১০:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিশু ও নারীসহ শহীদ বহু ফিলিস্তিনি, বাস্তবতায় নেই শান্তির প্রতিশ্রুতি

গাজা উপত্যকায় আবারও ইসরাইলি বাহিনীর ভয়াবহ বিমান ও স্থল হামলায় রক্তাক্ত হলো অবরুদ্ধ ফিলিস্তিন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দিনভর ও রাতভর চালানো এ হামলায় অন্তত ১০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আহত হয়েছেন শত শত মানুষ।

এই হামলা এমন এক সময়ে ঘটেছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং আসন্ন নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে তার প্রচারণা বার্তায় যুদ্ধবিরতি ও আলোচনার অঙ্গীকার থাকলেও, বাস্তবে গাজায় পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাজার উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়া, বেইত লাহিয়া ও খান ইউনিস এলাকায় ইসরাইলি বিমান থেকে একের পর এক বোমা ফেলা হয়। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো বহু মানুষ আটকে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে জায়গার সংকট দেখা দিয়েছে। বহু শিশু ও নারী নিহতদের তালিকায় রয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “ইসরাইল আমাদের কোনো মানবিক সুযোগ না দিয়েই অব্যাহতভাবে যুদ্ধাপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিনই আমাদের হারাতে হচ্ছে নিরীহ শিশু, মা ও পরিবার।” এই বিবৃতির সঙ্গে হাসপাতালগুলো থেকে দেওয়া ছবিতে ধ্বংস, ধুঁকতে থাকা শিশু ও আহাজারি করা স্বজনদের চিত্র উঠে আসে।

অন্যদিকে, বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি মধ্যপ্রাচ্যের জনমানুষের কাছে এখন নিছক এক রাজনৈতিক প্রচারণার অংশ। কারণ তার প্রশাসনই একসময় ইসরাইলকে সবুজ সংকেত দিয়েছিল পূর্ব জেরুজালেমে বসতি সম্প্রসারণ এবং হামাসকে দমন করার নামে নির্বিচারে আক্রমণ চালাতে।

এদিকে, জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো বারবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে এলেও ইসরাইল তা মানছে না। বরং হামলার মাত্রা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। ফলে গাজায় মানবিক বিপর্যয় আরও গভীর হচ্ছে।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

শিশু ও নারীসহ শহীদ বহু ফিলিস্তিনি, বাস্তবতায় নেই শান্তির প্রতিশ্রুতি

প্রকাশিত হয়েছে: ০৭:৩৬:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

গাজা উপত্যকায় আবারও ইসরাইলি বাহিনীর ভয়াবহ বিমান ও স্থল হামলায় রক্তাক্ত হলো অবরুদ্ধ ফিলিস্তিন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দিনভর ও রাতভর চালানো এ হামলায় অন্তত ১০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আহত হয়েছেন শত শত মানুষ।

এই হামলা এমন এক সময়ে ঘটেছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং আসন্ন নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে তার প্রচারণা বার্তায় যুদ্ধবিরতি ও আলোচনার অঙ্গীকার থাকলেও, বাস্তবে গাজায় পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাজার উত্তরাঞ্চলীয় জাবালিয়া, বেইত লাহিয়া ও খান ইউনিস এলাকায় ইসরাইলি বিমান থেকে একের পর এক বোমা ফেলা হয়। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো বহু মানুষ আটকে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে জায়গার সংকট দেখা দিয়েছে। বহু শিশু ও নারী নিহতদের তালিকায় রয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “ইসরাইল আমাদের কোনো মানবিক সুযোগ না দিয়েই অব্যাহতভাবে যুদ্ধাপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিনই আমাদের হারাতে হচ্ছে নিরীহ শিশু, মা ও পরিবার।” এই বিবৃতির সঙ্গে হাসপাতালগুলো থেকে দেওয়া ছবিতে ধ্বংস, ধুঁকতে থাকা শিশু ও আহাজারি করা স্বজনদের চিত্র উঠে আসে।

অন্যদিকে, বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি মধ্যপ্রাচ্যের জনমানুষের কাছে এখন নিছক এক রাজনৈতিক প্রচারণার অংশ। কারণ তার প্রশাসনই একসময় ইসরাইলকে সবুজ সংকেত দিয়েছিল পূর্ব জেরুজালেমে বসতি সম্প্রসারণ এবং হামাসকে দমন করার নামে নির্বিচারে আক্রমণ চালাতে।

এদিকে, জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো বারবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে এলেও ইসরাইল তা মানছে না। বরং হামলার মাত্রা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। ফলে গাজায় মানবিক বিপর্যয় আরও গভীর হচ্ছে।