১২:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্পের শান্তি প্রচেষ্টার স্বীকৃতি, মনোনয়ন পাঠাল ইসলামাবাদ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করায় পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে ধন্যবাদ জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভিট এই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ক্যারোলিন লিভিট বলেন, “নোবেল পুরস্কারের জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে মনোনীত করায় পাকিস্তান সেনাপ্রধানকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সম্ভাব্য পারমাণবিক যুদ্ধ ঠেকাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সময়োচিত কূটনৈতিক হস্তক্ষেপের স্বীকৃতিস্বরূপ এই মনোনয়ন এসেছে।”

চলতি বছরের ৭ মে ভারতের জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে জঙ্গি হামলায় ২৫ জন ভারতীয় নাগরিক নিহত হন। ওই ঘটনার পরপরই ভারত নিয়ন্ত্রিত সীমান্তে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লেট ও জেমের ঘাঁটিতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে অভিযান চালায় ভারত। পাল্টা জবাবে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’ নামে বিমান হামলা চালায় ভারতের সামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর।

এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে দুই দেশ সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কূটনৈতিকভাবে হস্তক্ষেপ করেন। দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ে আলাদা আলোচনার মাধ্যমে তিনি যুদ্ধবিরতির পথে রাজি করাতে সক্ষম হন।

এরই ধারাবাহিকতায় গত জুনে ট্রাম্পের আমন্ত্রণে হোয়াইট হাউসে যান পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির। সেখানে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক ও মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন তিনি। দেশে ফিরে আসার পর গণমাধ্যমে তিনি বলেন, “বিশ্ব শান্তিতে ট্রাম্পের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁর নোবেল পুরস্কার প্রাপ্য।”

পাকিস্তান সরকার পরবর্তীতে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের মনোনয়নে লিখিতভাবে সুপারিশ পাঠায় নরওয়ের নোবেল কমিটির কাছে। সেই প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে হোয়াইট হাউস থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।

হোয়াইট হাউসের বক্তব্য অনুযায়ী, এই মনোনয়ন বিশ্ব রাজনীতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শান্তিকামী ভূমিকার একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

ট্রাম্পের শান্তি প্রচেষ্টার স্বীকৃতি, মনোনয়ন পাঠাল ইসলামাবাদ

প্রকাশিত হয়েছে: ০২:৩১:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করায় পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে ধন্যবাদ জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভিট এই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ক্যারোলিন লিভিট বলেন, “নোবেল পুরস্কারের জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে মনোনীত করায় পাকিস্তান সেনাপ্রধানকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সম্ভাব্য পারমাণবিক যুদ্ধ ঠেকাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সময়োচিত কূটনৈতিক হস্তক্ষেপের স্বীকৃতিস্বরূপ এই মনোনয়ন এসেছে।”

চলতি বছরের ৭ মে ভারতের জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে জঙ্গি হামলায় ২৫ জন ভারতীয় নাগরিক নিহত হন। ওই ঘটনার পরপরই ভারত নিয়ন্ত্রিত সীমান্তে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লেট ও জেমের ঘাঁটিতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে অভিযান চালায় ভারত। পাল্টা জবাবে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’ নামে বিমান হামলা চালায় ভারতের সামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর।

এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে দুই দেশ সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কূটনৈতিকভাবে হস্তক্ষেপ করেন। দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ে আলাদা আলোচনার মাধ্যমে তিনি যুদ্ধবিরতির পথে রাজি করাতে সক্ষম হন।

এরই ধারাবাহিকতায় গত জুনে ট্রাম্পের আমন্ত্রণে হোয়াইট হাউসে যান পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির। সেখানে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক ও মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন তিনি। দেশে ফিরে আসার পর গণমাধ্যমে তিনি বলেন, “বিশ্ব শান্তিতে ট্রাম্পের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁর নোবেল পুরস্কার প্রাপ্য।”

পাকিস্তান সরকার পরবর্তীতে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের মনোনয়নে লিখিতভাবে সুপারিশ পাঠায় নরওয়ের নোবেল কমিটির কাছে। সেই প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে হোয়াইট হাউস থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।

হোয়াইট হাউসের বক্তব্য অনুযায়ী, এই মনোনয়ন বিশ্ব রাজনীতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শান্তিকামী ভূমিকার একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।