০৪:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্পের আদেশ আটকে রাখতে পারবে না আদালত: সুপ্রিম কোর্ট

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত করার ক্ষেত্রে ফেডারেল আদালতের ক্ষমতা সীমিত করে নতুন একটি রায় দিয়েছে। ফলে সাবেক ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবৈধ অভিবাসীদের সন্তানদের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বন্ধের উদ্যোগে আইনি জটিলতা কাটিয়ে আদেশ কার্যকরের পথ উন্মুক্ত হলো।

শুক্রবার প্রকাশিত এই রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, আদালত কোনো আদেশ অবৈধ মনে করলেও সেটি পুরো দেশজুড়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ করা যাবে না—এটি বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একে “সংবিধান, আইন ও গণতন্ত্রের জন্য বড় জয়” বলে অভিহিত করেছেন।

২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রথা বন্ধের ঘোষণা দেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে আবার দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম দিনেই তিনি এই নীতিকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন, যেটির বিরুদ্ধে ২২টি রাজ্য মামলা করে।

নিচের আদালতগুলো সেই আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখলেও ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষে দাঁড়িয়ে সুপ্রিম কোর্ট এখন বলেছে, এভাবে নির্বাহী আদেশ আটকে রাখা বিচার বিভাগীয় ক্ষমতার সীমালঙ্ঘন।

অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি বলেন, “এ সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করে দিয়েছে, বিচারকরা আর নির্বাহী আদেশে রাজনৈতিকভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না।” অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী সেশনে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে সরাসরি শুনানি হতে পারে।

তবে রায়ে মতানৈক্যও ছিল। বিচারপতি সোনিয়া সোটোমেয়র লিখেছেন, “এই রায় সংবিধানকে এড়িয়ে যাওয়ার একটি প্রকাশ্য আমন্ত্রণ। এটি নির্বাহী ক্ষমতার অপব্যবহারের দরজা খুলে দিচ্ছে।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, আদালতের এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল বিচারব্যবস্থা ও নির্বাহী শাখার মধ্যকার সম্পর্কের ধরণ মৌলিকভাবে পরিবর্তন করতে পারে। ফলে ভবিষ্যতে প্রেসিডেন্টদের নির্বাহী আদেশ বাস্তবায়নে বাধা দেওয়ার আইনগত পথ অনেক বেশি কঠিন হয়ে উঠবে।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

ট্রাম্পের আদেশ আটকে রাখতে পারবে না আদালত: সুপ্রিম কোর্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ১১:২২:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত করার ক্ষেত্রে ফেডারেল আদালতের ক্ষমতা সীমিত করে নতুন একটি রায় দিয়েছে। ফলে সাবেক ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবৈধ অভিবাসীদের সন্তানদের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বন্ধের উদ্যোগে আইনি জটিলতা কাটিয়ে আদেশ কার্যকরের পথ উন্মুক্ত হলো।

শুক্রবার প্রকাশিত এই রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, আদালত কোনো আদেশ অবৈধ মনে করলেও সেটি পুরো দেশজুড়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ করা যাবে না—এটি বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একে “সংবিধান, আইন ও গণতন্ত্রের জন্য বড় জয়” বলে অভিহিত করেছেন।

২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রথা বন্ধের ঘোষণা দেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে আবার দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম দিনেই তিনি এই নীতিকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন, যেটির বিরুদ্ধে ২২টি রাজ্য মামলা করে।

নিচের আদালতগুলো সেই আদেশ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখলেও ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষে দাঁড়িয়ে সুপ্রিম কোর্ট এখন বলেছে, এভাবে নির্বাহী আদেশ আটকে রাখা বিচার বিভাগীয় ক্ষমতার সীমালঙ্ঘন।

অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি বলেন, “এ সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করে দিয়েছে, বিচারকরা আর নির্বাহী আদেশে রাজনৈতিকভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না।” অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী সেশনে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব নিয়ে সরাসরি শুনানি হতে পারে।

তবে রায়ে মতানৈক্যও ছিল। বিচারপতি সোনিয়া সোটোমেয়র লিখেছেন, “এই রায় সংবিধানকে এড়িয়ে যাওয়ার একটি প্রকাশ্য আমন্ত্রণ। এটি নির্বাহী ক্ষমতার অপব্যবহারের দরজা খুলে দিচ্ছে।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, আদালতের এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল বিচারব্যবস্থা ও নির্বাহী শাখার মধ্যকার সম্পর্কের ধরণ মৌলিকভাবে পরিবর্তন করতে পারে। ফলে ভবিষ্যতে প্রেসিডেন্টদের নির্বাহী আদেশ বাস্তবায়নে বাধা দেওয়ার আইনগত পথ অনেক বেশি কঠিন হয়ে উঠবে।