ইরানকে আলোচনার টেবিলে ফেরাতে এবং পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে মার্কিন অবস্থানের প্রতি নমনীয় করতে চুপিচুপি বড় অঙ্কের প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সিএনএনের এক এক্সক্লুসিভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইরানকে ৩০ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত অর্থ সহায়তার গোপন প্রস্তাব দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ প্রস্তাবের আওতায় রয়েছে—ইরানের বেসামরিক পারমাণবিক শক্তি উন্নয়নে অর্থ সহায়তা, তেহরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার শিথিলতা, এবং বিভিন্ন দেশে ফ্রিজ হয়ে থাকা ইরানি তহবিল অবমুক্ত করার প্রস্তাব। সব কিছুই ঘটেছে পর্দার আড়ালে, বহুস্তরবিশিষ্ট কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে।

সিএনএনের দাবি, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত চারটি নির্ভরযোগ্য সূত্র এই তথ্য দিয়েছে। তাদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই গোপন পদক্ষেপ ইরানকে ‘কৌশলগতভাবে ঘনিষ্ঠ রাখা’ এবং ভবিষ্যৎ সংঘাত এড়াতে মার্কিন প্রভাব বজায় রাখার অংশ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। তবে এই প্রস্তাব ইরান গ্রহণ করেছে কিনা—তা এখনও নিশ্চিত নয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন প্রস্তাব মধ্যপ্রাচ্যে নতুন এক কূটনৈতিক মেরুকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যেখানে কঠোর চাপ প্রয়োগের কৌশল থেকে সরে এসে এখন বড় অঙ্কের অর্থনৈতিক লোভ দেখানোর পথ বেছে নিচ্ছে ওয়াশিংটন।

এ বিষয়ে ইরান কিংবা হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি আসেনি। তবে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে আন্তর্জাতিক পরিসরে বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে—বিশেষ করে যদি এতে মার্কিন কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে থাকে।