সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহৃত নাম বা হ্যান্ডেল গোপন করলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রত্যাখ্যাত হতে পারে এবং ভবিষ্যতে ভিসা পাওয়ার যোগ্যতাও হারাতে পারেন আবেদনকারীরা। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক বার্তায় এই সতর্কতা জানানো হয়েছে।
বিশেষ করে এফ-১, এম-১ এবং জে-১ ভিসার জন্য আবেদন করতে আগ্রহী শিক্ষার্থী এবং এক্সচেঞ্জ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে বার্তাটি প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, আবেদনকারীদের ডিএস-১৬০ ফর্মে গত পাঁচ বছরে ব্যবহৃত সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহারকারী নাম (ইউজারনেম/হ্যান্ডেল) নির্ভুলভাবে উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক।
দূতাবাস জানায়, ভিসা আবেদনকারীরা যখন তাদের ডিএস-১৬০ ফর্মে স্বাক্ষর করেন, তখন তারা ঘোষণাও দেন যে ফর্মে প্রদত্ত সমস্ত তথ্য সঠিক ও সত্য। এই তথ্য ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন করলে শুধু ভিসা প্রত্যাখ্যানই নয়, বরং ভবিষ্যতে মার্কিন ভিসার জন্য অযোগ্যতার ঝুঁকিও থেকে যায়।
২০১৯ সাল থেকে বিশ্বের সব দেশের ভিসা আবেদনকারীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহৃত হ্যান্ডেল বা অ্যাকাউন্টের তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক করে যুক্তরাষ্ট্র। এই নীতির আওতায়, মার্কিন নিরাপত্তা সংস্থাগুলো আবেদনকারীদের অনলাইন আচরণ ও কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি নিরূপণ করে থাকে।
এই নিয়ম শুধু শিক্ষার্থী বা বিনিময় কর্মসূচির আবেদনকারীদের জন্যই নয়, পর্যটন, ব্যবসা বা স্থায়ী অভিবাসন ভিসার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। যারা ইচ্ছাকৃতভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের তথ্য গোপন করেন, তাদের ক্ষেত্রে মার্কিন কর্তৃপক্ষ কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।
ভিসা আবেদনকারীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, টিকটকসহ যেসব প্ল্যাটফর্মে গত পাঁচ বছরে অ্যাকাউন্ট ছিল, সেগুলোর নাম যথাযথভাবে দিতে হবে। ভুল বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিলে আইনি জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে এবং আবেদন বাতিল হতে পারে।
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস স্পষ্টভাবে বলেছে, “আপনি যখন DS-160 ফর্মে স্বাক্ষর করেন, তখন আপনি ঘোষণা করেন যে ফর্মে দেওয়া সমস্ত তথ্য সত্য ও যথাযথ। তাই কোনো তথ্য গোপন না করে সততার সঙ্গে আবেদন ফর্ম পূরণ করুন।”
প্রকাশক ও সম্পাদক
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।