০৬:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুইদায় ড্রুজ-বেদুইন সংঘর্ষে নিহত ৩৭, সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চল উত্তপ্ত

দক্ষিণ সিরিয়ার ড্রুজ-সংখ্যাগরিষ্ঠ সুইদা প্রদেশে স্থানীয় ড্রুজ যোদ্ধা ও বেদুইন উপজাতিদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে অন্তত ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার সিরিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। মে মাসের পর এটিই অঞ্চলটির সবচেয়ে প্রাণঘাতী অস্থিরতার ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।

সংঘর্ষের সূত্রপাত একটি সীমান্তবর্তী গ্রামে, যেখানে উভয় পক্ষ আধা-সামরিক অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি হয়। যদিও ড্রুজ ও বেদুইন সম্প্রদায়ের মধ্যে জমি ও সম্পদ নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ বিদ্যমান, এবারের সংঘর্ষ ছিল ব্যতিক্রমী রকমের রক্তক্ষয়ী ও বিস্তৃত।

সংঘর্ষ থামাতে সিরিয়ার সরকার নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। নিহতদের মধ্যে উভয় গোষ্ঠীর যোদ্ধা ছাড়াও বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন, যা সংঘর্ষের ভয়াবহতা আরও স্পষ্ট করে।

সুইদা প্রদেশে ড্রুজ সম্প্রদায় দীর্ঘদিন ধরে আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের দাবি এবং সামাজিক-অর্থনৈতিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে খাদ্য ঘাটতি, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং সরকারি দুর্নীতির অভিযোগে স্থানীয় উত্তেজনা তীব্র হয়েছে।

ড্রুজ সম্প্রদায় সিরিয়ায় একটি ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠী, যাদের আনুমানিক সংখ্যা প্রায় ৭ লাখ। তারা সাধারণত সরকারের সঙ্গে নিরপেক্ষ সম্পর্ক বজায় রাখলেও, নিজেদের রক্ষার্থে স্থানীয় প্রতিরক্ষা গোষ্ঠী গঠন করেছে। অন্যদিকে, বেদুইনরা মূলত ভ্রাম্যমাণ পশুপালক এবং বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্রীয় বা সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত থেকেছে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই ঘটনা কেবল উপজাতিগত দ্বন্দ্ব নয়—এটি সিরিয়ার দীর্ঘস্থায়ী সংকট, রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণহীনতা, এবং অস্ত্রের সহজলভ্যতা-র পরিণতিতে সৃষ্ট এক জটিল পরিস্থিতির প্রতিফলন। সীমান্ত এলাকায় রাষ্ট্রের দুর্বল উপস্থিতি, স্থানীয় মিলিশিয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং জনসাধারণের হতাশা একত্রে এ ধরনের সহিংসতা জন্ম দিচ্ছে।

 

ট্যাগ

সুইদায় ড্রুজ-বেদুইন সংঘর্ষে নিহত ৩৭, সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চল উত্তপ্ত

প্রকাশিত হয়েছে: ০৯:০৫:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

দক্ষিণ সিরিয়ার ড্রুজ-সংখ্যাগরিষ্ঠ সুইদা প্রদেশে স্থানীয় ড্রুজ যোদ্ধা ও বেদুইন উপজাতিদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে অন্তত ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার সিরিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। মে মাসের পর এটিই অঞ্চলটির সবচেয়ে প্রাণঘাতী অস্থিরতার ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।

সংঘর্ষের সূত্রপাত একটি সীমান্তবর্তী গ্রামে, যেখানে উভয় পক্ষ আধা-সামরিক অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি হয়। যদিও ড্রুজ ও বেদুইন সম্প্রদায়ের মধ্যে জমি ও সম্পদ নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ বিদ্যমান, এবারের সংঘর্ষ ছিল ব্যতিক্রমী রকমের রক্তক্ষয়ী ও বিস্তৃত।

সংঘর্ষ থামাতে সিরিয়ার সরকার নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। নিহতদের মধ্যে উভয় গোষ্ঠীর যোদ্ধা ছাড়াও বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন, যা সংঘর্ষের ভয়াবহতা আরও স্পষ্ট করে।

সুইদা প্রদেশে ড্রুজ সম্প্রদায় দীর্ঘদিন ধরে আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের দাবি এবং সামাজিক-অর্থনৈতিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে খাদ্য ঘাটতি, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং সরকারি দুর্নীতির অভিযোগে স্থানীয় উত্তেজনা তীব্র হয়েছে।

ড্রুজ সম্প্রদায় সিরিয়ায় একটি ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠী, যাদের আনুমানিক সংখ্যা প্রায় ৭ লাখ। তারা সাধারণত সরকারের সঙ্গে নিরপেক্ষ সম্পর্ক বজায় রাখলেও, নিজেদের রক্ষার্থে স্থানীয় প্রতিরক্ষা গোষ্ঠী গঠন করেছে। অন্যদিকে, বেদুইনরা মূলত ভ্রাম্যমাণ পশুপালক এবং বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্রীয় বা সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত থেকেছে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই ঘটনা কেবল উপজাতিগত দ্বন্দ্ব নয়—এটি সিরিয়ার দীর্ঘস্থায়ী সংকট, রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণহীনতা, এবং অস্ত্রের সহজলভ্যতা-র পরিণতিতে সৃষ্ট এক জটিল পরিস্থিতির প্রতিফলন। সীমান্ত এলাকায় রাষ্ট্রের দুর্বল উপস্থিতি, স্থানীয় মিলিশিয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং জনসাধারণের হতাশা একত্রে এ ধরনের সহিংসতা জন্ম দিচ্ছে।