০৬:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাসূলুল্লাহর (সা.) প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের এক নিখুঁত দোয়া

جَزَى اللهُ عَنَّا مُحَمَّدًا مَا هُوَ أَهْلُهُ
উচ্চারণ: জাযাল্লাহু ‘আন্না মুহাম্মাদান মা হুয়া আহলুহ
বাংলা অর্থ: “আল্লাহ আমাদের পক্ষ থেকে মুহাম্মদ (সা.)-কে তাঁর মর্যাদার উপযোগী প্রতিদান দান করুন।”

বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মুসলমান প্রতিদিন রাসূলুল্লাহ মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিভিন্ন দোয়া ও দরূদের মাধ্যমে। তেমনই একটি হৃদয়স্পর্শী দোয়া হচ্ছে:

ইসলামি স্কলারদের মতে, এই দোয়াটি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি মুসলিম উম্মাহর গভীর ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতার প্রতিচ্ছবি। সাহাবায়ে কেরাম ও পরবর্তী প্রজন্মের আলেমরা প্রায়শই এই দোয়াটি পাঠ করতেন। এটি এমন একটি প্রার্থনা যেখানে বান্দা নিজের সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে আল্লাহর কাছে আরজি জানায়— যেন তিনি তাঁর নবীকে সেই প্রতিদান দেন, যা মানুষের সাধ্যের বাইরে।

বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদদের মতে, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন, ত্যাগ ও নবুয়তের দায়িত্ব পালনের প্রতিদানে আমরা কোনো দিনই যথেষ্ট সম্মান বা প্রতিদান দিতে পারি না। তাই এ দোয়ার মাধ্যমে মুসলমানরা তাদের অক্ষমতা স্বীকার করে আল্লাহর কাছেই সর্বোত্তম প্রতিদানের আকুতি জানায়।

ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে এই দোয়াটি বিশেষভাবে মজবুত আত্মিক সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ অনুসরণের প্রতি অনুপ্রেরণা জোগায়। বিভিন্ন ইসলামী মাহফিল, জুমার খুতবা, মিলাদ ও ব্যক্তিগত আমলে এ দোয়াটি ব্যবহৃত হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, এমন দোয়া শুধু আবেগ নয়, বরং রাসূলের (সা.) প্রতি এক গভীর দায়িত্ববোধ ও অনুসরণের প্রতিশ্রুতিও বহন করে।

 

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

রাসূলুল্লাহর (সা.) প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের এক নিখুঁত দোয়া

প্রকাশিত হয়েছে: ০৬:৫৪:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫

جَزَى اللهُ عَنَّا مُحَمَّدًا مَا هُوَ أَهْلُهُ
উচ্চারণ: জাযাল্লাহু ‘আন্না মুহাম্মাদান মা হুয়া আহলুহ
বাংলা অর্থ: “আল্লাহ আমাদের পক্ষ থেকে মুহাম্মদ (সা.)-কে তাঁর মর্যাদার উপযোগী প্রতিদান দান করুন।”

বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মুসলমান প্রতিদিন রাসূলুল্লাহ মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিভিন্ন দোয়া ও দরূদের মাধ্যমে। তেমনই একটি হৃদয়স্পর্শী দোয়া হচ্ছে:

ইসলামি স্কলারদের মতে, এই দোয়াটি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি মুসলিম উম্মাহর গভীর ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতার প্রতিচ্ছবি। সাহাবায়ে কেরাম ও পরবর্তী প্রজন্মের আলেমরা প্রায়শই এই দোয়াটি পাঠ করতেন। এটি এমন একটি প্রার্থনা যেখানে বান্দা নিজের সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করে আল্লাহর কাছে আরজি জানায়— যেন তিনি তাঁর নবীকে সেই প্রতিদান দেন, যা মানুষের সাধ্যের বাইরে।

বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদদের মতে, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন, ত্যাগ ও নবুয়তের দায়িত্ব পালনের প্রতিদানে আমরা কোনো দিনই যথেষ্ট সম্মান বা প্রতিদান দিতে পারি না। তাই এ দোয়ার মাধ্যমে মুসলমানরা তাদের অক্ষমতা স্বীকার করে আল্লাহর কাছেই সর্বোত্তম প্রতিদানের আকুতি জানায়।

ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে এই দোয়াটি বিশেষভাবে মজবুত আত্মিক সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ অনুসরণের প্রতি অনুপ্রেরণা জোগায়। বিভিন্ন ইসলামী মাহফিল, জুমার খুতবা, মিলাদ ও ব্যক্তিগত আমলে এ দোয়াটি ব্যবহৃত হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, এমন দোয়া শুধু আবেগ নয়, বরং রাসূলের (সা.) প্রতি এক গভীর দায়িত্ববোধ ও অনুসরণের প্রতিশ্রুতিও বহন করে।