১০:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলো এখন বৈধ লক্ষ্যবস্তু: ইরানের হুঁশিয়ারি

ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানের ফার্দো, নাতাঞ্জ ও ইস্ফাহান অঞ্চলের পরমাণু কেন্দ্রগুলো “সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস” করা হয়েছে। এর জবাবে ইরান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, এখন মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিগুলো তাদের বৈধ লক্ষ্যবস্তু।

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর নতুন প্রধান জেনারেল আবদোল রহিম মোসাভি এক বিবৃতিতে বলেন, “অপরাধী যুক্তরাষ্ট্রের জানা উচিত যে, ইসরায়েল নামক অবৈধ ও আগ্রাসী সন্তানের শাস্তির পাশাপাশি ইসলামের যোদ্ধাদের হাত এখন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যেকোনও পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মুক্ত। এ বিষয়ে আমরা কখনই পিছপা হব না।”

ইরানের শীর্ষ নেতারা জানান, হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টিও এখন আলোচনায় রয়েছে। পাশাপাশি পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধে করা আন্তর্জাতিক চুক্তি (NPT) থেকে বেরিয়ে যাওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছে তেহরান।

ইরানের সংসদের একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, তারা NPT বাতিল এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA)-এর সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করার একটি প্রস্তাবে সমর্থন জানাবেন। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ থেকে।

এদিকে, সোমবার সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় হাসাকাহ প্রদেশে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্ম দিতে পারে। ইরানের প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি এবং যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী কৌশল পুরো অঞ্চলকে একটি বিপজ্জনক দ্বন্দ্বে ঠেলে দিতে পারে।

বিশ্বজুড়ে মার্কিন ঘাঁটি ঝুঁকিতে
মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, বাহরাইনসহ একাধিক দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাঘাঁটি রয়েছে। কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিস (CRS)-এর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের ৫১টি দেশে যুক্তরাষ্ট্রের কমপক্ষে ১২৮টি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে, যেখানে হাজার হাজার মার্কিন সেনা অবস্থান করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’-এর মাধ্যমে ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার পর এ ঘাঁটিগুলোই এখন ইরানের প্রতিশোধের মূল টার্গেট হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলো এখন বৈধ লক্ষ্যবস্তু: ইরানের হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:০৬:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানের ফার্দো, নাতাঞ্জ ও ইস্ফাহান অঞ্চলের পরমাণু কেন্দ্রগুলো “সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস” করা হয়েছে। এর জবাবে ইরান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, এখন মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিগুলো তাদের বৈধ লক্ষ্যবস্তু।

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর নতুন প্রধান জেনারেল আবদোল রহিম মোসাভি এক বিবৃতিতে বলেন, “অপরাধী যুক্তরাষ্ট্রের জানা উচিত যে, ইসরায়েল নামক অবৈধ ও আগ্রাসী সন্তানের শাস্তির পাশাপাশি ইসলামের যোদ্ধাদের হাত এখন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যেকোনও পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মুক্ত। এ বিষয়ে আমরা কখনই পিছপা হব না।”

ইরানের শীর্ষ নেতারা জানান, হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টিও এখন আলোচনায় রয়েছে। পাশাপাশি পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধে করা আন্তর্জাতিক চুক্তি (NPT) থেকে বেরিয়ে যাওয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছে তেহরান।

ইরানের সংসদের একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, তারা NPT বাতিল এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA)-এর সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করার একটি প্রস্তাবে সমর্থন জানাবেন। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ থেকে।

এদিকে, সোমবার সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় হাসাকাহ প্রদেশে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্ম দিতে পারে। ইরানের প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি এবং যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী কৌশল পুরো অঞ্চলকে একটি বিপজ্জনক দ্বন্দ্বে ঠেলে দিতে পারে।

বিশ্বজুড়ে মার্কিন ঘাঁটি ঝুঁকিতে
মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, বাহরাইনসহ একাধিক দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাঘাঁটি রয়েছে। কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিস (CRS)-এর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের ৫১টি দেশে যুক্তরাষ্ট্রের কমপক্ষে ১২৮টি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে, যেখানে হাজার হাজার মার্কিন সেনা অবস্থান করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’-এর মাধ্যমে ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার পর এ ঘাঁটিগুলোই এখন ইরানের প্রতিশোধের মূল টার্গেট হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।