০৬:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“যে ব্যক্তি ধৈর্য ধারণ করে, আল্লাহ তাকে ধৈর্যশীল বানিয়ে দেন।

📿 ইন্নাল্লাহা মা’আ সবিরীন
“নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।” — (সূরা আল-বাকারা ২:১৫৩)

জীবনে এমন সময় আসে, যখন সবকিছু থমকে যায়। চারপাশ ঘিরে ধরে হতাশা, কষ্ট, অজানা ভয়। তখনই মনে রাখা দরকার — ধৈর্যই মুমিনের সবচেয়ে বড় শক্তি। ধৈর্য মানে চুপচাপ সহ্য নয়, বরং আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে কঠিন সময়েও টিকে থাকা।

যদি তুমি ধৈর্য ধরো, আল্লাহ তোমার সঙ্গেই থাকবেন। তিনি তোমার চোখের অশ্রু দেখেন, তোমার অন্তরের যন্ত্রণা জানেন, এবং তাঁর রহমত কখনো বিলম্ব হলেও ভুলে যায় না। হয়তো আজ কিছু হারাও, কিন্তু যদি তুমি “সাবিরীন” অর্থাৎ ধৈর্যশীলদের কাতারে থাকো, তাহলে বিজয় অবশ্যম্ভাবী।

ইসলামী দৃষ্টিকোণে ধৈর্য তিন ভাগে বিভক্ত:

  1. আল্লাহর আদেশ পালনে ধৈর্য – নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত ইত্যাদি।
  2. পাপ থেকে বিরত থাকার ধৈর্য – হারাম থেকে নিজেকে রক্ষা করা।
  3. বিপদ পরীক্ষায় ধৈর্য – কষ্ট, দুঃখ, মৃত্যু, দারিদ্র্য ইত্যাদি সয়েও আল্লাহর প্রতি আস্থা রাখা।

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

“যে ব্যক্তি ধৈর্য ধারণ করে, আল্লাহ তাকে ধৈর্যশীল বানিয়ে দেন। ধৈর্যের চেয়ে উত্তম এবং প্রশস্ত কিছু কাউকে দান করা হয়নি।”
— সহীহ বুখারী, হাদীস: ১৪৬৯

 

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

“যে ব্যক্তি ধৈর্য ধারণ করে, আল্লাহ তাকে ধৈর্যশীল বানিয়ে দেন।

প্রকাশিত হয়েছে: ০৮:২৪:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

📿 ইন্নাল্লাহা মা’আ সবিরীন
“নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।” — (সূরা আল-বাকারা ২:১৫৩)

জীবনে এমন সময় আসে, যখন সবকিছু থমকে যায়। চারপাশ ঘিরে ধরে হতাশা, কষ্ট, অজানা ভয়। তখনই মনে রাখা দরকার — ধৈর্যই মুমিনের সবচেয়ে বড় শক্তি। ধৈর্য মানে চুপচাপ সহ্য নয়, বরং আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে কঠিন সময়েও টিকে থাকা।

যদি তুমি ধৈর্য ধরো, আল্লাহ তোমার সঙ্গেই থাকবেন। তিনি তোমার চোখের অশ্রু দেখেন, তোমার অন্তরের যন্ত্রণা জানেন, এবং তাঁর রহমত কখনো বিলম্ব হলেও ভুলে যায় না। হয়তো আজ কিছু হারাও, কিন্তু যদি তুমি “সাবিরীন” অর্থাৎ ধৈর্যশীলদের কাতারে থাকো, তাহলে বিজয় অবশ্যম্ভাবী।

ইসলামী দৃষ্টিকোণে ধৈর্য তিন ভাগে বিভক্ত:

  1. আল্লাহর আদেশ পালনে ধৈর্য – নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত ইত্যাদি।
  2. পাপ থেকে বিরত থাকার ধৈর্য – হারাম থেকে নিজেকে রক্ষা করা।
  3. বিপদ পরীক্ষায় ধৈর্য – কষ্ট, দুঃখ, মৃত্যু, দারিদ্র্য ইত্যাদি সয়েও আল্লাহর প্রতি আস্থা রাখা।

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

“যে ব্যক্তি ধৈর্য ধারণ করে, আল্লাহ তাকে ধৈর্যশীল বানিয়ে দেন। ধৈর্যের চেয়ে উত্তম এবং প্রশস্ত কিছু কাউকে দান করা হয়নি।”
— সহীহ বুখারী, হাদীস: ১৪৬৯