১০:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিতাসের নীরবতায় ক্ষুব্ধ খিলগাঁও ও গোড়ানবাসী

রাজধানীর খিলগাঁও ও দক্ষিণ গোড়ান এলাকায় টানা দুই দিন ধরে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে করে ওই এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। রান্না-বান্নাসহ দৈনন্দিন জীবনযাপনে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, গত ১৯ জুন ভোর থেকে গ্যাস সংযোগ বন্ধ রয়েছে। প্রথমদিকে সমস্যাটি সাময়িক ভেবে কেউ খুব একটা গুরুত্ব দেননি। কিন্তু দুই দিন পেরিয়ে গেলেও গ্যাস সংযোগ না ফেরায় ক্ষোভ ও ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।

দক্ষিণ গোড়ানের বাসিন্দা গৃহবধূ  বলেন, “রান্না করতে পারছি না, ছোট বাচ্চাদের খাওয়ানো যাচ্ছে না। হোটেলের খাবারে শুধু খরচ বাড়ছে না, স্বাস্থ্যগত সমস্যাও হচ্ছে।”
আরেকজন বাসিন্দা বলেন, “সিলিন্ডার কিনে রান্না করছি, কিন্তু সেটা সবাইয়ের পক্ষে সম্ভব নয়। প্রতিবেশীর বাসায় গিয়ে রান্না করতে হচ্ছে।”

স্কুলগামী শিশু, অফিসগামী কর্মজীবী মানুষ ও অসুস্থদের জন্য এই পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়িয়েছে এক ধরনের মানবিক সংকট।

তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর ও অস্বস্তিকর বিষয় হলো—এই অচলাবস্থার বিষয়ে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এখনও কোনো গণবিজ্ঞপ্তি, মাইকিং, গণমাধ্যমে বিবৃতি বা সামাজিক মাধ্যমে তথ্য দেয়নি। কোনো ধরনের পূর্বসতর্কতা ছাড়া এমনভাবে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের এমন নিস্ক্রিয় আচরণকে দায়িত্বহীন উল্লেখ করে স্থানীয়রা বলেন, “এই ধরনের সংকটে জনগণকে আগেই জানানো উচিত ছিল। তিতাস কীভাবে এত বড় একটি এলাকাকে দুই দিন গ্যাস ছাড়া রেখে নিরুত্তর থাকতে পারে?”

ভুক্তভোগীরা দ্রুত গ্যাস সংযোগ পুনঃস্থাপন এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের পরিস্থিতিতে আগাম জানানো ও সমন্বয়ের দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে স্থানীয় সাংবাদিকরা মনে করছেন, গণমাধ্যম যদি বিষয়টি যথাযথভাবে তুলে ধরে, তাহলে কর্তৃপক্ষ আরও দ্রুত ও দায়বদ্ধভাবে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

তিতাসের নীরবতায় ক্ষুব্ধ খিলগাঁও ও গোড়ানবাসী

প্রকাশিত হয়েছে: ০১:৩৫:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

রাজধানীর খিলগাঁও ও দক্ষিণ গোড়ান এলাকায় টানা দুই দিন ধরে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে করে ওই এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। রান্না-বান্নাসহ দৈনন্দিন জীবনযাপনে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, গত ১৯ জুন ভোর থেকে গ্যাস সংযোগ বন্ধ রয়েছে। প্রথমদিকে সমস্যাটি সাময়িক ভেবে কেউ খুব একটা গুরুত্ব দেননি। কিন্তু দুই দিন পেরিয়ে গেলেও গ্যাস সংযোগ না ফেরায় ক্ষোভ ও ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।

দক্ষিণ গোড়ানের বাসিন্দা গৃহবধূ  বলেন, “রান্না করতে পারছি না, ছোট বাচ্চাদের খাওয়ানো যাচ্ছে না। হোটেলের খাবারে শুধু খরচ বাড়ছে না, স্বাস্থ্যগত সমস্যাও হচ্ছে।”
আরেকজন বাসিন্দা বলেন, “সিলিন্ডার কিনে রান্না করছি, কিন্তু সেটা সবাইয়ের পক্ষে সম্ভব নয়। প্রতিবেশীর বাসায় গিয়ে রান্না করতে হচ্ছে।”

স্কুলগামী শিশু, অফিসগামী কর্মজীবী মানুষ ও অসুস্থদের জন্য এই পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়িয়েছে এক ধরনের মানবিক সংকট।

তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর ও অস্বস্তিকর বিষয় হলো—এই অচলাবস্থার বিষয়ে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এখনও কোনো গণবিজ্ঞপ্তি, মাইকিং, গণমাধ্যমে বিবৃতি বা সামাজিক মাধ্যমে তথ্য দেয়নি। কোনো ধরনের পূর্বসতর্কতা ছাড়া এমনভাবে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের এমন নিস্ক্রিয় আচরণকে দায়িত্বহীন উল্লেখ করে স্থানীয়রা বলেন, “এই ধরনের সংকটে জনগণকে আগেই জানানো উচিত ছিল। তিতাস কীভাবে এত বড় একটি এলাকাকে দুই দিন গ্যাস ছাড়া রেখে নিরুত্তর থাকতে পারে?”

ভুক্তভোগীরা দ্রুত গ্যাস সংযোগ পুনঃস্থাপন এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের পরিস্থিতিতে আগাম জানানো ও সমন্বয়ের দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে স্থানীয় সাংবাদিকরা মনে করছেন, গণমাধ্যম যদি বিষয়টি যথাযথভাবে তুলে ধরে, তাহলে কর্তৃপক্ষ আরও দ্রুত ও দায়বদ্ধভাবে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।