০৪:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশকে ৩৫% শুল্কের চিঠি-চুক্তি না হলে কার্যকর ১ আগস্ট

সোমবার দেওয়া ঘোষণায় ট্রাম্প জানান, ১ আগস্ট ২০২৫ থেকে এই শুল্ক কার্যকর হবে যদি তার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনও বাণিজ্য চুক্তিতে না পৌঁছায়।

ট্রাম্প তার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ এ সংক্রান্ত চিঠি প্রকাশ করেছেন। এই চিঠি পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। চিঠিতে জানানো হয়, ৩৫ শতাংশ শুল্ক বর্তমান খাতভিত্তিক শুল্কের অতিরিক্ত হিসেবে প্রযোজ্য হবে এবং ট্রান্সশিপমেন্টের ক্ষেত্রেও এটি কার্যকর হবে।

চিঠিতে ট্রাম্প লিখেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি অস্বাভাবিক। তা দূর করতে শুল্ক আরোপের বিকল্প নেই।” তবে তিনি এ-ও বলেন, “যদি বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য উৎপাদনে আগ্রহ দেখায়, তবে এই শুল্ক আরোপ করা হবে না।”

শুধু বাংলাদেশ নয়, একই সঙ্গে আরও ১৩টি দেশের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের ওপর ২৫ শতাংশ, মিয়ানমার ও লাওসের ওপর ৪০ শতাংশ, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার ওপর ৩৬ শতাংশ, সার্বিয়া ও বাংলাদেশের ওপর ৩৫ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ওপর ৩২ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর ৩০ শতাংশ এবং মালয়েশিয়া ও তিউনিসিয়ার ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে বলে জানানো হয়।

ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, এসব শুল্কের মূল উদ্দেশ্য হলো আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি মেটানো এবং দেশীয় উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বাড়ানো। তবে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, এ সিদ্ধান্তে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা বাড়বে এবং পণ্যের দামও বেড়ে যাবে।

বাংলাদেশ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে আলোচনার জন্য একটি প্রতিনিধিদল ওয়াশিংটনে পাঠিয়েছে। তবে চূড়ান্ত চুক্তি হওয়ার আগেই নতুন এই শুল্ক ঘোষণা বাড়তি উদ্বেগ তৈরি করেছে।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

বাংলাদেশকে ৩৫% শুল্কের চিঠি-চুক্তি না হলে কার্যকর ১ আগস্ট

প্রকাশিত হয়েছে: ১১:৪৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫

সোমবার দেওয়া ঘোষণায় ট্রাম্প জানান, ১ আগস্ট ২০২৫ থেকে এই শুল্ক কার্যকর হবে যদি তার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনও বাণিজ্য চুক্তিতে না পৌঁছায়।

ট্রাম্প তার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ এ সংক্রান্ত চিঠি প্রকাশ করেছেন। এই চিঠি পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। চিঠিতে জানানো হয়, ৩৫ শতাংশ শুল্ক বর্তমান খাতভিত্তিক শুল্কের অতিরিক্ত হিসেবে প্রযোজ্য হবে এবং ট্রান্সশিপমেন্টের ক্ষেত্রেও এটি কার্যকর হবে।

চিঠিতে ট্রাম্প লিখেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি অস্বাভাবিক। তা দূর করতে শুল্ক আরোপের বিকল্প নেই।” তবে তিনি এ-ও বলেন, “যদি বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য উৎপাদনে আগ্রহ দেখায়, তবে এই শুল্ক আরোপ করা হবে না।”

শুধু বাংলাদেশ নয়, একই সঙ্গে আরও ১৩টি দেশের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের ওপর ২৫ শতাংশ, মিয়ানমার ও লাওসের ওপর ৪০ শতাংশ, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার ওপর ৩৬ শতাংশ, সার্বিয়া ও বাংলাদেশের ওপর ৩৫ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ওপর ৩২ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর ৩০ শতাংশ এবং মালয়েশিয়া ও তিউনিসিয়ার ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে বলে জানানো হয়।

ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, এসব শুল্কের মূল উদ্দেশ্য হলো আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি মেটানো এবং দেশীয় উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বাড়ানো। তবে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, এ সিদ্ধান্তে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা বাড়বে এবং পণ্যের দামও বেড়ে যাবে।

বাংলাদেশ ইতিমধ্যে এ বিষয়ে আলোচনার জন্য একটি প্রতিনিধিদল ওয়াশিংটনে পাঠিয়েছে। তবে চূড়ান্ত চুক্তি হওয়ার আগেই নতুন এই শুল্ক ঘোষণা বাড়তি উদ্বেগ তৈরি করেছে।