১১:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“যুক্তরাষ্ট্রকে জবাব: হরমুজ প্রণালী বন্ধের অনুমোদন দিল ইরান”

যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক পারমাণবিক হামলার জবাবে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ইরান। দেশটির পার্লামেন্টে রোববার পাস হয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব, যাতে হরমুজ প্রণালী বন্ধের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিশ্ববাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই জলপথ দিয়ে সরবরাহ হয় বিশ্বের মোট তেল ও গ্যাসের প্রায় ২০ শতাংশ। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বড় তেল রপ্তানিকারক দেশগুলো হরমুজ প্রণালী ব্যবহার করেই তাদের তেল উন্মুক্ত সমুদ্রে পাঠায়। প্রণালীটি বন্ধ হয়ে গেলে বৈশ্বিক জ্বালানির সরবরাহব্যবস্থা বিপর্যস্ত হতে পারে এবং তেলের দাম হঠাৎ করেই ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, প্রস্তাবটি কার্যকর হবে কিনা—সেই সিদ্ধান্ত নেবে দেশটির সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ।

ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ইসমাইল কোসারি জানিয়েছেন, “হরমুজ প্রণালী বন্ধের বিষয়টি আমাদের এজেন্ডায় রয়েছে এবং জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজন হলে আমরা তা বাস্তবায়ন করব।”

এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’-এর পরপরই এলো। শনিবার গভীর রাতে ইরানের ফোর্দোসহ তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় মার্কিন স্টিলথ বোমারু বিমান। মার্কিন সেনাবাহিনীর জেনারেল ড্যান কেইন দাবি করেন, ‘‘অভিযানে ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি স্থাপনাকে ব্যাপকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে এবং ইরান পাল্টা প্রতিরোধে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।’’

বিশ্লেষকদের মতে, হরমুজ প্রণালী বন্ধ হলে মধ্যপ্রাচ্যসহ পুরো বিশ্বে তীব্র জ্বালানি সংকট ও সামরিক উত্তেজনার সৃষ্টি হতে পারে।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

“যুক্তরাষ্ট্রকে জবাব: হরমুজ প্রণালী বন্ধের অনুমোদন দিল ইরান”

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:৫৫:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক পারমাণবিক হামলার জবাবে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ইরান। দেশটির পার্লামেন্টে রোববার পাস হয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব, যাতে হরমুজ প্রণালী বন্ধের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিশ্ববাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই জলপথ দিয়ে সরবরাহ হয় বিশ্বের মোট তেল ও গ্যাসের প্রায় ২০ শতাংশ। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বড় তেল রপ্তানিকারক দেশগুলো হরমুজ প্রণালী ব্যবহার করেই তাদের তেল উন্মুক্ত সমুদ্রে পাঠায়। প্রণালীটি বন্ধ হয়ে গেলে বৈশ্বিক জ্বালানির সরবরাহব্যবস্থা বিপর্যস্ত হতে পারে এবং তেলের দাম হঠাৎ করেই ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, প্রস্তাবটি কার্যকর হবে কিনা—সেই সিদ্ধান্ত নেবে দেশটির সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ।

ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ইসমাইল কোসারি জানিয়েছেন, “হরমুজ প্রণালী বন্ধের বিষয়টি আমাদের এজেন্ডায় রয়েছে এবং জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজন হলে আমরা তা বাস্তবায়ন করব।”

এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’-এর পরপরই এলো। শনিবার গভীর রাতে ইরানের ফোর্দোসহ তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় মার্কিন স্টিলথ বোমারু বিমান। মার্কিন সেনাবাহিনীর জেনারেল ড্যান কেইন দাবি করেন, ‘‘অভিযানে ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি স্থাপনাকে ব্যাপকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে এবং ইরান পাল্টা প্রতিরোধে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।’’

বিশ্লেষকদের মতে, হরমুজ প্রণালী বন্ধ হলে মধ্যপ্রাচ্যসহ পুরো বিশ্বে তীব্র জ্বালানি সংকট ও সামরিক উত্তেজনার সৃষ্টি হতে পারে।