০৪:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় গণহত্যার জবাব কেএলপির তরফে: ইসরায়েল-মিত্র কোম্পানি বয়কট

দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে সরঞ্জাম সরবরাহ করা দুটি বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে সব ধরনের বিনিয়োগ সম্পর্ক ছিন্ন করেছে নরওয়ের বৃহত্তম পেনশন কোম্পানি কেএলপি (KLP)। গাজায় ইসরায়েলি সামরিক হামলায় এসব সরঞ্জাম ব্যবহারের তথ্য সামনে আসার পর প্রতিষ্ঠানটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানানো হয়।

বিনিয়োগ বন্ধের তালিকায় থাকা দুটি কোম্পানির একটি হলো যুক্তরাষ্ট্রের অশকশ করপোরেশন (Oshkosh Corporation), যা সামরিক ট্রাক, সাঁজোয়া যান ও ভারী যন্ত্রপাতি নির্মাণে পরিচিত। অপরটি জার্মানির থুইসেনক্রুপ (Thyssenkrupp)—যা যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন, লিফট ও অন্যান্য শিল্প-সামগ্রী উৎপাদন করে থাকে।

কেএলপি জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গাজায় বেসামরিক জনগণের ওপর পরিচালিত হামলায় এসব সামরিক সরঞ্জামের সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে এমন প্রমাণ পাওয়ার পর তারা তাদের নীতিমালা অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তাদের বিনিয়োগ নীতিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত কোনো কোম্পানিকে সমর্থন না করার কঠোর শর্ত রয়েছে।

এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তাদের মতে, গাজায় চলমান গণহত্যার প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর এ ধরনের অবস্থান নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ এবং অন্যদের জন্য একটি নৈতিক দৃষ্টান্ত তৈরি করবে।

উল্লেখ্য, এর আগেও কেএলপি দখলদার ইসরায়েলের বসতি নির্মাণে জড়িত ১৬টি কোম্পানির সঙ্গে বিনিয়োগ সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল। এবার তারা সরাসরি সামরিক সরঞ্জাম সংক্রান্ত দুই বৃহৎ কোম্পানি থেকে সরে দাঁড়াল।

বিশ্লেষকরা বলছেন, কেএলপির এই পদক্ষেপ কেবল অর্থনৈতিক নয়, বরং একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বার্তাও বহন করে। এতে করে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের কাছে এক ধরনের চাপ তৈরি হবে—মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যুক্ত প্রকল্পগুলো থেকে সরে আসার জন্য।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

গাজায় গণহত্যার জবাব কেএলপির তরফে: ইসরায়েল-মিত্র কোম্পানি বয়কট

প্রকাশিত হয়েছে: ০৭:৪৬:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর কাছে সরঞ্জাম সরবরাহ করা দুটি বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে সব ধরনের বিনিয়োগ সম্পর্ক ছিন্ন করেছে নরওয়ের বৃহত্তম পেনশন কোম্পানি কেএলপি (KLP)। গাজায় ইসরায়েলি সামরিক হামলায় এসব সরঞ্জাম ব্যবহারের তথ্য সামনে আসার পর প্রতিষ্ঠানটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানানো হয়।

বিনিয়োগ বন্ধের তালিকায় থাকা দুটি কোম্পানির একটি হলো যুক্তরাষ্ট্রের অশকশ করপোরেশন (Oshkosh Corporation), যা সামরিক ট্রাক, সাঁজোয়া যান ও ভারী যন্ত্রপাতি নির্মাণে পরিচিত। অপরটি জার্মানির থুইসেনক্রুপ (Thyssenkrupp)—যা যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন, লিফট ও অন্যান্য শিল্প-সামগ্রী উৎপাদন করে থাকে।

কেএলপি জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গাজায় বেসামরিক জনগণের ওপর পরিচালিত হামলায় এসব সামরিক সরঞ্জামের সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে এমন প্রমাণ পাওয়ার পর তারা তাদের নীতিমালা অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তাদের বিনিয়োগ নীতিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত কোনো কোম্পানিকে সমর্থন না করার কঠোর শর্ত রয়েছে।

এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তাদের মতে, গাজায় চলমান গণহত্যার প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর এ ধরনের অবস্থান নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ এবং অন্যদের জন্য একটি নৈতিক দৃষ্টান্ত তৈরি করবে।

উল্লেখ্য, এর আগেও কেএলপি দখলদার ইসরায়েলের বসতি নির্মাণে জড়িত ১৬টি কোম্পানির সঙ্গে বিনিয়োগ সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল। এবার তারা সরাসরি সামরিক সরঞ্জাম সংক্রান্ত দুই বৃহৎ কোম্পানি থেকে সরে দাঁড়াল।

বিশ্লেষকরা বলছেন, কেএলপির এই পদক্ষেপ কেবল অর্থনৈতিক নয়, বরং একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বার্তাও বহন করে। এতে করে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের কাছে এক ধরনের চাপ তৈরি হবে—মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যুক্ত প্রকল্পগুলো থেকে সরে আসার জন্য।