০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নেতানিয়াহুর বিচার স্থগিতের অনুরোধ খারিজ

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তার দুর্নীতির মামলার শুনানি দুই সপ্তাহ স্থগিত রাখার আবেদন করলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির জেলা আদালত। ইরান ও গাজা পরিস্থিতির কারণে ‘রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব’ পালনের অজুহাতে শুনানি পিছিয়ে দিতে চাইলেও আদালত জানায়, অনুরোধে “বিশদ যুক্তি বা আইনি ভিত্তির অভাব” রয়েছে। ফলে আগামী সোমবারই নেতানিয়াহুকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে।

এই সিদ্ধান্ত ঘিরে ইসরায়েলের ডানপন্থী রাজনীতিবিদদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ আদালত ও রাষ্ট্রপক্ষকে “ছোট বামন” বলে সমালোচনা করেন এবং বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের দাবি তোলেন। জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইটামার বেন-গভির এই রায়কে “বিচ্ছিন্ন ও করুণ সিদ্ধান্ত” বলে আখ্যা দেন। যোগাযোগ মন্ত্রী শ্লোমো কারহিও এক্স প্ল্যাটফর্মে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “তারা নিজস্ব জগতে বাস করে।”

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ঘুষ, জালিয়াতি ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা চলমান—যেমন মামলা ১০০০, ২০০০ ও ৪০০০। এসব মামলায় ধনী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে উপহার গ্রহণ, মিডিয়া প্রভাব বিস্তার এবং কর্পোরেট সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ২০১৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়। নেতানিয়াহু সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং নিজেকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করে আসছেন।

সম্প্রতি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বিচার বাতিলের আহ্বান জানানোর পর ইসরায়েলের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। নেতানিয়াহুর সমর্থকরা একে সমর্থন করলেও, বিরোধীরা এটিকে বিচার ব্যবস্থায় বিদেশি হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।

ট্যাগ

নেতানিয়াহুর বিচার স্থগিতের অনুরোধ খারিজ

প্রকাশিত হয়েছে: ১১:১২:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু তার দুর্নীতির মামলার শুনানি দুই সপ্তাহ স্থগিত রাখার আবেদন করলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির জেলা আদালত। ইরান ও গাজা পরিস্থিতির কারণে ‘রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব’ পালনের অজুহাতে শুনানি পিছিয়ে দিতে চাইলেও আদালত জানায়, অনুরোধে “বিশদ যুক্তি বা আইনি ভিত্তির অভাব” রয়েছে। ফলে আগামী সোমবারই নেতানিয়াহুকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে।

এই সিদ্ধান্ত ঘিরে ইসরায়েলের ডানপন্থী রাজনীতিবিদদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ আদালত ও রাষ্ট্রপক্ষকে “ছোট বামন” বলে সমালোচনা করেন এবং বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের দাবি তোলেন। জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইটামার বেন-গভির এই রায়কে “বিচ্ছিন্ন ও করুণ সিদ্ধান্ত” বলে আখ্যা দেন। যোগাযোগ মন্ত্রী শ্লোমো কারহিও এক্স প্ল্যাটফর্মে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “তারা নিজস্ব জগতে বাস করে।”

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ঘুষ, জালিয়াতি ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা চলমান—যেমন মামলা ১০০০, ২০০০ ও ৪০০০। এসব মামলায় ধনী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে উপহার গ্রহণ, মিডিয়া প্রভাব বিস্তার এবং কর্পোরেট সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ২০১৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়। নেতানিয়াহু সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং নিজেকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি করে আসছেন।

সম্প্রতি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বিচার বাতিলের আহ্বান জানানোর পর ইসরায়েলের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। নেতানিয়াহুর সমর্থকরা একে সমর্থন করলেও, বিরোধীরা এটিকে বিচার ব্যবস্থায় বিদেশি হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।