০৪:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তি হিসেবে এলেন ইলন মাস্ক

বর্তমান বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের, টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও স্পেসএক্স প্রধান ইলন মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। শনিবার (৫ জুলাই) নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, নতুন দলের নাম “আমেরিকা পার্টি”, যা রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট—এই দুই প্রভাবশালী দলের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।

কয়েক সপ্তাহ আগেই সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধে জড়িয়ে পড়েছিলেন ইলন মাস্ক। ট্রাম্প প্রশাসনের বাজেট পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। সেই বিরোধ থেকেই নতুন দল গঠনের চিন্তা শুরু হয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। মাস্ক বলেন, “আমরা আসলে একদলীয় শাসনের মধ্যেই বাস করছি, যেখানে অপচয় আর দুর্নীতির মধ্য দিয়ে দেশকে দেউলিয়া করে দেওয়া হচ্ছে।”

নিজের পোস্টে মাস্ক আরও বলেন, “আজ ‘আমেরিকা পার্টি’ গঠিত হলো, আপনাদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে।” যদিও দলটি এখনো যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন কমিশনে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মাস্ক দলের নেতৃত্ব, কাঠামো বা আদর্শিক অবস্থান নিয়েও বিস্তারিত কিছু জানাননি।

নতুন দল গঠনের আগে মাস্ক এক্সে একটি জরিপ চালান, যেখানে তিনি প্রশ্ন করেন, যুক্তরাষ্ট্রে কি নতুন রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন আছে? সেই জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই নতুন দলের পক্ষে মত দেন। মাস্ক শনিবারের ঘোষণায় লেখেন, “২:১ ব্যবধানে মানুষ একটি নতুন রাজনৈতিক দল চায়। এবং তারা সেটা পেতে যাচ্ছে।”

২০২৪ সালের নির্বাচনের সময় মাস্ক ছিলেন ট্রাম্পের একজন বড় অর্থনৈতিক সমর্থক। তিনি ট্রাম্পকে পুনঃনির্বাচিত করতে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেন। নির্বাচনের পর মাস্ককে সরকারের নতুন একটি বিভাগ—ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডিওজিই)-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়, যার কাজ ছিল বাজেটে কাটছাঁট চিহ্নিত করা।

তবে মে মাসে মাস্ক প্রশাসন থেকে বেরিয়ে আসেন এবং ট্রাম্পের বাজেট পরিকল্পনার সমালোচনা শুরু করেন। এই পরিকল্পনাটি—যা “বিগ বিউটিফুল বিল” নামে পরিচিত—যুক্তরাষ্ট্রের ঘাটতি প্রায় ৩ ট্রিলিয়ন ডলার বাড়িয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কংগ্রেসে অল্প ব্যবধানে পাস হওয়া এই আইনে রয়েছে বিলিয়ন ডলারের ব্যয়ের প্রতিশ্রুতি ও ট্যাক্স হ্রাস।

ট্যাগ

যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তি হিসেবে এলেন ইলন মাস্ক

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:২৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

বর্তমান বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের, টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও স্পেসএক্স প্রধান ইলন মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। শনিবার (৫ জুলাই) নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, নতুন দলের নাম “আমেরিকা পার্টি”, যা রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট—এই দুই প্রভাবশালী দলের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।

কয়েক সপ্তাহ আগেই সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধে জড়িয়ে পড়েছিলেন ইলন মাস্ক। ট্রাম্প প্রশাসনের বাজেট পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। সেই বিরোধ থেকেই নতুন দল গঠনের চিন্তা শুরু হয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। মাস্ক বলেন, “আমরা আসলে একদলীয় শাসনের মধ্যেই বাস করছি, যেখানে অপচয় আর দুর্নীতির মধ্য দিয়ে দেশকে দেউলিয়া করে দেওয়া হচ্ছে।”

নিজের পোস্টে মাস্ক আরও বলেন, “আজ ‘আমেরিকা পার্টি’ গঠিত হলো, আপনাদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে।” যদিও দলটি এখনো যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন কমিশনে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মাস্ক দলের নেতৃত্ব, কাঠামো বা আদর্শিক অবস্থান নিয়েও বিস্তারিত কিছু জানাননি।

নতুন দল গঠনের আগে মাস্ক এক্সে একটি জরিপ চালান, যেখানে তিনি প্রশ্ন করেন, যুক্তরাষ্ট্রে কি নতুন রাজনৈতিক দলের প্রয়োজন আছে? সেই জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই নতুন দলের পক্ষে মত দেন। মাস্ক শনিবারের ঘোষণায় লেখেন, “২:১ ব্যবধানে মানুষ একটি নতুন রাজনৈতিক দল চায়। এবং তারা সেটা পেতে যাচ্ছে।”

২০২৪ সালের নির্বাচনের সময় মাস্ক ছিলেন ট্রাম্পের একজন বড় অর্থনৈতিক সমর্থক। তিনি ট্রাম্পকে পুনঃনির্বাচিত করতে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেন। নির্বাচনের পর মাস্ককে সরকারের নতুন একটি বিভাগ—ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডিওজিই)-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়, যার কাজ ছিল বাজেটে কাটছাঁট চিহ্নিত করা।

তবে মে মাসে মাস্ক প্রশাসন থেকে বেরিয়ে আসেন এবং ট্রাম্পের বাজেট পরিকল্পনার সমালোচনা শুরু করেন। এই পরিকল্পনাটি—যা “বিগ বিউটিফুল বিল” নামে পরিচিত—যুক্তরাষ্ট্রের ঘাটতি প্রায় ৩ ট্রিলিয়ন ডলার বাড়িয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কংগ্রেসে অল্প ব্যবধানে পাস হওয়া এই আইনে রয়েছে বিলিয়ন ডলারের ব্যয়ের প্রতিশ্রুতি ও ট্যাক্স হ্রাস।