১০:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি, বন্দিমুক্তি ও গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের ইঙ্গিত

গাজা সংকট নিরসনের সম্ভাব্য একটি নতুন পথ উন্মুক্ত করেছে কাতার। ইসরায়েলি সম্প্রচারমাধ্যম ‘কান’ চ্যানেল কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, দোহা একটি নতুন বন্দি বিনিময় প্রস্তাব উত্থাপন করেছে, যার আওতায় যুদ্ধবিরতি, বন্দিমুক্তি এবং সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রস্তাব অনুযায়ী, ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে, যেখানে প্রথম দিনেই ইসরায়েলের হাতে থাকা ৮ জন জীবিত বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। এরপর ৫০তম দিনে আরও ২ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া ১৮ জন বন্দির মরদেহ তিন ধাপে হস্তান্তর করা হবে।

এ প্রস্তাবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ইসরায়েলি সেনারা মোড়াগ (Morag) অঞ্চল থেকে সরে যাবে, এবং একইসাথে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবাহ বাড়ানো হবে। যা দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ অঞ্চলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

তবে সূত্রগুলো সতর্ক করে বলছে, এখনো চুক্তিটি চূড়ান্ত নয়। যুদ্ধের সম্পূর্ণ সমাপ্তি ও সেনা প্রত্যাহারের মাত্রা নিয়ে মতপার্থক্য রয়ে গেছে। তারপরও আলোচনার অগ্রগতি ও প্রস্তাবের গঠন দেখে কূটনৈতিকরা এটিকে একটি বাস্তবসম্মত ও সম্ভাবনাময় উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন।

এই প্রস্তাবটি এমন এক সময়ে সামনে এলো, যখন গাজা পরিস্থিতি চরম মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক মহলের চাপ আরও বেড়ে চলছে।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি, বন্দিমুক্তি ও গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের ইঙ্গিত

প্রকাশিত হয়েছে: ০৯:৫১:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

গাজা সংকট নিরসনের সম্ভাব্য একটি নতুন পথ উন্মুক্ত করেছে কাতার। ইসরায়েলি সম্প্রচারমাধ্যম ‘কান’ চ্যানেল কূটনৈতিক সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, দোহা একটি নতুন বন্দি বিনিময় প্রস্তাব উত্থাপন করেছে, যার আওতায় যুদ্ধবিরতি, বন্দিমুক্তি এবং সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রস্তাব অনুযায়ী, ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে, যেখানে প্রথম দিনেই ইসরায়েলের হাতে থাকা ৮ জন জীবিত বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। এরপর ৫০তম দিনে আরও ২ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া ১৮ জন বন্দির মরদেহ তিন ধাপে হস্তান্তর করা হবে।

এ প্রস্তাবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ইসরায়েলি সেনারা মোড়াগ (Morag) অঞ্চল থেকে সরে যাবে, এবং একইসাথে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবাহ বাড়ানো হবে। যা দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ অঞ্চলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

তবে সূত্রগুলো সতর্ক করে বলছে, এখনো চুক্তিটি চূড়ান্ত নয়। যুদ্ধের সম্পূর্ণ সমাপ্তি ও সেনা প্রত্যাহারের মাত্রা নিয়ে মতপার্থক্য রয়ে গেছে। তারপরও আলোচনার অগ্রগতি ও প্রস্তাবের গঠন দেখে কূটনৈতিকরা এটিকে একটি বাস্তবসম্মত ও সম্ভাবনাময় উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন।

এই প্রস্তাবটি এমন এক সময়ে সামনে এলো, যখন গাজা পরিস্থিতি চরম মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক মহলের চাপ আরও বেড়ে চলছে।