
তুর্কি ডিফেন্স কোম্পানি বেকার কর্তৃক ইতালির বিখ্যাত মহাকাশ প্রতিষ্ঠান পিয়াজিও অ্যারোস্পেস অধিগ্রহণের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তিকে ইউরোপের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন ইতালির ব্যবসা ও শিল্পমন্ত্রী অ্যাডলফো উরসো।
সোমবার রোমে তুর্কি দূতাবাসে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন মন্ত্রী উরসো। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তুর্কি রাষ্ট্রদূত এলিফ উলগেন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ইতালীয় বিমান বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল আন্তোনিও কনসারভা, বেকারের সিইও হালুক বায়রাক্টার, পিয়াজিও অ্যারোস্পেসের পরিচালনাকারী কমিশনারসহ উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গ।
মন্ত্রী উরসো বলেন, “এই অধিগ্রহণ প্রতীকী, গুরুত্বপূর্ণ এবং কৌশলগত। এটি শুধু একটি ব্যবসায়িক লেনদেন নয়, বরং ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা অবকাঠামোকে শক্তিশালী করার দিকেও এক সাহসী পদক্ষেপ।” তিনি আরও জানান, বেকারের বিনিয়োগের লক্ষ্য হচ্ছে পিয়াজিওর বিমান নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও ইঞ্জিন উৎপাদনের সক্ষমতাকে পুনরুজ্জীবিত করা।
তুর্কি কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই অধিগ্রহণ শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত উন্নয়ন নয়, বরং পিয়াজিও অ্যারোস্পেসের ১৪০ বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করেও নতুন যুগের সূচনা করবে। ১৮৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত পিয়াজিও ইতোমধ্যে ২৫টিরও বেশি বিমান মডেল তৈরি করেছে এবং প্রতিরক্ষা খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
২০২৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর বেকার আনুষ্ঠানিকভাবে পিয়াজিও অ্যারোস্পেস অধিগ্রহণের ঘোষণা দেয়। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে বেকার ইউরোপীয় বিমান বাজারে তার অবস্থান আরও দৃঢ় করবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
প্রতিষ্ঠানটি বিখ্যাত বায়রাক্তার টিবি২ এবং আকিঞ্চি ড্রোন তৈরি করে ইতিমধ্যে ৩৫টিরও বেশি দেশে রপ্তানি করেছে। কোম্পানিটির ৯০ শতাংশেরও বেশি আয় আসে রপ্তানি থেকে, যা বৈশ্বিক প্রতিরক্ষা বাজারে তাদের ব্যাপক উপস্থিতি নির্দেশ করে।
এই অধিগ্রহণের ফলে শুধু দুটি দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক নয়, বরং ইউরোপজুড়ে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা খাতে একটি নতুন অধ্যায় শুরু হলো বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা।