০৬:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জন্মহার বাড়াতে আর্থিক প্রণোদনা, সন্তান পিছু নগদ সহায়তা দেবে চীন

বিশ্বের এক সময়ের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চীন বর্তমানে মারাত্মক জন্মহার সংকটে ভুগছে। এ সমস্যা সমাধানে নতুন একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে দেশটির সরকার। প্রকল্প অনুযায়ী, সন্তান জন্ম দিলেই চীনা দম্পতিরা পাবেন নগদ অর্থ সহায়তা।

সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইট টাইমস জানায়, ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এ পরিকল্পনা কার্যকর হবে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সন্তান জন্ম দেওয়া প্রত্যেক দম্পতিকে সন্তান লালন-পালনের জন্য বছরে একবার ৩ হাজার ৬০০ ইউয়ান করে দেওয়া হবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৭৮ হাজার ৪৮৪ টাকা। শিশুর বয়স তিন বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত এই সহায়তা চালু থাকবে।

চীনের জনসংখ্যা বর্তমানে প্রায় ১৪১ কোটি। এক সময় বিশ্বের শীর্ষ জনবহুল দেশ ছিল চীন, তবে ২০২৩ সালে সেই অবস্থান হারিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে আসে তারা। বর্তমানে ভারত রয়েছে প্রথম স্থানে।

উল্লেখ্য, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে চীন ১৯৮০-এর দশকে ‘এক সন্তান নীতি’ চালু করেছিল। তবে ২০১০ সালের পর থেকে জন্মহার হ্রাস পেতে শুরু করে। এতে লিঙ্গ ভারসাম্যহীনতা, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংকট এবং প্রবীণ জনগণের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যাগুলো সামনে আসে।

ফলে ২০১৬ সালে চীন এক সন্তান নীতি বাতিল করে দুই সন্তানের অনুমতি দেয়। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় ২০২১ সালে চালু হয় তিন সন্তান নীতি। তবুও জন্মহার হ্রাস থামেনি। বরং ২০২২, ২০২৩ এবং ২০২৪— এই তিন বছরেই চীন সর্বনিম্ন জন্মহারের রেকর্ড করেছে।

জাতিসংঘের এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চীন যদি জন্মহার বাড়াতে না পারে, তাহলে ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা কমে ১৩০ কোটিতে নামবে। আর ২১০০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা আরও কমে গিয়ে দাঁড়াবে মাত্র ৮০ কোটিতে।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে পরিচিত চীন জনসংখ্যা হ্রাসকে এখন জাতীয় সংকট হিসেবেই দেখছে। তাই পরিবারগুলোকে সন্তান নিতে উৎসাহিত করতে অর্থনৈতিক প্রণোদনা দিয়ে জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করছে বেইজিং।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জন্মহার বাড়াতে আর্থিক প্রণোদনা, সন্তান পিছু নগদ সহায়তা দেবে চীন

প্রকাশিত হয়েছে: ১১:২৯:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫

বিশ্বের এক সময়ের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চীন বর্তমানে মারাত্মক জন্মহার সংকটে ভুগছে। এ সমস্যা সমাধানে নতুন একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে দেশটির সরকার। প্রকল্প অনুযায়ী, সন্তান জন্ম দিলেই চীনা দম্পতিরা পাবেন নগদ অর্থ সহায়তা।

সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইট টাইমস জানায়, ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এ পরিকল্পনা কার্যকর হবে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সন্তান জন্ম দেওয়া প্রত্যেক দম্পতিকে সন্তান লালন-পালনের জন্য বছরে একবার ৩ হাজার ৬০০ ইউয়ান করে দেওয়া হবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৭৮ হাজার ৪৮৪ টাকা। শিশুর বয়স তিন বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত এই সহায়তা চালু থাকবে।

চীনের জনসংখ্যা বর্তমানে প্রায় ১৪১ কোটি। এক সময় বিশ্বের শীর্ষ জনবহুল দেশ ছিল চীন, তবে ২০২৩ সালে সেই অবস্থান হারিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে আসে তারা। বর্তমানে ভারত রয়েছে প্রথম স্থানে।

উল্লেখ্য, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে চীন ১৯৮০-এর দশকে ‘এক সন্তান নীতি’ চালু করেছিল। তবে ২০১০ সালের পর থেকে জন্মহার হ্রাস পেতে শুরু করে। এতে লিঙ্গ ভারসাম্যহীনতা, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংকট এবং প্রবীণ জনগণের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যাগুলো সামনে আসে।

ফলে ২০১৬ সালে চীন এক সন্তান নীতি বাতিল করে দুই সন্তানের অনুমতি দেয়। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় ২০২১ সালে চালু হয় তিন সন্তান নীতি। তবুও জন্মহার হ্রাস থামেনি। বরং ২০২২, ২০২৩ এবং ২০২৪— এই তিন বছরেই চীন সর্বনিম্ন জন্মহারের রেকর্ড করেছে।

জাতিসংঘের এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চীন যদি জন্মহার বাড়াতে না পারে, তাহলে ২০৫০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা কমে ১৩০ কোটিতে নামবে। আর ২১০০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা আরও কমে গিয়ে দাঁড়াবে মাত্র ৮০ কোটিতে।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে পরিচিত চীন জনসংখ্যা হ্রাসকে এখন জাতীয় সংকট হিসেবেই দেখছে। তাই পরিবারগুলোকে সন্তান নিতে উৎসাহিত করতে অর্থনৈতিক প্রণোদনা দিয়ে জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করছে বেইজিং।