১০:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাত্র ১১ বছর বয়সে স্কুল থেকে পালান কাজল,

মাত্র ১১ বছর বয়সে বোর্ডিং স্কুল থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী কাজল। কারণ একটাই— ঠাকুমার সঙ্গে দেখা করার গভীর আকাঙ্ক্ষা। মুম্বাই থেকে অনেক দূরে থাকলেও ঠাকুমার অসুস্থতার খবরে মন থেমে যায়নি, সাহস করে বন্ধুর সঙ্গে পালানোর পরিকল্পনা নিয়েছিলেন তিনি।

সম্প্রতি ‘দ্য লাল্যানটপ’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাজল এই স্মৃতিময় অভিজ্ঞতার কথা জানান। বলেন, তাঁর পরিবারে নারীদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত দৃঢ়— প্রপিতামহী, ঠাকুমা, মা এবং তিনি একই ছাদের নিচে বেড়ে উঠেছেন। কিন্তু পড়াশোনার জন্য তাকে পাঠানো হয় মহারাষ্ট্রের পঞ্চগনির একটি বোর্ডিং স্কুলে, যা মুম্বাই থেকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টার দূরত্বে।

একদিন স্কুলে থাকাকালীন তিনি জানতে পারেন, তাঁর ঠাকুমার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। পরীক্ষার সময় ছিল, তাই যখন মাকে ফোন করেন, তখন কাজলকে জানানো হয় যে ছুটি না হলে তিনি বাড়ি ফিরতে পারবেন না। ডিসেম্বরে ছুটি হলে আসতে বলা হয়।

কাজল বলেন, “তখন আমার বয়স ছিল ১১। আমার এক বন্ধু ছিল, যে হোস্টেলে মোটেও খুশি ছিল না। আমরা ঠিক করলাম, পালিয়ে মুম্বাই চলে যাব। আমার মামা স্থানীয় গার্জিয়ান ছিলেন। আমি তাকে বললাম, মা বলেছে বাড়ি যেতে, আমাকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ছেড়ে দিতে বললাম।”

কিন্তু বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছানোর আগেই বাধা পড়ে যায়। বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন— এমন সময় কাজলের নানা সেখানে পৌঁছে কান ধরে তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যান স্কুলে।

এই ছোট্ট ঘটনার মধ্যেই কাজল তুলে ধরেন তাঁর শৈশবের গভীর আবেগ ও পারিবারিক বন্ধনের কথা। বলেন, “বোর্ডিং স্কুলে থাকাটা আমাকে জীবনের গভীরতা বুঝতে শিখিয়েছে। অনেক কিছু শিখেছি সেই সময় থেকে।”

তাই আজও বোর্ডিং স্কুলের পক্ষেই মত দেন এই অভিনেত্রী। জানান, তাঁর মেয়ে নাইসাকে সেখানে পাঠিয়েছিলেন এবং এখন ছেলেও একই অভিজ্ঞতা পাক, তা চান তিনি। “আমি বোর্ডিং স্কুল পছন্দ করি। নাইসাকে পাঠিয়েছিলাম। এখন যুগকেও পাঠানোর কথা ভাবছি,”— বলেন কাজল।

এই শৈশবের স্মৃতিচারণে কাজলের অনুরাগীরা পেয়েছেন এক নতুন রূপ। মায়ের প্রতি ভালোবাসার কথা অনেকেই জানতেন, তবে ঠাকুমার জন্য একাদশী বয়সে এতটা সাহসী উদ্যোগ হয়তো অনেকের অজানাই ছিল। কাজলের গল্পটি তাই হয়ে উঠেছে সাহস, ভালোবাসা আর শৈশবের স্মৃতির এক মনোমুগ্ধকর উপাখ্যান।

ট্যাগ

মাত্র ১১ বছর বয়সে স্কুল থেকে পালান কাজল,

প্রকাশিত হয়েছে: ০৮:২৪:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

মাত্র ১১ বছর বয়সে বোর্ডিং স্কুল থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী কাজল। কারণ একটাই— ঠাকুমার সঙ্গে দেখা করার গভীর আকাঙ্ক্ষা। মুম্বাই থেকে অনেক দূরে থাকলেও ঠাকুমার অসুস্থতার খবরে মন থেমে যায়নি, সাহস করে বন্ধুর সঙ্গে পালানোর পরিকল্পনা নিয়েছিলেন তিনি।

সম্প্রতি ‘দ্য লাল্যানটপ’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাজল এই স্মৃতিময় অভিজ্ঞতার কথা জানান। বলেন, তাঁর পরিবারে নারীদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত দৃঢ়— প্রপিতামহী, ঠাকুমা, মা এবং তিনি একই ছাদের নিচে বেড়ে উঠেছেন। কিন্তু পড়াশোনার জন্য তাকে পাঠানো হয় মহারাষ্ট্রের পঞ্চগনির একটি বোর্ডিং স্কুলে, যা মুম্বাই থেকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টার দূরত্বে।

একদিন স্কুলে থাকাকালীন তিনি জানতে পারেন, তাঁর ঠাকুমার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। পরীক্ষার সময় ছিল, তাই যখন মাকে ফোন করেন, তখন কাজলকে জানানো হয় যে ছুটি না হলে তিনি বাড়ি ফিরতে পারবেন না। ডিসেম্বরে ছুটি হলে আসতে বলা হয়।

কাজল বলেন, “তখন আমার বয়স ছিল ১১। আমার এক বন্ধু ছিল, যে হোস্টেলে মোটেও খুশি ছিল না। আমরা ঠিক করলাম, পালিয়ে মুম্বাই চলে যাব। আমার মামা স্থানীয় গার্জিয়ান ছিলেন। আমি তাকে বললাম, মা বলেছে বাড়ি যেতে, আমাকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ছেড়ে দিতে বললাম।”

কিন্তু বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছানোর আগেই বাধা পড়ে যায়। বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন— এমন সময় কাজলের নানা সেখানে পৌঁছে কান ধরে তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যান স্কুলে।

এই ছোট্ট ঘটনার মধ্যেই কাজল তুলে ধরেন তাঁর শৈশবের গভীর আবেগ ও পারিবারিক বন্ধনের কথা। বলেন, “বোর্ডিং স্কুলে থাকাটা আমাকে জীবনের গভীরতা বুঝতে শিখিয়েছে। অনেক কিছু শিখেছি সেই সময় থেকে।”

তাই আজও বোর্ডিং স্কুলের পক্ষেই মত দেন এই অভিনেত্রী। জানান, তাঁর মেয়ে নাইসাকে সেখানে পাঠিয়েছিলেন এবং এখন ছেলেও একই অভিজ্ঞতা পাক, তা চান তিনি। “আমি বোর্ডিং স্কুল পছন্দ করি। নাইসাকে পাঠিয়েছিলাম। এখন যুগকেও পাঠানোর কথা ভাবছি,”— বলেন কাজল।

এই শৈশবের স্মৃতিচারণে কাজলের অনুরাগীরা পেয়েছেন এক নতুন রূপ। মায়ের প্রতি ভালোবাসার কথা অনেকেই জানতেন, তবে ঠাকুমার জন্য একাদশী বয়সে এতটা সাহসী উদ্যোগ হয়তো অনেকের অজানাই ছিল। কাজলের গল্পটি তাই হয়ে উঠেছে সাহস, ভালোবাসা আর শৈশবের স্মৃতির এক মনোমুগ্ধকর উপাখ্যান।