নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে কী বললেন সিইসি?
সিইসি বলেন, “আজ আমরা কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী মতবিনিময় করেছি। আমি তাদের বার্তা দিয়েছি, জাতীয় নির্বাচন যখনই হোক, আমাদের সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা কারো হুকুমে বা নির্দেশে নয়, নিরপেক্ষভাবে কাজ করবো। আমাদের কর্মকর্তাদের বলেছি—আপনারা রাজনীতিতে জড়াবেন না।”
সিইসি জানান, আগের পরিকল্পনায় ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও এখন ফেব্রুয়ারির কথাও শোনা যাচ্ছে। তবে সরকার থেকে এখনও কোনো অফিসিয়াল সিদ্ধান্ত আসেনি। সে কারণে নির্দিষ্ট সময় ঘোষণা করা যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
‘এটি একটি বিশেষ পরিস্থিতি, বিশেষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’
বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘বিশেষ’ উল্লেখ করে সিইসি বলেন, “সবকিছু স্বাভাবিকভাবে দেখলে চলবে না। এটি একটি বিশেষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আমরা দেখেছি সরকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসছে। বিচার ও সংস্কার প্রক্রিয়াও চলছে। নির্বাচন কমিশন হিসেবে আমরা এখন নির্বাচনের প্রস্তুতিতেই মনোযোগ দিচ্ছি।”
তিনি আরও জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ জুনের মধ্যেই শেষ হবে এবং তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন এবং সিডিউল ঘোষণা প্রসঙ্গে
সিইসি জানান, নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদনের সময়সীমা ২২ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্বাচন তফসিল ঘোষণার বিষয়ে বলেন, “এটি সরকারের সিদ্ধান্তের পরেই হবে। আমাদের কাজ আমরা এগিয়ে নিচ্ছি।”
নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্নে সিইসি’র স্পষ্ট জবাব
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, “আপনার বিপক্ষে যদি কেউ না থাকে, তাহলে বুঝবেন আপনি সঠিক পথে নেই। কিছু দল নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, তবে আমরা নিরপেক্ষভাবেই কাজ করছি।”
তিনি আরও বলেন, “মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বারবার বলছেন—এটি একটি ঐতিহাসিক নির্বাচন হবে। তার এই কথাই প্রমাণ করে, আমাদের ওপর তাঁর আস্থা রয়েছে।”
ভোটসন্ত্রাস ও ব্যালট বাক্স নিয়ে হুঁশিয়ারি
সিইসি কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এবার ভোটকেন্দ্র থেকে কাউকে ব্যালট বাক্স নিয়ে যেতে দেওয়া হবে না। জোর করে কারও ভোট দেওয়াও চলবে না। যারা ভোট সন্ত্রাস করতে চাইবে, তাদের জন্য এটি সরাসরি হুঁশিয়ারি।”
সরকারের সমন্বয় ছাড়া নির্বাচন সম্ভব নয়
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “নির্বাচনের সময়সীমা ঠিক করতে আমাদের অবশ্যই সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। আমরা যতই স্বাধীন হই না কেন, সরকারের সহযোগিতা ছাড়া নির্বাচন পরিচালনা সম্ভব নয়। আমাদের পুলিশের প্রয়োজন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজন। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন, যেখানে সকলের জন্য সমান সুযোগ থাকবে।”