০৭:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে ডলারের অবস্থান অটুট থাকবে: নীতিতে পরিবর্তনের ইচ্ছা নেই যুক্তরাষ্ট্রের

বিশ্বের রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে মার্কিন ডলারের অবস্থান নিয়ে চলমান আলোচনার মাঝেই যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট বার্তা দিল—ডলারের আধিপত্য অটুট থাকবেই। মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি বেসেন্ট এক বক্তব্যে বলেছেন, ডলারকে ঘিরে সংশয়বাদীরা দীর্ঘদিন ধরে যে পতনের পূর্বাভাস দিয়ে আসছে, তা বারবার ভুল প্রমাণিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হবে।

এক সংবাদ সম্মেলনে বেসেন্ট বলেন, “আমরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য ভিত্তি প্রস্তুত করছি। আমরা মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখছি, যা যুক্তরাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক পুঁজির জন্য একটি অত্যন্ত উপযোগী গন্তব্যে পরিণত করছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে ডলারের পতনের পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবে সেই পতন দেখা যায়নি।”

ট্রেজারি সেক্রেটারির মতে, ডলারের প্রতি আস্থা ও নির্ভরশীলতা এখনও বৈশ্বিক অর্থনীতির কেন্দ্রে রয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা আমাদের নীতি পরিবর্তনের কথা ভাবছি না। বরং আমরা এমন অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তুলছি যা বিশ্ববাজারে স্থিতিশীলতা ও আস্থার প্রতীক হয়ে থাকবে।”

বিশ্বব্যাপী কিছু দেশ বিশেষ করে ব্রিকসভুক্ত রাষ্ট্রগুলো (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা) নিজেদের মধ্যে ডলারের বিকল্প মুদ্রা ব্যবহারের আহ্বান জানালেও, যুক্তরাষ্ট্র এসব উদ্যোগকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না। বেসেন্ট বলেন, “বিকল্প মুদ্রার আলোচনা নতুন নয়, কিন্তু বাস্তবতায় ডলারই টিকে আছে এবং থাকবে।”

অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ডলারের আধিপত্য রক্ষায় স্বভাবতই আত্মবিশ্বাসী। তবে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা, নিষেধাজ্ঞার রাজনীতি এবং বিকল্প পেমেন্ট সিস্টেমের উত্থান কিছুটা চাপ তৈরি করতে পারে বলেও কেউ কেউ সতর্ক করছেন।

অন্যদিকে, বেসেন্টের বক্তব্য এমন সময় এসেছে যখন বিশ্ববাজারে ডলারের প্রভাব এবং নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে। তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণাকে এক ধরনের কৌশলগত বার্তা হিসেবে দেখছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা—যা মূলত বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখার প্রয়াস।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে ডলারের অবস্থান অটুট থাকবে: নীতিতে পরিবর্তনের ইচ্ছা নেই যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশিত হয়েছে: ০৯:৫৯:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুলাই ২০২৫

বিশ্বের রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে মার্কিন ডলারের অবস্থান নিয়ে চলমান আলোচনার মাঝেই যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট বার্তা দিল—ডলারের আধিপত্য অটুট থাকবেই। মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি বেসেন্ট এক বক্তব্যে বলেছেন, ডলারকে ঘিরে সংশয়বাদীরা দীর্ঘদিন ধরে যে পতনের পূর্বাভাস দিয়ে আসছে, তা বারবার ভুল প্রমাণিত হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হবে।

এক সংবাদ সম্মেলনে বেসেন্ট বলেন, “আমরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য ভিত্তি প্রস্তুত করছি। আমরা মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখছি, যা যুক্তরাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক পুঁজির জন্য একটি অত্যন্ত উপযোগী গন্তব্যে পরিণত করছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে ডলারের পতনের পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবে সেই পতন দেখা যায়নি।”

ট্রেজারি সেক্রেটারির মতে, ডলারের প্রতি আস্থা ও নির্ভরশীলতা এখনও বৈশ্বিক অর্থনীতির কেন্দ্রে রয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা আমাদের নীতি পরিবর্তনের কথা ভাবছি না। বরং আমরা এমন অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তুলছি যা বিশ্ববাজারে স্থিতিশীলতা ও আস্থার প্রতীক হয়ে থাকবে।”

বিশ্বব্যাপী কিছু দেশ বিশেষ করে ব্রিকসভুক্ত রাষ্ট্রগুলো (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা) নিজেদের মধ্যে ডলারের বিকল্প মুদ্রা ব্যবহারের আহ্বান জানালেও, যুক্তরাষ্ট্র এসব উদ্যোগকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না। বেসেন্ট বলেন, “বিকল্প মুদ্রার আলোচনা নতুন নয়, কিন্তু বাস্তবতায় ডলারই টিকে আছে এবং থাকবে।”

অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ডলারের আধিপত্য রক্ষায় স্বভাবতই আত্মবিশ্বাসী। তবে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা, নিষেধাজ্ঞার রাজনীতি এবং বিকল্প পেমেন্ট সিস্টেমের উত্থান কিছুটা চাপ তৈরি করতে পারে বলেও কেউ কেউ সতর্ক করছেন।

অন্যদিকে, বেসেন্টের বক্তব্য এমন সময় এসেছে যখন বিশ্ববাজারে ডলারের প্রভাব এবং নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে। তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণাকে এক ধরনের কৌশলগত বার্তা হিসেবে দেখছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা—যা মূলত বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখার প্রয়াস।