিক দল সংসদ ভেঙে দেওয়ার পক্ষে ভোট দিতে পারে।

সরকার পতনের মূল ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘অতি-গোঁড়া ইহুদি সেমিনারি শিক্ষার্থীদের’ সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্তি। নেতানিয়াহুর জোটভুক্ত কট্টরপন্থি ধর্মীয় দলগুলো চাইছে তাদের শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক সামরিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।

অন্যদিকে বিরোধী দলসহ নেসেটের একটি বড় অংশ এই অব্যাহতির বিপক্ষে। তারা চায়, সব ইসরায়েলি নাগরিকের মতো ধর্মীয় শিক্ষার্থীদেরও সামরিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।

যুদ্ধের কারণে সেনা চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এই ইস্যুটি নতুন করে সামনে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে এখন নেতানিয়াহু নিজেই চরম চাপে পড়েছেন।

নেতানিয়াহু সরকারবিরোধী প্রস্তাবে আজ যদি ভোট হয় এবং তা পাস হয়, তাহলে সরকার পতনের দিকে এটি হবে প্রথম পদক্ষেপ। এরপর প্রয়োজন হবে আরও তিনটি ধাপ—যার মধ্যে রয়েছে পরবর্তী ভোটাভুটি ও সংসদ ভাঙার আনুষ্ঠানিকতা। এসব ধাপ পেরিয়ে গেলে আগাম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ইসরায়েলের লেবার পার্টির নেতা ও সংসদ সদস্য মিরাভ মিখাইলি বলেন,

“এই মুহূর্তে নেতানিয়াহুর সরকারকে অপসারণ করা জরুরি। এই সরকার শুধু বিষাক্ত নয়, ক্ষতিকরও। গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে, সব জিম্মিকে মুক্ত করতে হবে এবং ইসরায়েলকে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে।”

তবে নেতানিয়াহু এখনও হাল ছাড়েননি। তিনি তার ধর্মীয় ও কট্টর ডানপন্থি জোট শরিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছেন। তাদের অনুরোধ করছেন সরকার টিকিয়ে রাখতে সহযোগিতা করার জন্য।

বিশ্লেষকদের মতে, “নেসেট যদি আজকের ভোটে সংসদ ভাঙার পক্ষে অবস্থান নেয়, তাহলে নেতানিয়াহুর শেষ সুযোগটিও হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে।”

অতি-গোঁড়া ইহুদি ছাত্রদের সেনা দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি: সরকার পতনের কেন্দ্রীয় ইস্যু

গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সেনা নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক তীব্র

সরকার পতনে জোটভুক্ত ধর্মীয় দলগুলোর অংশগ্রহণই এখন মূল নিয়ামক

নেতানিয়াহু সরকার পড়লে নতুন নির্বাচন অনিবার্য

এই সংকট ইসরায়েলি রাজনীতিতে এক নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে। একদিকে গাজা যুদ্ধের দীর্ঘায়ন, অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব—সব মিলিয়ে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার আজ পড়েছে এক অগ্নিপরীক্ষার মুখে।