০৬:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হুথিদের হামলায় লোহিত সাগরে জাহাজ ডুবি, নিহত ৪

লোহিত সাগরে হুথি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ‘ইটার্নিটি সি’ নামের একটি পণ্যবাহী জাহাজ ডুবে গেছে। ইউরোপীয় নৌ মিশনের তথ্য অনুযায়ী, এই হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন এবং আরও ১৯ জন নাবিক এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। গ্রিসের মালিকানাধীন ও লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী এ জাহাজে মোট ২৫ জন ক্রু ছিলেন, যাদের মধ্যে ২১ জন ফিলিপাইনের, একজন রুশ এবং একজন ভারতীয় নাগরিক।

সোমবার ছোট নৌযান থেকে ছোড়া রকেটচালিত গ্রেনেডে আঘাত হানার পরপরই জাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ধীরে ধীরে ডুবে যায়। হুথিরা দাবি করেছে, জাহাজটি ইসরায়েলের দিকে যাচ্ছিল, তাই এটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, “অনেক জীবিত ক্রুকে অপহরণ করেছে হুথিরা” এবং তাদের নিরাপদ মুক্তি দাবি করেছে।

ঘটনার পরপরই ইউরোপীয় নৌ মিশন ‘অপারেশন অ্যাসপাইডস’ উদ্ধার অভিযান শুরু করে এবং ছয়জন নাবিককে সমুদ্র থেকে জীবিত উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া নাবিকদের মধ্যে পাঁচজন ফিলিপাইনের এবং একজন ভারতীয়। রয়টার্স জানিয়েছে, এদের মধ্যে কয়েকজন ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পানিতে ভেসে ছিলেন।

হুথিদের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, তারা জাহাজে উঠে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটায়। এর আগে রোববার একই ধরনের হামলায় ‘ম্যাজিক সি’ নামের আরও একটি গ্রিক-পরিচালিত জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এতে ২২ জন নাবিককে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়।

২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত হুথিরা প্রায় ৭০টি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে চারটি ডুবে গেছে এবং কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এবং আন্তর্জাতিক মেরিটাইম সংস্থা এসব হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, “এটি আন্তর্জাতিক নৌপথ ও বাণিজ্যিক নিরাপত্তার ওপর সরাসরি হুমকি।” যুক্তরাষ্ট্র হুঁশিয়ারি দিয়েছে, তারা এসব সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালিয়ে যাবে।

আইএমও মহাসচিব আর্সেনিও ডোমিঙ্গুয়েজ বলেন, “এই ধরনের শোচনীয় হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও নৌ চলাচলের স্বাধীনতা লঙ্ঘন করে এবং নিরীহ নাবিক ও উপকূলীয় জনসাধারণকে চরম ঝুঁকির মুখে ফেলে।”

লোহিত সাগরে নিরাপত্তা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতির প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

হুথিদের হামলায় লোহিত সাগরে জাহাজ ডুবি, নিহত ৪

প্রকাশিত হয়েছে: ০৭:০৫:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

লোহিত সাগরে হুথি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ‘ইটার্নিটি সি’ নামের একটি পণ্যবাহী জাহাজ ডুবে গেছে। ইউরোপীয় নৌ মিশনের তথ্য অনুযায়ী, এই হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন এবং আরও ১৯ জন নাবিক এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। গ্রিসের মালিকানাধীন ও লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী এ জাহাজে মোট ২৫ জন ক্রু ছিলেন, যাদের মধ্যে ২১ জন ফিলিপাইনের, একজন রুশ এবং একজন ভারতীয় নাগরিক।

সোমবার ছোট নৌযান থেকে ছোড়া রকেটচালিত গ্রেনেডে আঘাত হানার পরপরই জাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ধীরে ধীরে ডুবে যায়। হুথিরা দাবি করেছে, জাহাজটি ইসরায়েলের দিকে যাচ্ছিল, তাই এটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, “অনেক জীবিত ক্রুকে অপহরণ করেছে হুথিরা” এবং তাদের নিরাপদ মুক্তি দাবি করেছে।

ঘটনার পরপরই ইউরোপীয় নৌ মিশন ‘অপারেশন অ্যাসপাইডস’ উদ্ধার অভিযান শুরু করে এবং ছয়জন নাবিককে সমুদ্র থেকে জীবিত উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া নাবিকদের মধ্যে পাঁচজন ফিলিপাইনের এবং একজন ভারতীয়। রয়টার্স জানিয়েছে, এদের মধ্যে কয়েকজন ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পানিতে ভেসে ছিলেন।

হুথিদের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, তারা জাহাজে উঠে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটায়। এর আগে রোববার একই ধরনের হামলায় ‘ম্যাজিক সি’ নামের আরও একটি গ্রিক-পরিচালিত জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এতে ২২ জন নাবিককে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়।

২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত হুথিরা প্রায় ৭০টি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে চারটি ডুবে গেছে এবং কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এবং আন্তর্জাতিক মেরিটাইম সংস্থা এসব হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছে, “এটি আন্তর্জাতিক নৌপথ ও বাণিজ্যিক নিরাপত্তার ওপর সরাসরি হুমকি।” যুক্তরাষ্ট্র হুঁশিয়ারি দিয়েছে, তারা এসব সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালিয়ে যাবে।

আইএমও মহাসচিব আর্সেনিও ডোমিঙ্গুয়েজ বলেন, “এই ধরনের শোচনীয় হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও নৌ চলাচলের স্বাধীনতা লঙ্ঘন করে এবং নিরীহ নাবিক ও উপকূলীয় জনসাধারণকে চরম ঝুঁকির মুখে ফেলে।”

লোহিত সাগরে নিরাপত্তা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতির প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।