
মালয়েশিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ৩৬ জন বাংলাদেশি শ্রমিককে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ খালিদ ইসমাইল জানান, গত তিন মাসে এসব বাংলাদেশিদের আটক করা হয়েছে, যারা সিরিয়া ও বাংলাদেশে আইএস সদস্যদের অর্থায়ন করছিল বলে গোয়েন্দা তথ্য থেকে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, ‘গেরাকান মিলিটান র্যাডিক্যাল বাংলাদেশ’ (জিএমআরবি) নামের একটি গোপন সংগঠন হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামে সক্রিয় ছিল। সদস্যদের কাছ থেকে বার্ষিক চাঁদা আদায় করা হতো, যা ৫০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত হতে পারত। ধারণা করা হয়, সদস্যসংখ্যা ১০০–১৫০ জনের মধ্যে।
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুতিওন ইসমাইলের বরাতে জানা গেছে, আটককৃতদের অনেকেই নির্মাণ, সেবা ও কারখানা খাতে কর্মরত ছিলেন। গ্রেফতারদের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ আইনে মামলা হয়েছে, ১৫ জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ইমিগ্রেশনে হস্তান্তর করা হয়েছে, এবং বাকি ১৬ জনের তদন্ত চলছে।
আইএস নেটওয়ার্কটি মূলত বাংলাদেশি শ্রমিকদের লক্ষ্য করে সদস্য সংগ্রহ করত এবং অর্থ পাঠাতে ই-ওয়ালেট ও আন্তর্জাতিক ফান্ড ট্রান্সফার পদ্ধতি ব্যবহার করত বলে পুলিশের দাবি। তবে কত পরিমাণ অর্থ সরবরাহ করা হয়েছে, তা প্রকাশ করেনি মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা বিস্তারিত জানতে মালয়েশিয়ার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ তৌহিদ হোসেন জানান, যাদের ফেরত পাঠানো হবে, তাদের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তদন্ত করবে।
তিনি বলেন, “যে কোনো নেতিবাচক বিষয় ভিসা প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে। আমরা যেন যথাযথ পদক্ষেপ নেই, সেটাই নিশ্চিত করতে হবে।”