০৬:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘সরকারের ছায়ায় ছিল গভর্নররা’—অর্থ উপদেষ্টার মুখ খুললেন

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নরদের ভূমিকা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ও সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, তার পরে যারা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা প্রকৃতপক্ষে ব্যাংকের স্বাধীনতা রক্ষা করেননি, বরং সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন।

সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। সালেহউদ্দিন বলেন, “আগে বাংলাদেশ ব্যাংক চলত সরকারি নির্দেশ ও আদেশে। একইসঙ্গে যারা গভর্নর ছিলেন, তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন না। ‘সরি টু সে’, তারা সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। এখন কিন্তু সে অবস্থা নেই।”

এ সময় তিনি নিজের দায়িত্বকাল প্রসঙ্গে বলেন, “আমার সময় বাংলাদেশ ব্যাংকে অর্থ মন্ত্রণালয় কোনো ইস্যু দিতে পারত না। আমি তখন সেখানে ছিলাম, স্বাধীনভাবে কাজ করেছি।”

এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও এনবিআর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চলমান অনুসন্ধান নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি সরাসরি দুদক বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, “আমি দুদক সম্পর্কে কোনো উত্তর দেবো না। তাদের আলাদা ট্র্যাক আছে, সেটা তাদের কাছেই জিজ্ঞেস করবেন।”

তবে সামগ্রিক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এখন সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করা হয় না, সেটা আপনারা লক্ষ্য করবেন। দুদক দেখবে—যদি কোনো ইস্যু থাকে। আপনারা ভাবতে পারেন, এ সময়েই কেন শুরু করল? শুধু এনবিআর নয়, আমার কাছে অনেক লোক আসছে, আমার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে, কত কিছু!”

তার এই বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে যে, অতীতে বাংলাদেশ ব্যাংক রাজনৈতিক প্রভাবের আওতায় পরিচালিত হলেও বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির কিছুটা স্বাধীনতা ফিরে এসেছে বলে তিনি মনে করেন। একইসঙ্গে দুদক নিয়ে চলমান আলোচনা ও বিতর্ক নিয়েও একটি সতর্ক এবং পরিমিত মন্তব্য করেন তিনি।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

‘সরকারের ছায়ায় ছিল গভর্নররা’—অর্থ উপদেষ্টার মুখ খুললেন

প্রকাশিত হয়েছে: ০৭:৩৬:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নরদের ভূমিকা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ও সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, তার পরে যারা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তারা প্রকৃতপক্ষে ব্যাংকের স্বাধীনতা রক্ষা করেননি, বরং সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন।

সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। সালেহউদ্দিন বলেন, “আগে বাংলাদেশ ব্যাংক চলত সরকারি নির্দেশ ও আদেশে। একইসঙ্গে যারা গভর্নর ছিলেন, তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন না। ‘সরি টু সে’, তারা সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। এখন কিন্তু সে অবস্থা নেই।”

এ সময় তিনি নিজের দায়িত্বকাল প্রসঙ্গে বলেন, “আমার সময় বাংলাদেশ ব্যাংকে অর্থ মন্ত্রণালয় কোনো ইস্যু দিতে পারত না। আমি তখন সেখানে ছিলাম, স্বাধীনভাবে কাজ করেছি।”

এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও এনবিআর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চলমান অনুসন্ধান নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি সরাসরি দুদক বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, “আমি দুদক সম্পর্কে কোনো উত্তর দেবো না। তাদের আলাদা ট্র্যাক আছে, সেটা তাদের কাছেই জিজ্ঞেস করবেন।”

তবে সামগ্রিক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এখন সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করা হয় না, সেটা আপনারা লক্ষ্য করবেন। দুদক দেখবে—যদি কোনো ইস্যু থাকে। আপনারা ভাবতে পারেন, এ সময়েই কেন শুরু করল? শুধু এনবিআর নয়, আমার কাছে অনেক লোক আসছে, আমার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে, কত কিছু!”

তার এই বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে যে, অতীতে বাংলাদেশ ব্যাংক রাজনৈতিক প্রভাবের আওতায় পরিচালিত হলেও বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির কিছুটা স্বাধীনতা ফিরে এসেছে বলে তিনি মনে করেন। একইসঙ্গে দুদক নিয়ে চলমান আলোচনা ও বিতর্ক নিয়েও একটি সতর্ক এবং পরিমিত মন্তব্য করেন তিনি।