০৪:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রিকস সম্মেলনে ট্রাম্পের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ

ব্রিকস সম্মেলনে ট্রাম্পের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে ‘গুরুতর উদ্বেগ’

রিও ডি জেনেইরোতে অনুষ্ঠিতব্য ব্রিকস সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একতরফা ও ‘নির্বিচার’ বাণিজ্যিক শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে যাচ্ছে জোটভুক্ত দেশগুলো। শনিবার সংবাদমাধ্যম এএফপির হাতে আসা এক খসড়া ঘোষণাপত্রে জানানো হয়, ব্রিকস নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে “অবৈধ” এবং “বিশ্ব অর্থনীতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ” বলে অভিহিত করবেন।

ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার অন্তর্ভুক্ত এই জোট দীর্ঘদিন ধরেই বহুপাক্ষিক ও ন্যায্য বাণিজ্য ব্যবস্থার পক্ষে অবস্থান নিয়ে আসছে। এবারের সম্মেলনে তারা স্পষ্টভাবে বলবে, যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা শুল্ক আরোপ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থার (WTO) নিয়মনীতির লঙ্ঘন এবং এর ফলে বৈশ্বিক বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৮ সাল থেকে শুরু হওয়া ট্রাম্প প্রশাসনের ‘আমেরিকা-ফার্স্ট’ নীতি ও শুল্ক আরোপ বিশ্ববাণিজ্যের ভারসাম্য নষ্ট করছে। চীন ও ভারতের পণ্য আমদানিতে উচ্চ শুল্ক চাপিয়ে এই দেশগুলোর রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষিপণ্যও ক্ষতির মুখে পড়েছে।

ব্রিকস নেতাদের মতে, এই নীতি উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রবৃদ্ধিকে হুমকির মুখে ফেলছে এবং দারিদ্র্য বিমোচন ও শিল্পোন্নয়নের মতো দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য পূরণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

ব্রিকস সম্মেলনের মাধ্যমে এক ধরনের কূটনৈতিক বার্তাও দেওয়া হচ্ছে—যেখানে উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো যৌথভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাববলয়ের বাইরে একটি বিকল্প বাণিজ্য কাঠামোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরছে।

সম্মেলনে সম্ভাব্য ঘোষণা অনুযায়ী, ব্রিকস দেশগুলো ভবিষ্যতে একে অপরের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে একমত হয়েছে, যাতে পশ্চিমা শুল্কনীতির নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলা করা যায়।

এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবে মার্কিন বাণিজ্য দপ্তর জানিয়েছে, শুল্ক আরোপ ‘জাতীয় স্বার্থে’ করা হচ্ছে এবং তা ‘ন্যায্য প্রতিদান নিশ্চিতের’ কৌশলের অংশ।

ব্রিকস নেতারা একমত যে, ট্রাম্পের এই শুল্কনীতি শুধু অর্থনৈতিক বিপর্যয় নয়, বরং আন্তর্জাতিক নিয়ম-শৃঙ্খলার জন্যও একটি চ্যালেঞ্জ।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ব্রিকস সম্মেলনে ট্রাম্পের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ

প্রকাশিত হয়েছে: ১২:৫৮:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫

ব্রিকস সম্মেলনে ট্রাম্পের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে ‘গুরুতর উদ্বেগ’

রিও ডি জেনেইরোতে অনুষ্ঠিতব্য ব্রিকস সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একতরফা ও ‘নির্বিচার’ বাণিজ্যিক শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে যাচ্ছে জোটভুক্ত দেশগুলো। শনিবার সংবাদমাধ্যম এএফপির হাতে আসা এক খসড়া ঘোষণাপত্রে জানানো হয়, ব্রিকস নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে “অবৈধ” এবং “বিশ্ব অর্থনীতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ” বলে অভিহিত করবেন।

ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার অন্তর্ভুক্ত এই জোট দীর্ঘদিন ধরেই বহুপাক্ষিক ও ন্যায্য বাণিজ্য ব্যবস্থার পক্ষে অবস্থান নিয়ে আসছে। এবারের সম্মেলনে তারা স্পষ্টভাবে বলবে, যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা শুল্ক আরোপ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থার (WTO) নিয়মনীতির লঙ্ঘন এবং এর ফলে বৈশ্বিক বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৮ সাল থেকে শুরু হওয়া ট্রাম্প প্রশাসনের ‘আমেরিকা-ফার্স্ট’ নীতি ও শুল্ক আরোপ বিশ্ববাণিজ্যের ভারসাম্য নষ্ট করছে। চীন ও ভারতের পণ্য আমদানিতে উচ্চ শুল্ক চাপিয়ে এই দেশগুলোর রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষিপণ্যও ক্ষতির মুখে পড়েছে।

ব্রিকস নেতাদের মতে, এই নীতি উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রবৃদ্ধিকে হুমকির মুখে ফেলছে এবং দারিদ্র্য বিমোচন ও শিল্পোন্নয়নের মতো দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য পূরণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

ব্রিকস সম্মেলনের মাধ্যমে এক ধরনের কূটনৈতিক বার্তাও দেওয়া হচ্ছে—যেখানে উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো যৌথভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাববলয়ের বাইরে একটি বিকল্প বাণিজ্য কাঠামোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরছে।

সম্মেলনে সম্ভাব্য ঘোষণা অনুযায়ী, ব্রিকস দেশগুলো ভবিষ্যতে একে অপরের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে একমত হয়েছে, যাতে পশ্চিমা শুল্কনীতির নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলা করা যায়।

এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবে মার্কিন বাণিজ্য দপ্তর জানিয়েছে, শুল্ক আরোপ ‘জাতীয় স্বার্থে’ করা হচ্ছে এবং তা ‘ন্যায্য প্রতিদান নিশ্চিতের’ কৌশলের অংশ।

ব্রিকস নেতারা একমত যে, ট্রাম্পের এই শুল্কনীতি শুধু অর্থনৈতিক বিপর্যয় নয়, বরং আন্তর্জাতিক নিয়ম-শৃঙ্খলার জন্যও একটি চ্যালেঞ্জ।