০৬:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন: “দীন মানেই নসীহত” — ইসলামের অন্তরাত্মা

ইসলামের মৌলিক শিক্ষা ও মূলনীতি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি সংক্ষিপ্ত অথচ গভীর হাদীসে ইরশাদ করেছেন: “الدِّينُ النَّصِيحَةُ” — অর্থাৎ, “দীন হলো নসীহত।” (সহীহ মুসলিম)

ইমাম মুসলিম (রহ.)-এর সংকলিত এই সহীহ হাদীসটি ইসলামের সারমর্ম প্রকাশ করে। এখানে ‘নসীহত’ বলতে বোঝানো হয়েছে আন্তরিকতা, সদুপদেশ, সততা ও কল্যাণচিন্তা— যা আল্লাহর প্রতি, রাসূলের প্রতি, মুসলিম নেতৃবৃন্দের প্রতি এবং সাধারণ মুসলমানদের প্রতি থাকা উচিত। হাদীসটি নির্দেশ করে যে, ইসলাম কেবল ইবাদত-আচার নয়; বরং পারস্পরিক দায়িত্ববোধ, উপদেশ ও সত্যনিষ্ঠ সম্পর্কের ধর্ম।

ইসলামি শিক্ষাবিদদের মতে, এ হাদীসে দ্বীনের একটি সারগর্ভ সংজ্ঞা তুলে ধরা হয়েছে। ইমাম নববী (রহ.) বলেন, “এই হাদীসটি ইসলামের অন্তর্গত সমস্ত বিষয়ের প্রতিফলন।” এর মাধ্যমে বোঝা যায়, একজন প্রকৃত মুসলমানের জীবনযাপন হবে অন্যদের কল্যাণে নিবেদিত, পরামর্শদানে আন্তরিক এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি সাচ্চা আনুগত্যভিত্তিক।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আজকের সময়েও এই হাদীসটির আবেদন সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। সামাজিক, পারিবারিক বা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নসীহতের চর্চা ও আন্তরিকতা সমাজকে আলোকিত করতে পারে এবং ইসলামের শান্তির বার্তা আরও বিস্তৃত হতে পারে।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন: “দীন মানেই নসীহত” — ইসলামের অন্তরাত্মা

প্রকাশিত হয়েছে: ০৭:২৬:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

ইসলামের মৌলিক শিক্ষা ও মূলনীতি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একটি সংক্ষিপ্ত অথচ গভীর হাদীসে ইরশাদ করেছেন: “الدِّينُ النَّصِيحَةُ” — অর্থাৎ, “দীন হলো নসীহত।” (সহীহ মুসলিম)

ইমাম মুসলিম (রহ.)-এর সংকলিত এই সহীহ হাদীসটি ইসলামের সারমর্ম প্রকাশ করে। এখানে ‘নসীহত’ বলতে বোঝানো হয়েছে আন্তরিকতা, সদুপদেশ, সততা ও কল্যাণচিন্তা— যা আল্লাহর প্রতি, রাসূলের প্রতি, মুসলিম নেতৃবৃন্দের প্রতি এবং সাধারণ মুসলমানদের প্রতি থাকা উচিত। হাদীসটি নির্দেশ করে যে, ইসলাম কেবল ইবাদত-আচার নয়; বরং পারস্পরিক দায়িত্ববোধ, উপদেশ ও সত্যনিষ্ঠ সম্পর্কের ধর্ম।

ইসলামি শিক্ষাবিদদের মতে, এ হাদীসে দ্বীনের একটি সারগর্ভ সংজ্ঞা তুলে ধরা হয়েছে। ইমাম নববী (রহ.) বলেন, “এই হাদীসটি ইসলামের অন্তর্গত সমস্ত বিষয়ের প্রতিফলন।” এর মাধ্যমে বোঝা যায়, একজন প্রকৃত মুসলমানের জীবনযাপন হবে অন্যদের কল্যাণে নিবেদিত, পরামর্শদানে আন্তরিক এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি সাচ্চা আনুগত্যভিত্তিক।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আজকের সময়েও এই হাদীসটির আবেদন সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। সামাজিক, পারিবারিক বা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নসীহতের চর্চা ও আন্তরিকতা সমাজকে আলোকিত করতে পারে এবং ইসলামের শান্তির বার্তা আরও বিস্তৃত হতে পারে।