১২:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজা যুদ্ধে ৭২ ইসরায়েলি সেনা অপারেশনাল দুর্ঘটনায় নিহত,

গাজায় চলমান যুদ্ধের মধ্যে ‘অপারেশনাল দুর্ঘটনায়’ নিহত ইসরায়েলি সেনাদের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। ইসরায়েলি আর্মি রেডিও শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৭২ জন সেনা ‘অপারেশনাল ঘটনায়’ নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ৩১ জন নিজেদের সেনার গুলিতে— অর্থাৎ ‘বন্ধুত্বপূর্ণ গুলিতে’ প্রাণ হারিয়েছেন।

রেডিও আরও জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে মোট নিহতের সংখ্যা ৪৪০ জন, যার মধ্যে এই অপারেশনাল মৃত্যুর হার প্রায় ১৬ শতাংশ। এই ঘটনার মধ্যে রয়েছে গুলি দুর্ঘটনা, গোলাবারুদ বিস্ফোরণ, সাঁজোয়া যানচাপা এবং কাজের সময় বিভিন্ন দুর্ঘটনা।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, অস্ত্র ও গোলাবারুদের কারণে ২৩ জন, সাঁজোয়া যানে চাপা পড়ে ৭ জন এবং বন্দুকযুদ্ধে ৬ জন সেনা নিহত হয়েছেন। এছাড়া গত ১৮ মার্চ থেকে নতুন করে শুরু হওয়া আগ্রাসনের পর আরও দুইজন সেনা এমন অপারেশনাল ঘটনার শিকার হয়েছেন।

এছাড়া দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু হিসেবে পাঁচজন সেনা নিহত হয়েছেন, যারা ইঞ্জিনিয়ারিং সরঞ্জাম ব্যবহারের সময় দুর্ঘটনার শিকার হন অথবা উচ্চতা থেকে পড়ে যান। এসব তথ্য প্রকাশ করলেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বা রেডিও এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো মন্তব্য দেয়নি।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৮৮২ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত এবং ৬,০৩২ জন আহত হয়েছে। গাজা উপত্যকাই বর্তমানে ইসরায়েলের স্থল অভিযানের মূল কেন্দ্র হলেও, ইসরায়েল একযোগে সিরিয়া, লেবানন, পশ্চিম তীর ও ইয়েমেনেও সামরিক তৎপরতা চালাচ্ছে।

অন্যদিকে, এই যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের বিপর্যয় আরও ভয়াবহ। ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রায় ১,৯২,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত বা আহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। নিখোঁজ রয়েছেন ১০,০০০-এরও বেশি মানুষ এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন ফিলিস্তিনি।

গত ১৮ বছর ধরে গাজা ইসরায়েলি অবরোধের মধ্যে থাকলেও ২০২৩ সালের যুদ্ধ পরিস্থিতি অঞ্চলটিকে মানবিক ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য ও আশ্রয়ের মৌলিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত হয়ে পড়েছে প্রায় ২.৪ মিলিয়ন জনগণ।

ট্যাগ

গাজা যুদ্ধে ৭২ ইসরায়েলি সেনা অপারেশনাল দুর্ঘটনায় নিহত,

প্রকাশিত হয়েছে: ০৫:৫৮:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫

গাজায় চলমান যুদ্ধের মধ্যে ‘অপারেশনাল দুর্ঘটনায়’ নিহত ইসরায়েলি সেনাদের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। ইসরায়েলি আর্মি রেডিও শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২৭ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৭২ জন সেনা ‘অপারেশনাল ঘটনায়’ নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ৩১ জন নিজেদের সেনার গুলিতে— অর্থাৎ ‘বন্ধুত্বপূর্ণ গুলিতে’ প্রাণ হারিয়েছেন।

রেডিও আরও জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে মোট নিহতের সংখ্যা ৪৪০ জন, যার মধ্যে এই অপারেশনাল মৃত্যুর হার প্রায় ১৬ শতাংশ। এই ঘটনার মধ্যে রয়েছে গুলি দুর্ঘটনা, গোলাবারুদ বিস্ফোরণ, সাঁজোয়া যানচাপা এবং কাজের সময় বিভিন্ন দুর্ঘটনা।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, অস্ত্র ও গোলাবারুদের কারণে ২৩ জন, সাঁজোয়া যানে চাপা পড়ে ৭ জন এবং বন্দুকযুদ্ধে ৬ জন সেনা নিহত হয়েছেন। এছাড়া গত ১৮ মার্চ থেকে নতুন করে শুরু হওয়া আগ্রাসনের পর আরও দুইজন সেনা এমন অপারেশনাল ঘটনার শিকার হয়েছেন।

এছাড়া দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু হিসেবে পাঁচজন সেনা নিহত হয়েছেন, যারা ইঞ্জিনিয়ারিং সরঞ্জাম ব্যবহারের সময় দুর্ঘটনার শিকার হন অথবা উচ্চতা থেকে পড়ে যান। এসব তথ্য প্রকাশ করলেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বা রেডিও এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো মন্তব্য দেয়নি।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৮৮২ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত এবং ৬,০৩২ জন আহত হয়েছে। গাজা উপত্যকাই বর্তমানে ইসরায়েলের স্থল অভিযানের মূল কেন্দ্র হলেও, ইসরায়েল একযোগে সিরিয়া, লেবানন, পশ্চিম তীর ও ইয়েমেনেও সামরিক তৎপরতা চালাচ্ছে।

অন্যদিকে, এই যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের বিপর্যয় আরও ভয়াবহ। ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রায় ১,৯২,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত বা আহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। নিখোঁজ রয়েছেন ১০,০০০-এরও বেশি মানুষ এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন ফিলিস্তিনি।

গত ১৮ বছর ধরে গাজা ইসরায়েলি অবরোধের মধ্যে থাকলেও ২০২৩ সালের যুদ্ধ পরিস্থিতি অঞ্চলটিকে মানবিক ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য ও আশ্রয়ের মৌলিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত হয়ে পড়েছে প্রায় ২.৪ মিলিয়ন জনগণ।