০৬:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাইক্রোক্রেডিটের অবদান স্বীকৃতি পেল ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদে

ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসে একান্ত বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দেশের সংস্কার, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক সম্মাননার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

বাকিংহাম প্যালেসে পৌঁছালে রাজা চার্লস নিজে ড. ইউনূসকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান। এরপর প্রায় ৩০ মিনিট ধরে তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি ছিল অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে।

বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, দেশের সংস্কারমূলক উদ্যোগ এবং পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েই রাজা চার্লসের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার আলোচনা হয়েছে। তিনি জানান, “এটি সফরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। রাজা তৃতীয় চার্লস ড. ইউনূসের কর্মজীবনের অবদান সম্পর্কে অবগত ও শ্রদ্ধাশীল।”

এদিন ড. ইউনূস ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা আজ যে সম্মাননা গ্রহণ করবেন, তা শুধু তার একক স্বীকৃতি নয়, বরং এটি পুরো বাংলাদেশের জন্য এক গর্বের বিষয়।”
তিনি আরও বলেন, “মাইক্রোক্রেডিটের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে ড. ইউনূসের অবদানকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দিতেই এই সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে।”

প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীরা যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন সরকারি সংস্থার সঙ্গে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে ধারাবাহিক বৈঠক করছেন বলেও জানিয়েছেন প্রেস সচিব। এসব বৈঠক ইতোমধ্যেই ফলপ্রসূ হচ্ছে বলে আশাবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর আগে নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করেন ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের অনন্য অবদানের জন্য। তাঁর নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার বর্তমানে বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দুর্নীতি দমন এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

মাইক্রোক্রেডিটের অবদান স্বীকৃতি পেল ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদে

প্রকাশিত হয়েছে: ০৯:২৯:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসে একান্ত বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দেশের সংস্কার, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক সম্মাননার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

বাকিংহাম প্যালেসে পৌঁছালে রাজা চার্লস নিজে ড. ইউনূসকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান। এরপর প্রায় ৩০ মিনিট ধরে তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকটি ছিল অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে।

বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, দেশের সংস্কারমূলক উদ্যোগ এবং পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েই রাজা চার্লসের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার আলোচনা হয়েছে। তিনি জানান, “এটি সফরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। রাজা তৃতীয় চার্লস ড. ইউনূসের কর্মজীবনের অবদান সম্পর্কে অবগত ও শ্রদ্ধাশীল।”

এদিন ড. ইউনূস ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা আজ যে সম্মাননা গ্রহণ করবেন, তা শুধু তার একক স্বীকৃতি নয়, বরং এটি পুরো বাংলাদেশের জন্য এক গর্বের বিষয়।”
তিনি আরও বলেন, “মাইক্রোক্রেডিটের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে ড. ইউনূসের অবদানকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দিতেই এই সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে।”

প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গীরা যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন সরকারি সংস্থার সঙ্গে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে ধারাবাহিক বৈঠক করছেন বলেও জানিয়েছেন প্রেস সচিব। এসব বৈঠক ইতোমধ্যেই ফলপ্রসূ হচ্ছে বলে আশাবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর আগে নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করেন ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের অনন্য অবদানের জন্য। তাঁর নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার বর্তমানে বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দুর্নীতি দমন এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে।