০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পূর্ব ইউক্রেন ঘিরে উত্তেজনা: ১.লাখ রুশ সেনা মোতায়েন

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর পোকরোভস্কের নিকটে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার রুশ সেনা অবস্থান নিয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান ওলেক্সান্ডার স্রেসকি। শুক্রবার (২৭ জুন) তিনি জানান, শহরটি দখলের উদ্দেশ্যেই রুশ বাহিনী এ বিশাল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছে। যুদ্ধক্ষেত্রের প্রায় ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার ফ্রন্টলাইনের মধ্যে এই এলাকা এখন সবচেয়ে উত্তপ্ত বলে উল্লেখ করেন তিনি।

পোকরোভস্ক দোনেৎস্ক অঞ্চলের একটি ছোট শহর হলেও, এর ভূ-রাজনৈতিক ও সামরিক গুরুত্ব বিশাল। শহরটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও রেলপথের কাছে অবস্থিত, যা দোনেৎস্কের অন্যান্য সামরিক ঘাঁটিগুলোর সঙ্গে সংযোগ তৈরি করে। এই যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে ইউক্রেনীয় সেনারা এখনো দোনেৎস্কের অনেক অংশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছেন।

রুশ বাহিনী প্রায় এক বছর ধরে শহরটি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সেনা ও অস্ত্রশক্তিতে এগিয়ে থাকা সত্ত্বেও এখনো এটি দখলে নিতে পারেনি। বিশ্লেষকদের মতে, এখানকার প্রতিরক্ষা ইউক্রেনীয় বাহিনীর কৌশলগত স্থিতিশীলতার প্রমাণ বহন করে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পূর্বেই ঘোষণা দিয়েছেন যে, তাদের লক্ষ্য হলো ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল পুরোপুরি দখল করা। পোকরোভস্ককে কেন্দ্র করে রুশ কৌশলের পুনঃসংগঠনের বিষয়টিও এ লক্ষ্য অর্জনের অংশ বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা।

যুদ্ধ শুরুর আগে শহরটিতে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ বাস করতেন। তবে দীর্ঘ সময় ধরে চলা সংঘর্ষের কারণে এখন অধিকাংশ বাসিন্দা এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন।

এদিকে যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু হলেও তা আবারও স্থগিত হয়ে গেছে। ইউক্রেনীয় প্রশাসনের অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট পুতিন আলোচনার নামে সময় কিনে নতুন করে অঞ্চল দখলের পরিকল্পনা করছেন। কিয়েভ বলছে, রাশিয়ার দিক থেকে এখনো সত্যিকারের শান্তিচেষ্টার কোনো ইঙ্গিত তারা দেখতে পাচ্ছে না।

ট্যাগ

পূর্ব ইউক্রেন ঘিরে উত্তেজনা: ১.লাখ রুশ সেনা মোতায়েন

প্রকাশিত হয়েছে: ০৬:১৫:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর পোকরোভস্কের নিকটে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার রুশ সেনা অবস্থান নিয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান ওলেক্সান্ডার স্রেসকি। শুক্রবার (২৭ জুন) তিনি জানান, শহরটি দখলের উদ্দেশ্যেই রুশ বাহিনী এ বিশাল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছে। যুদ্ধক্ষেত্রের প্রায় ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার ফ্রন্টলাইনের মধ্যে এই এলাকা এখন সবচেয়ে উত্তপ্ত বলে উল্লেখ করেন তিনি।

পোকরোভস্ক দোনেৎস্ক অঞ্চলের একটি ছোট শহর হলেও, এর ভূ-রাজনৈতিক ও সামরিক গুরুত্ব বিশাল। শহরটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও রেলপথের কাছে অবস্থিত, যা দোনেৎস্কের অন্যান্য সামরিক ঘাঁটিগুলোর সঙ্গে সংযোগ তৈরি করে। এই যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে ইউক্রেনীয় সেনারা এখনো দোনেৎস্কের অনেক অংশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছেন।

রুশ বাহিনী প্রায় এক বছর ধরে শহরটি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সেনা ও অস্ত্রশক্তিতে এগিয়ে থাকা সত্ত্বেও এখনো এটি দখলে নিতে পারেনি। বিশ্লেষকদের মতে, এখানকার প্রতিরক্ষা ইউক্রেনীয় বাহিনীর কৌশলগত স্থিতিশীলতার প্রমাণ বহন করে।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পূর্বেই ঘোষণা দিয়েছেন যে, তাদের লক্ষ্য হলো ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল পুরোপুরি দখল করা। পোকরোভস্ককে কেন্দ্র করে রুশ কৌশলের পুনঃসংগঠনের বিষয়টিও এ লক্ষ্য অর্জনের অংশ বলে মনে করছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা।

যুদ্ধ শুরুর আগে শহরটিতে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ বাস করতেন। তবে দীর্ঘ সময় ধরে চলা সংঘর্ষের কারণে এখন অধিকাংশ বাসিন্দা এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন।

এদিকে যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু হলেও তা আবারও স্থগিত হয়ে গেছে। ইউক্রেনীয় প্রশাসনের অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট পুতিন আলোচনার নামে সময় কিনে নতুন করে অঞ্চল দখলের পরিকল্পনা করছেন। কিয়েভ বলছে, রাশিয়ার দিক থেকে এখনো সত্যিকারের শান্তিচেষ্টার কোনো ইঙ্গিত তারা দেখতে পাচ্ছে না।