
যুক্তরাষ্ট্রের কথিত পারমাণবিক হামলার জবাবে চরম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান। গতকাল রবিবার ইরানের পার্লামেন্টে পাস হয়েছে একটি যুগান্তকারী প্রস্তাব—হরমুজ প্রণালী বন্ধের অনুমোদন। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহ ও জ্বালানি বাজারে অভূতপূর্ব সংকট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশ্লেষকরা।
বিশ্বের মোট সামুদ্রিক তেল পরিবহনের প্রায় ২০ শতাংশ হরমুজ প্রণালী হয়ে যায়। ইরান যদি এটি সামরিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করে বা আংশিকভাবে বন্ধ করে, তবে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপ-এশিয়া পর্যন্ত বহু দেশ জ্বালানি ঘাটতির মুখে পড়তে পারে।
ইরানি সংসদ সদস্যরা এ প্রস্তাব পাস করার সময় একযোগে বলেন,
“আমরা প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানে আছি। হরমুজ কেবল ইরানের পথ নয়, বিশ্বরাজনীতির হৃদস্পন্দন।”
ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (IRGC) ইতোমধ্যে প্রণালীতে নৌমহড়া জোরদার করেছে এবং সতর্ক করেছে যে— “বিদেশি নৌবহর কোনো আগ্রাসী পদক্ষেপ নিলে তাৎক্ষণিক জবাব দেওয়া হবে।”
🌍 আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
- যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল হরমুজ প্রণালী বন্ধের হুমকিকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছে।
- চীন ও ভারত উভয়েই নিজেদের তেল সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিকল্প রুট সক্রিয় করছে।
- জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে আজ সন্ধ্যায় জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিষয়টি শুধু ইরান-যুক্তরাষ্ট্র বিরোধ নয়, বরং ভূরাজনৈতিক শক্তির ভারসাম্য পুনর্গঠনের সূচনা হতে পারে।