বর্তমানে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এক্স (সাবেক টুইটার), লিংকডইনসহ একাধিক জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়াতে সরব উপস্থিতি রয়েছে প্রায় সবারই। এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহারে অনেকেই একটি সাধারণ ভুল করে থাকেন—সব অ্যাকাউন্টে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার। এতে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি বহুগুণে বেড়ে যায়।

একবার কোনো একটি অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড যদি হ্যাকারদের হাতে চলে যায়, তাহলে সেই একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অন্যান্য সোশ্যাল অ্যাকাউন্টেও প্রবেশ করা সম্ভব হয়ে পড়ে। এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত বার্তা, ছবি, ভিডিও ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য খুব সহজেই ফাঁস হয়ে যেতে পারে। এজন্যই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে আলাদা, জটিল এবং নিরাপদ পাসওয়ার্ড ব্যবহারের।

তবে আপনি কীভাবে বুঝবেন আপনার ব্যবহৃত পাসওয়ার্ডটি নিরাপদ রয়েছে কি না? কোনোভাবে সেটি হ্যাকারদের কবলে পড়েছে কি না? এর জন্য রয়েছে চারটি নির্ভরযোগ্য টুল, যেগুলো ব্যবহার করে আপনি জানতে পারবেন আপনার তথ্য ঝুঁকিতে রয়েছে কি না।

🔒 গুগল ক্রোম পাসওয়ার্ড ম্যানেজার

এই টুল গুগল অ্যাকাউন্টে সংরক্ষিত পাসওয়ার্ড বিশ্লেষণ করে জানায় কোনটি দুর্বল, পুনর্ব্যবহৃত বা ফাঁসের সম্ভাবনায় রয়েছে। এটি কোনো সন্দেহজনক তথ্য বা লিক শনাক্ত করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সতর্কবার্তা পাঠায় এবং নিরাপদ পাসওয়ার্ড তৈরির পরামর্শ দেয়।

🛡️ মাইক্রোসফট এজ পাসওয়ার্ড মনিটর

উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের জন্য এই টুল কার্যকর। সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড যদি ডার্ক ওয়েবে ফাঁস হয়ে গিয়ে থাকে, এটি তা শনাক্ত করে সতর্কবার্তা পাঠায়।

🌐 গুগল ডার্ক ওয়েব মনিটরিং

আপনার ইমেইল, ফোন নম্বর কিংবা পাসওয়ার্ড ডার্ক ওয়েবে বিক্রি বা প্রচারিত হচ্ছে কি না, তা জানাতে সাহায্য করে গুগলের এই ফিচার। ফাঁসের ঘটনা ধরা পড়লে তা নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়।

🔍 Have I Been Pwned

এটি একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। এখানে গিয়ে শুধু আপনার ইমেইল আইডি দিয়ে সার্চ করলেই জানা যাবে, সেটি কোনো ডেটা ব্রিচ বা তথ্য ফাঁসের ঘটনায় যুক্ত ছিল কি না। আপনার বর্তমান পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করেও আপনি ঝুঁকি যাচাই করতে পারবেন।

🔐 নিরাপত্তার পরামর্শ

সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্য সুরক্ষায় প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে আলাদা এবং জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত। পাসওয়ার্ডে বড় হাতের ও ছোট হাতের অক্ষর, সংখ্যা এবং বিশেষ চিহ্ন রাখা ভালো। সেইসঙ্গে টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (2FA) চালু রাখলে হ্যাকারেরা পাসওয়ার্ড পেলেও অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারবে না।

তাই দেরি না করে এখনই আপনার সোশ্যাল অ্যাকাউন্টগুলো যাচাই করুন এবং শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ও নিরাপত্তা সেটিংস ব্যবহার করে নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন।