
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ব্রিটেনের মর্যাদাপূর্ণ ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ গ্রহণ করেছেন। বৃহস্পতিবার লন্ডনে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের পক্ষ থেকে এই সম্মাননা তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপপ্রেস সচিব আজাদ মজুমদার।
রাজা চার্লস ২০২৪ সালের জুন মাসে ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ প্রবর্তন করেন। এই পুরস্কারের মূল লক্ষ্য হলো— প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে টেকসইভাবে বসবাসের উদ্যোগকে স্বীকৃতি দেওয়া ও উদযাপন করা।
পুরস্কার গ্রহণের আগে অধ্যাপক ইউনূস বাকিংহাম প্যালেসে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের জানান,
“বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা ও ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের মধ্যে একান্ত বৈঠক হয়, যা ছিল একেবারে ব্যক্তিগত।”
এই আলোচনায় বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক রূপান্তর ও সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়। প্রেস সচিব জানান, প্রধান উপদেষ্টা তাঁর সরকার গৃহীত বিভিন্ন সংস্কারমূলক পদক্ষেপ সম্পর্কে রাজাকে অবহিত করেন। তিনি আরও বলেন,
“প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলা এই বৈঠক ছিল অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ। যেহেতু রাজা চার্লস বহুদিন ধরে অধ্যাপক ইউনূসকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন, সেহেতু নানা বিষয়ে তাদের খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।”
বৈঠক শেষে রাজা ও রাণীর স্বাক্ষরযুক্ত একটি ছবি উপহার হিসেবে অধ্যাপক ইউনূসকে প্রদান করা হয়। প্রেস সচিব একে এই সফরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সম্মানজনক মুহূর্ত হিসেবে উল্লেখ করেন।
এমন এক সময়ে এই সম্মাননা প্রদান করা হলো, যখন বাংলাদেশ একটি নতুন রাজনৈতিক ধারায় রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ব্রিটেনের রাজপরিবারের এমন ইতিবাচক সাড়া বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচনা করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এর আগেও শান্তিতে নোবেল পুরস্কারসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ যুক্তরাজ্যের রাজ পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধার প্রকাশ হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।