১২:২১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বে HTS, যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী তকমা প্রত্যাহার

যুক্তরাষ্ট্র সরকার সোমবার ঘোষণা করেছে যে, সিরিয়ার ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (HTS)-কে “বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন” (FTO) তালিকা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একসময় আল-কায়েদার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত এই সংগঠনটি বর্তমানে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে এলো, যখন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার উপর থেকে কয়েক দশক ধরে জারি থাকা কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক বিবৃতিতে বলেন, “১৩ মে সিরিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে আমি HTS-এর সন্ত্রাসী তকমা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

HTS একসময় আল-নুসরা ফ্রন্ট নামে পরিচিত ছিল এবং সিরিয়ায় আল-কায়েদার শাখা হিসেবে কাজ করত। ২০১৬ সালে তারা আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় এবং নিজস্ব পরিচয় নিয়ে এগিয়ে যায়। ২০১৭ সালের পর থেকে HTS সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণে রেখে সেখানে একটি বেসামরিক প্রশাসন গঠন করে। যদিও, তাদের বিরুদ্ধে ভিন্নমত দমন, নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।

গত ডিসেম্বরে HTS-এর নেতৃত্বাধীন একটি সামরিক জোট সিরিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়। এর ফলে আসাদ পরিবারের অর্ধশতকের শাসনের অবসান ঘটে। নতুন সরকার গঠনের পর HTS নেতা আহমেদ আল-শারা অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

নতুন সরকার ঘোষণা দিয়েছে, তারা দেশের সমস্ত সশস্ত্র উপদল ভেঙে দেবে এবং একীভূত করে একটি নতুন নিরাপত্তা কাঠামো গড়ে তুলবে। HTS-এর বহু যোদ্ধাকে ইতোমধ্যে এই কাঠামোর অধীনে একীভূত করা হয়েছে। এতে করে ওয়াশিংটন, ইউরোপ এবং এমনকি ইসরাইলও সিরিয়ার সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক গড়ে তোলার আগ্রহ দেখাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, HTS-এর অতীত এবং বর্তমান ভূমিকাকে ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক সমীকরণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।

ট্যাগ

সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বে HTS, যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী তকমা প্রত্যাহার

প্রকাশিত হয়েছে: ১১:২৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্র সরকার সোমবার ঘোষণা করেছে যে, সিরিয়ার ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (HTS)-কে “বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন” (FTO) তালিকা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একসময় আল-কায়েদার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত এই সংগঠনটি বর্তমানে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে এলো, যখন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার উপর থেকে কয়েক দশক ধরে জারি থাকা কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক বিবৃতিতে বলেন, “১৩ মে সিরিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে আমি HTS-এর সন্ত্রাসী তকমা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

HTS একসময় আল-নুসরা ফ্রন্ট নামে পরিচিত ছিল এবং সিরিয়ায় আল-কায়েদার শাখা হিসেবে কাজ করত। ২০১৬ সালে তারা আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় এবং নিজস্ব পরিচয় নিয়ে এগিয়ে যায়। ২০১৭ সালের পর থেকে HTS সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণে রেখে সেখানে একটি বেসামরিক প্রশাসন গঠন করে। যদিও, তাদের বিরুদ্ধে ভিন্নমত দমন, নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।

গত ডিসেম্বরে HTS-এর নেতৃত্বাধীন একটি সামরিক জোট সিরিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়। এর ফলে আসাদ পরিবারের অর্ধশতকের শাসনের অবসান ঘটে। নতুন সরকার গঠনের পর HTS নেতা আহমেদ আল-শারা অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

নতুন সরকার ঘোষণা দিয়েছে, তারা দেশের সমস্ত সশস্ত্র উপদল ভেঙে দেবে এবং একীভূত করে একটি নতুন নিরাপত্তা কাঠামো গড়ে তুলবে। HTS-এর বহু যোদ্ধাকে ইতোমধ্যে এই কাঠামোর অধীনে একীভূত করা হয়েছে। এতে করে ওয়াশিংটন, ইউরোপ এবং এমনকি ইসরাইলও সিরিয়ার সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক গড়ে তোলার আগ্রহ দেখাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, HTS-এর অতীত এবং বর্তমান ভূমিকাকে ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক সমীকরণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।