
মুমিনের জীবনে কিছু বাক্য থাকে, যা হৃদয়ের গভীর থেকে উচ্চারিত হলে আসমান কাঁপিয়ে তোলে। তেমনই এক বাক্য—”ইয়া আরহামার রাহিমীন”। অর্থাৎ, “হে দয়ালুদের মধ্যে সর্বাধিক দয়ালু
বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা, দুঃখ ও হতাশার এই সময়ে মুমিনের আশ্রয় কেবল একজন—আল্লাহ, সর্বশক্তিমান ও সর্বদয়ালু। তাঁর অসংখ্য গুণবাচক নামের মধ্যে একটি অতি পরিচিত ও হৃদয়গ্রাহী নাম হলো—”আরহামুর রাহিমীন” (সর্বাধিক দয়ালুদের মধ্যে সর্বাধিক দয়ালু)। আর এই নাম ধরে আল্লাহকে ডাকার সংক্ষিপ্ত অথচ গভীরতম দোআ হচ্ছে: “ইয়া আরহামার রাহিমীন” (يا أرحم الراحمين)।!”
ইসলামি গবেষকদের মতে, এই দোআটি মূলত আল্লাহর সবচেয়ে করুণাময় গুণের প্রতি আবেদন। এটি দুঃখ-কষ্ট, তওবা কিংবা আশাহত অবস্থায় মহান রবের দরবারে হৃদয় নিংড়ানো একটি আরজি।
কুরআন ও হাদীসেও এ গুণবাচক নামটির গুরুত্ব বহুবার উঠে এসেছে। সূরা ইউসুফে হযরত ইউসুফ (আ.) দোআ করেন—
“তুমি দুনিয়া ও আখিরাতে আমার অভিভাবক। আমাকে মুসলিম অবস্থায় মৃত্যু দাও এবং সৎকর্মপরায়ণদের সাথে মিলিত করো।” (সূরা ইউসুফ ১২:১০১)
ইসলামি চিন্তাবিদরা বলছেন, ‘ইয়া আরহামার রাহিমীন’ এমন একটি দোআ, যা আল্লাহর দয়া আকৃষ্ট করার জন্য অত্যন্ত উপযোগী ও ফলদায়ক। বিশেষ করে নামাজের শেষে, রাত্রিকালীন কিয়াম বা তওবার সময় এই বাক্য উচ্চারণে মুমিন বান্দা আল্লাহর অনুগ্রহ লাভে ধন্য হয়।
“ইয়া আরহামার রাহিমীন” শুধু একটি দোআ নয়, বরং মুমিনের হৃদয় থেকে আসা এক সরল, নির্ভেজাল, বিনীত আহ্বান। এটি এমন এক বাক্য, যা আল্লাহর সেই রহমতের দরজায় কড়া নাড়ে—যেখানে হতাশার কোনো স্থান নেই। আজ যখন মানুষ দুর্দশা ও অশান্তিতে নিমজ্জিত, তখন এই দোআ হতে পারে আল্লাহর করুণা লাভের অন্যতম হাতিয়ার।