১০:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে দক্ষিণ লেবাননে ফের হামলা চালাল ইসরায়েল

ইসরায়েল আবারও যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান ও স্থল হামলা চালিয়েছে। শুক্রবার নাবাতিয়েহ প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় গোলা নিক্ষেপ করে একটি বাড়ি, একটি কাপড়ের কারখানা ও একটি সরকারি বুলডোজার ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ)।

লেবাননের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি এক প্রতিবেদনে জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে আইতা আল-শাব শহরের একটি বাড়ি, মেইস এল জাবাল শহরের একটি সরকারি বুলডোজার এবং মারজাইউন শহরের একটি কাপড়ের কারখানায় গোলাবর্ষণ চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। সব স্থাপনাই সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। ওই এক মাসব্যাপী অভিযানে তারা দাবি করে, হিজবুল্লাহর প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ও স্থাপনা ধ্বংস করেছে এবং সংগঠনটির শীর্ষ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ-সহ প্রথম সারির বহু কমান্ডারকে হত্যা করেছে।

এই অভিযানের ধারাবাহিকতায় ইসরায়েলি সেনারা দক্ষিণ লেবাননে ঘাঁটি স্থাপন করে। সেখানেই হিজবুল্লাহর প্রধান ঘাঁটিগুলো অবস্থিত বলে মনে করা হয়।

এরপর ২০২৩ সালের নভেম্বরে লেবাননের সরকারের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি করে ইসরায়েল। সেই চুক্তির মূল শর্ত ছিল— ইসরায়েলি সেনারা লেবানন থেকে সরে যাবে এবং ভবিষ্যতে সেখানে আর কোনো সামরিক অভিযান চালাবে না।

কিন্তু যুদ্ধবিরতির আট মাস পার হলেও ইসরায়েলি সেনারা এখনো দক্ষিণ লেবানন ত্যাগ করেনি। বরং বারবার লঙ্ঘন করছে চুক্তির শর্ত। সর্বশেষ হামলাটি এরই প্রমাণ।

এদিকে সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লেবাননের সরকারকে একটি কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই বছরের নভেম্বরের মধ্যে হিজবুল্লাহ যদি অস্ত্র জমা না দেয়, তাহলে ডিসেম্বর থেকে আবারও বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করবে ইসরায়েল।

তবে হিজবুল্লাহ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা অস্ত্র সমর্পণ করতে রাজি নয় এবং প্রতিরোধ অব্যাহত রাখবে।

এই পরিস্থিতিতে লেবাননে আবারও বড় সংঘাতের শঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে দক্ষিণ লেবাননে ফের হামলা চালাল ইসরায়েল

প্রকাশিত হয়েছে: ১১:০৫:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫

ইসরায়েল আবারও যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে বিমান ও স্থল হামলা চালিয়েছে। শুক্রবার নাবাতিয়েহ প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় গোলা নিক্ষেপ করে একটি বাড়ি, একটি কাপড়ের কারখানা ও একটি সরকারি বুলডোজার ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ)।

লেবাননের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি এক প্রতিবেদনে জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে আইতা আল-শাব শহরের একটি বাড়ি, মেইস এল জাবাল শহরের একটি সরকারি বুলডোজার এবং মারজাইউন শহরের একটি কাপড়ের কারখানায় গোলাবর্ষণ চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। সব স্থাপনাই সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। ওই এক মাসব্যাপী অভিযানে তারা দাবি করে, হিজবুল্লাহর প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ও স্থাপনা ধ্বংস করেছে এবং সংগঠনটির শীর্ষ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ-সহ প্রথম সারির বহু কমান্ডারকে হত্যা করেছে।

এই অভিযানের ধারাবাহিকতায় ইসরায়েলি সেনারা দক্ষিণ লেবাননে ঘাঁটি স্থাপন করে। সেখানেই হিজবুল্লাহর প্রধান ঘাঁটিগুলো অবস্থিত বলে মনে করা হয়।

এরপর ২০২৩ সালের নভেম্বরে লেবাননের সরকারের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি করে ইসরায়েল। সেই চুক্তির মূল শর্ত ছিল— ইসরায়েলি সেনারা লেবানন থেকে সরে যাবে এবং ভবিষ্যতে সেখানে আর কোনো সামরিক অভিযান চালাবে না।

কিন্তু যুদ্ধবিরতির আট মাস পার হলেও ইসরায়েলি সেনারা এখনো দক্ষিণ লেবানন ত্যাগ করেনি। বরং বারবার লঙ্ঘন করছে চুক্তির শর্ত। সর্বশেষ হামলাটি এরই প্রমাণ।

এদিকে সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লেবাননের সরকারকে একটি কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই বছরের নভেম্বরের মধ্যে হিজবুল্লাহ যদি অস্ত্র জমা না দেয়, তাহলে ডিসেম্বর থেকে আবারও বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করবে ইসরায়েল।

তবে হিজবুল্লাহ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা অস্ত্র সমর্পণ করতে রাজি নয় এবং প্রতিরোধ অব্যাহত রাখবে।

এই পরিস্থিতিতে লেবাননে আবারও বড় সংঘাতের শঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।