০৫:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজার পর টার্গেট পশ্চিম তীর: ছিন্নভিন্ন করার ষড়যন্ত্রে ইসরায়েল

ইসরায়েল পশ্চিম তীরে পরিকল্পিতভাবে একটি ছিটমহল–সদৃশ কাঠামো গড়ে তুলছে, যেখানে ফিলিস্তিনিদের বিচ্ছিন্ন ও অবরুদ্ধ করে রাখা হচ্ছে — এমন সতর্কবার্তা দিয়েছেন অ্যাপ্লাইড রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর প্যালেস্টাইন (ARIJ)-এর পরিচালক জাদ ইসহাক। সম্প্রতি আনাদোলু এজেন্সিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “গাজায় যা ঘটছে, তা পশ্চিম তীরে কী ঘটতে চলেছে তারই প্রাকদৃষ্টি।”

“ইসরায়েল এরিয়া সি-তে ফিলিস্তিনিদের জমি বাজেয়াপ্ত করছে, অবকাঠামো গুঁড়িয়ে দিচ্ছে এবং বসতি নির্মাণ বাড়িয়ে দিচ্ছে, যার ফলে বাকি ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলো একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।”

তিনি জানান, পশ্চিম তীরের এরিয়া সি—যা অঞ্চলটির প্রায় ৬০ শতাংশ এলাকা জুড়ে রয়েছে এবং পুরোপুরি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণাধীন—তা এখন পর্যায়ক্রমে দখল করার সুপরিকল্পিত কৌশলের আওতায় পড়ে গেছে। তিনি এ অবস্থাকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন বর্ণবৈষম্য-নির্ভর “ব্যান্টুস্টান” কাঠামোর সঙ্গে তুলনা করেছেন, যেখানে একক ভৌগোলিক কাঠামোর মধ্যে বসবাসকারী মানুষদের মধ্যে জোরপূর্বক বিচ্ছিন্নতা তৈরি করা হয়েছিল।

১৯৯৫ সালের অসলো চুক্তি অনুযায়ী পশ্চিম তীরকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়:

এরিয়া এ: ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে

এরিয়া বি: যৌথ নিয়ন্ত্রণ

এরিয়া সি: পুরোপুরি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে

এই এরিয়া সি-তেই সবচেয়ে বেশি বসতি নির্মাণ, অবকাঠামো ধ্বংস ও ভূমি দখল হচ্ছে।
ইসহাক স্পষ্টভাবে জানান, যদি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরায়েলের এই তৎপরতায় দৃঢ় হস্তক্ষেপ না করে, তবে পশ্চিম তীরে এমন এক ‘ছিন্নভিন্ন ও অকার্যকর’ ভূখণ্ড তৈরি হবে, যেখানে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের আর কোনো ভিত্তিই থাকবে না।

ট্যাগ

গাজার পর টার্গেট পশ্চিম তীর: ছিন্নভিন্ন করার ষড়যন্ত্রে ইসরায়েল

প্রকাশিত হয়েছে: ০৮:১৮:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

ইসরায়েল পশ্চিম তীরে পরিকল্পিতভাবে একটি ছিটমহল–সদৃশ কাঠামো গড়ে তুলছে, যেখানে ফিলিস্তিনিদের বিচ্ছিন্ন ও অবরুদ্ধ করে রাখা হচ্ছে — এমন সতর্কবার্তা দিয়েছেন অ্যাপ্লাইড রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর প্যালেস্টাইন (ARIJ)-এর পরিচালক জাদ ইসহাক। সম্প্রতি আনাদোলু এজেন্সিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “গাজায় যা ঘটছে, তা পশ্চিম তীরে কী ঘটতে চলেছে তারই প্রাকদৃষ্টি।”

“ইসরায়েল এরিয়া সি-তে ফিলিস্তিনিদের জমি বাজেয়াপ্ত করছে, অবকাঠামো গুঁড়িয়ে দিচ্ছে এবং বসতি নির্মাণ বাড়িয়ে দিচ্ছে, যার ফলে বাকি ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলো একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।”

তিনি জানান, পশ্চিম তীরের এরিয়া সি—যা অঞ্চলটির প্রায় ৬০ শতাংশ এলাকা জুড়ে রয়েছে এবং পুরোপুরি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণাধীন—তা এখন পর্যায়ক্রমে দখল করার সুপরিকল্পিত কৌশলের আওতায় পড়ে গেছে। তিনি এ অবস্থাকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন বর্ণবৈষম্য-নির্ভর “ব্যান্টুস্টান” কাঠামোর সঙ্গে তুলনা করেছেন, যেখানে একক ভৌগোলিক কাঠামোর মধ্যে বসবাসকারী মানুষদের মধ্যে জোরপূর্বক বিচ্ছিন্নতা তৈরি করা হয়েছিল।

১৯৯৫ সালের অসলো চুক্তি অনুযায়ী পশ্চিম তীরকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়:

এরিয়া এ: ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে

এরিয়া বি: যৌথ নিয়ন্ত্রণ

এরিয়া সি: পুরোপুরি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে

এই এরিয়া সি-তেই সবচেয়ে বেশি বসতি নির্মাণ, অবকাঠামো ধ্বংস ও ভূমি দখল হচ্ছে।
ইসহাক স্পষ্টভাবে জানান, যদি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরায়েলের এই তৎপরতায় দৃঢ় হস্তক্ষেপ না করে, তবে পশ্চিম তীরে এমন এক ‘ছিন্নভিন্ন ও অকার্যকর’ ভূখণ্ড তৈরি হবে, যেখানে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের আর কোনো ভিত্তিই থাকবে না।