১০:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কমলে বিশ্বজুড়ে বাড়বে অকাল মৃত্যু: ল্যানসেট

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইড-এর বাজেট কাটছাঁট এবং সংস্থাটি ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। দ্য ল্যানসেট-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে এ কারণে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটতে পারে। এর মধ্যে ৪৫ লাখেরও বেশি শিশু (৫ বছরের নিচে) থাকবে।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, ট্রাম্প প্রশাসন ২০২৫ সাল থেকেই ইউএসএইডের বাজেট কমিয়ে দিচ্ছে। যুক্তি হিসেবে বলা হচ্ছে—“অপ্রয়োজনীয় খরচ কমানো”। তবে মানবাধিকারকর্মী ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউএসএইড বহু দরিদ্র ও মধ্যম আয়ের দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার অন্যতম প্রধান ভিত্তি ছিল।

গবেষণায় বলা হয়, গত দুই দশকে ইউএসএইডের সহায়তায় পরিচালিত কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে ৯ কোটি ১০ লাখ প্রাণ বাঁচানো গেছে। এর মধ্যে ৩০ মিলিয়নের বেশি শিশু রয়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে যদি তহবিল কমানোর সিদ্ধান্ত স্থায়ী হয় এবং সহায়তা ফিরিয়ে না আনা হয়, তাহলে আগামী পাঁচ বছরে বিপর্যয়কর পরিণতি দেখা দিতে পারে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, মাত্র ছয় সপ্তাহের এক পর্যালোচনার পর ইউএসএইডের ৮০ শতাংশ প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট প্রায় ১,০০০ প্রকল্প এখন পররাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, বিশ্বমানবিক সহায়তার ৩৮ শতাংশ আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। শুধু ২০২৪ সালেই যুক্তরাষ্ট্র ৬১ বিলিয়ন ডলার বিদেশি সাহায্য দিয়েছে, যার অর্ধেকেরও বেশি গেছে ইউএসএইডের মাধ্যমে।

গবেষকরা সতর্ক করেছেন, এই তহবিল সংকোচনের ফলে “অপ্রয়োজনীয় ও প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু”র হার ভয়াবহভাবে বেড়ে যেতে পারে, যা বৈশ্বিক মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনবে।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা কমলে বিশ্বজুড়ে বাড়বে অকাল মৃত্যু: ল্যানসেট

প্রকাশিত হয়েছে: ০৩:৪৭:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইড-এর বাজেট কাটছাঁট এবং সংস্থাটি ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে। দ্য ল্যানসেট-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে এ কারণে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটতে পারে। এর মধ্যে ৪৫ লাখেরও বেশি শিশু (৫ বছরের নিচে) থাকবে।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, ট্রাম্প প্রশাসন ২০২৫ সাল থেকেই ইউএসএইডের বাজেট কমিয়ে দিচ্ছে। যুক্তি হিসেবে বলা হচ্ছে—“অপ্রয়োজনীয় খরচ কমানো”। তবে মানবাধিকারকর্মী ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউএসএইড বহু দরিদ্র ও মধ্যম আয়ের দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার অন্যতম প্রধান ভিত্তি ছিল।

গবেষণায় বলা হয়, গত দুই দশকে ইউএসএইডের সহায়তায় পরিচালিত কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে ৯ কোটি ১০ লাখ প্রাণ বাঁচানো গেছে। এর মধ্যে ৩০ মিলিয়নের বেশি শিশু রয়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে যদি তহবিল কমানোর সিদ্ধান্ত স্থায়ী হয় এবং সহায়তা ফিরিয়ে না আনা হয়, তাহলে আগামী পাঁচ বছরে বিপর্যয়কর পরিণতি দেখা দিতে পারে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, মাত্র ছয় সপ্তাহের এক পর্যালোচনার পর ইউএসএইডের ৮০ শতাংশ প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট প্রায় ১,০০০ প্রকল্প এখন পররাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, বিশ্বমানবিক সহায়তার ৩৮ শতাংশ আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। শুধু ২০২৪ সালেই যুক্তরাষ্ট্র ৬১ বিলিয়ন ডলার বিদেশি সাহায্য দিয়েছে, যার অর্ধেকেরও বেশি গেছে ইউএসএইডের মাধ্যমে।

গবেষকরা সতর্ক করেছেন, এই তহবিল সংকোচনের ফলে “অপ্রয়োজনীয় ও প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু”র হার ভয়াবহভাবে বেড়ে যেতে পারে, যা বৈশ্বিক মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনবে।