রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আসন্ন নির্বাচনপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা এবং পারস্পরিক রাজনৈতিক সংবেদনশীলতা আরও একবার প্রকাশ্যে এসেছে। সূত্র জানায়, পুতিন একটি আন্তর্জাতিক ফোরামে অংশগ্রহণে বাধা দেন, শুধুমাত্র এই আশঙ্কায় যে এতে ট্রাম্প "অসন্তুষ্ট" হতে পারেন।
দুই পক্ষের ঘনিষ্ঠ সূত্র এবং প্রেসিডেন্টদের নিজস্ব বক্তব্যে জানা যায়, পুতিন মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে ট্রাম্পকে ফোন করেন। এই দ্রুত যোগাযোগের বিষয়টি উভয় নেতা নিজেরাই নিশ্চিত করেছেন, যা তাদের বর্তমান কূটনৈতিক সমন্বয়ের গভীরতা তুলে ধরে।
জানা গেছে, পুতিনের মূল উদ্বেগ ছিল— তিনি কোনো এমন বক্তব্য বা উপস্থিতি রাখতে চান না, যা ট্রাম্পের দৃষ্টিতে বিরূপ প্রতিফলিত হতে পারে। এই বিষয়ে তার ‘সহকর্মী’ ট্রাম্পের প্রতি একধরনের ‘আন্তরিকতা’ ও ‘সতর্কতা’ প্রকাশ পেয়েছে। এরফলে, ফোরামে উপস্থিত না থেকে তিনি সরাসরি ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার পথ বেছে নেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনাটি শুধু পুতিন-ট্রাম্প সম্পর্কের ব্যক্তিগত মাত্রা নয়, বরং ভবিষ্যতের যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্কের কূটনৈতিক টেম্পারেচার হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে। বিশেষ করে এমন সময় যখন বিশ্বব্যাপী নেতৃস্থানীয় শক্তিগুলোর মধ্যে উত্তেজনা, স্বার্থসংঘাত এবং পরবর্তী নেতৃত্ব কে হবেন তা নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষাপটে দুই নেতার প্রত্যক্ষ যোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করছে। আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের সম্ভাব্য জয় রাশিয়ার কাছে কৌশলগত সুযোগ হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
প্রকাশক ও সম্পাদক
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।