📅 ইসলাম ধর্মে দো‘আর গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিটি মুমিনের হৃদয়ে আল্লাহর নৈকট্য লাভের আকাঙ্ক্ষা সব সময় বিদ্যমান। সেই চাওয়ার সর্বোচ্চ রূপ হচ্ছে আল্লাহর ভালোবাসা অর্জনের প্রার্থনা। ইসলামের শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.) একান্তভাবে আল্লাহর ভালোবাসা কামনা করে যে দো‘আ করেছেন, তা মুসলিমদের নিকট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দো‘আ হিসেবে বিবেচিত।

📜 উক্ত দো‘আটি হলো: “اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ حُبَّكَ” — যার অর্থ: “হে আল্লাহ! আমি আপনার ভালোবাসা চাই।” এই সংক্ষিপ্ত কিন্তু গভীর দো‘আটি হাদীস দ্বারা প্রমাণিত এবং বহু প্রখ্যাত সাহাবী তা রাসূলুল্লাহ (সা.) থেকে বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি তিরমিযী, হাকিম ও মুসনাদে আহমাদসহ বিভিন্ন হাদীস গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে।

🕊️ ইসলামি চিন্তাবিদদের মতে, এ দো‘আ মানুষের আত্মিক পরিশুদ্ধির মাধ্যম। আল্লাহর ভালোবাসা যে অর্জন করতে পারে, সে ব্যক্তি দুনিয়ার মোহ ও শয়তানী প্ররোচনার ঊর্ধ্বে উঠতে পারে। কেননা, আল্লাহ যখন কাউকে ভালোবাসেন, তখন তিনি তাঁর ফেরেশতাদেরও আদেশ দেন সেই ব্যক্তিকে ভালোবাসতে। অতঃপর দুনিয়ার মানুষদের অন্তরে তার জন্য ভালোবাসা সৃষ্টি হয়।

🕌 দো‘আটি শুধু আল্লাহর ভালোবাসা নয়, বরং আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের ভালোবাসা এবং এমন আমলের দিকেও ইঙ্গিত করে, যা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথ তৈরি করে। তাই অনেকে এই দো‘আর বর্ধিত রূপও পড়ে থাকেন: “اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ حُبَّكَ، وَحُبَّ مَنْ يُحِبُّكَ، وَالْعَمَلَ الَّذِي يُبَلِّغُنِي حُبَّكَ।”

📣 ইসলামী স্কলারগণ প্রতিদিন অন্তর থেকে এই দো‘আ পাঠের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন। দো‘আটি মুখস্থ করে সালাতের পর বা দিনের বিভিন্ন সময় পাঠ করলে হৃদয়ে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি পায় বলে তারা মত দেন।

📝 ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে, তারা যেন এই দো‘আ নিয়মিত পাঠ করেন এবং নিজেদের জীবনে আল্লাহর ভালোবাসা অর্জনের জন্য সচেষ্ট থাকেন। কারণ, আল্লাহর ভালোবাসা অর্জনই একজন মুমিনের সর্বোচ্চ সাফল্য।