১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্যের ডাক খালেদা জিয়ার

বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি আয়োজিত ‘জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান’-এর শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এই আহ্বান জানান।

গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, “আমাদের সামনে এখন যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা কাজে লাগিয়ে নতুন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।”

তিনি বলেন, “যে কোনো মূল্যে বীরের রক্তস্রোত এবং মায়ের অশ্রুধারা যেন বৃথা না যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের ঐক্য বজায় রাখতে হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে শহীদ জিয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে যাই এবং কোটি মানুষের নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে কাজ করি।”

বক্তব্যের শুরুতে তিনি স্মরণ করেন বিগত বছরের রক্তস্নাত জুলাই-আগস্ট মাসকে। তার ভাষায়, “দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট শাসকেরা নির্মম নির্যাতন, খুন, গুম ও একদলীয় শাসন কায়েম করে গণতন্ত্রকে ধ্বংসের চেষ্টা করেছে। তবে ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সেই ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে, নতুন করে বাংলাদেশ গড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।”

আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, “তাদের আত্মত্যাগ জাতি চিরকাল মনে রাখবে। গুম, খুন ও বিচারবর্হিভূত হত্যার শিকারদের তালিকা তৈরি করে দ্রুত বিচার এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে তাদের পরিবারগুলোর পুনর্বাসন ও নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করাও জরুরি।”

‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ : জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে বিকেল ৩টায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশজুড়ে দলীয় নেতাকর্মী ও শহীদদের পরিবারের উপস্থিতিতে এ আয়োজনটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ রাজনৈতিক বার্তা হয়ে উঠে।

ট্যাগ

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্যের ডাক খালেদা জিয়ার

প্রকাশিত হয়েছে: ০৯:৪৬:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপি আয়োজিত ‘জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান’-এর শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এই আহ্বান জানান।

গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, “আমাদের সামনে এখন যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা কাজে লাগিয়ে নতুন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।”

তিনি বলেন, “যে কোনো মূল্যে বীরের রক্তস্রোত এবং মায়ের অশ্রুধারা যেন বৃথা না যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের ঐক্য বজায় রাখতে হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে শহীদ জিয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে যাই এবং কোটি মানুষের নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে কাজ করি।”

বক্তব্যের শুরুতে তিনি স্মরণ করেন বিগত বছরের রক্তস্নাত জুলাই-আগস্ট মাসকে। তার ভাষায়, “দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট শাসকেরা নির্মম নির্যাতন, খুন, গুম ও একদলীয় শাসন কায়েম করে গণতন্ত্রকে ধ্বংসের চেষ্টা করেছে। তবে ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সেই ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে, নতুন করে বাংলাদেশ গড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।”

আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, “তাদের আত্মত্যাগ জাতি চিরকাল মনে রাখবে। গুম, খুন ও বিচারবর্হিভূত হত্যার শিকারদের তালিকা তৈরি করে দ্রুত বিচার এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে তাদের পরিবারগুলোর পুনর্বাসন ও নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করাও জরুরি।”

‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ : জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে বিকেল ৩টায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশজুড়ে দলীয় নেতাকর্মী ও শহীদদের পরিবারের উপস্থিতিতে এ আয়োজনটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ রাজনৈতিক বার্তা হয়ে উঠে।