১০:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“অবশেষে রাজনীতিতে প্রাণ ফিরছে — আজাদ মজুমদার”

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভায় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতীকী বয়কট ও ওয়াকআউটকে ‘রাজনীতির প্রাণ ফিরে আসা’ হিসেবে দেখছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, এটি রাজনীতির অনুশীলনেরই অংশ, যা দেশের সংসদীয় রাজনীতিতে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত ছিল।

বুধবার (১৮ জুন) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে আজাদ মজুমদার লেখেন,

“জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভা একটি দল একদিন প্রতীকীভাবে বয়কট করেছে। পরদিনই তারা ফিরে এসেছে। এরপর অন্য দুটি দল প্রতীকী ওয়াকআউট করেছে—তারা অভিযোগ করেছে, এক দলকে বেশি সময় কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। অনেকে এটাকে অনৈক্যের ছায়া হিসেবে দেখছেন, কিন্তু আমি দেখছি খুবই ইতিবাচকভাবে।”

তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে কোনো সংসদ নেই। গত দেড় দশক ধরে সংসদ থাকলেও সেখানে গঠনমূলক আলোচনা কম হয়েছে।

“সাংসদেরা বেশিরভাগ সময় ব্যস্ত থেকেছেন নেতা-নেত্রীদের প্রশংসা আর বিরোধীদের বিরুদ্ধে আক্রমণে। আইন প্রণয়নে ব্যয় হয়েছে খুব সামান্য সময়।”

তিনি আরও জানান, তিনি কিছু সময় ঐকমত্য কমিশনের সভায় উপস্থিত ছিলেন এবং সেখানে প্রাণবন্ত রাজনৈতিক বিতর্ক প্রত্যক্ষ করেছেন।

“মনে হচ্ছিল, এটাই এখন আমাদের বিকল্প সংসদ। নেতারা যেসব ইস্যুতে আলোচনা করেছেন, সেগুলো ভবিষ্যতের আইনের ভিত্তি হতে পারে। এদেরই কেউ কেউ হয়তো ভবিষ্যতে নির্বাচিত হয়ে সংসদে আসবেন।”

আজাদ মজুমদার বলেন,

“যখন কেউ কোনো বিষয়ের সঙ্গে একমত নয়, তখন প্রতীকী প্রতিবাদ কিংবা ওয়াকআউট করা একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতি। এ সংস্কৃতি দেশের রাজনীতি থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে তা আবার ফিরছে বলে আশা করছি। যদি সত্যিই একটি নির্বাচিত সংসদ গঠিত হয়, সেখানেও যেন এমন প্রাণবন্ত বিতর্ক ফিরে আসে।”


ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

“অবশেষে রাজনীতিতে প্রাণ ফিরছে — আজাদ মজুমদার”

প্রকাশিত হয়েছে: ০২:৩৭:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভায় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতীকী বয়কট ও ওয়াকআউটকে ‘রাজনীতির প্রাণ ফিরে আসা’ হিসেবে দেখছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, এটি রাজনীতির অনুশীলনেরই অংশ, যা দেশের সংসদীয় রাজনীতিতে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত ছিল।

বুধবার (১৮ জুন) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে আজাদ মজুমদার লেখেন,

“জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভা একটি দল একদিন প্রতীকীভাবে বয়কট করেছে। পরদিনই তারা ফিরে এসেছে। এরপর অন্য দুটি দল প্রতীকী ওয়াকআউট করেছে—তারা অভিযোগ করেছে, এক দলকে বেশি সময় কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। অনেকে এটাকে অনৈক্যের ছায়া হিসেবে দেখছেন, কিন্তু আমি দেখছি খুবই ইতিবাচকভাবে।”

তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে কোনো সংসদ নেই। গত দেড় দশক ধরে সংসদ থাকলেও সেখানে গঠনমূলক আলোচনা কম হয়েছে।

“সাংসদেরা বেশিরভাগ সময় ব্যস্ত থেকেছেন নেতা-নেত্রীদের প্রশংসা আর বিরোধীদের বিরুদ্ধে আক্রমণে। আইন প্রণয়নে ব্যয় হয়েছে খুব সামান্য সময়।”

তিনি আরও জানান, তিনি কিছু সময় ঐকমত্য কমিশনের সভায় উপস্থিত ছিলেন এবং সেখানে প্রাণবন্ত রাজনৈতিক বিতর্ক প্রত্যক্ষ করেছেন।

“মনে হচ্ছিল, এটাই এখন আমাদের বিকল্প সংসদ। নেতারা যেসব ইস্যুতে আলোচনা করেছেন, সেগুলো ভবিষ্যতের আইনের ভিত্তি হতে পারে। এদেরই কেউ কেউ হয়তো ভবিষ্যতে নির্বাচিত হয়ে সংসদে আসবেন।”

আজাদ মজুমদার বলেন,

“যখন কেউ কোনো বিষয়ের সঙ্গে একমত নয়, তখন প্রতীকী প্রতিবাদ কিংবা ওয়াকআউট করা একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতি। এ সংস্কৃতি দেশের রাজনীতি থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে তা আবার ফিরছে বলে আশা করছি। যদি সত্যিই একটি নির্বাচিত সংসদ গঠিত হয়, সেখানেও যেন এমন প্রাণবন্ত বিতর্ক ফিরে আসে।”