১০:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠতম দোয়া: ‘ইয়া রাব্বি গ্ফিরলি’

“ইয়া রাব্বি গ্ফিরলি” (يا رَبِّ اغْفِرْ لِي) একটি আরবি দোয়া বা প্রার্থনা, যার বাংলা অর্থ হলো:

“হে আমার পালনকর্তা, আমাকে ক্ষমা করুন।”

এটি সংক্ষিপ্ত অথচ অত্যন্ত গভীর একটি প্রার্থনা, যা মুসলমানরা আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনার জন্য ব্যবহার করেন। এটি কোরআন ও হাদিসে বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যায়, বিশেষ করে সালাত (নামাজ)-এর মধ্যে ও দোয়ার সময় পাঠ করা হয়।

মুসলিম জীবনে দোয়া ও প্রার্থনার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিনিয়ত জীবনের প্রতিটি পর্বে মানুষ আল্লাহর নিকট সাহায্য, দয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকে। এ ধরনের একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু গভীর দোয়া হলো “ইয়া রাব্বি গ্ফিরলি” — যার অর্থ “হে আমার পালনকর্তা, আমাকে ক্ষমা করুন।” ছোট্ট এ বাক্যের মাঝে লুকিয়ে আছে এক মুসলমানের আত্মসমর্পণ, অনুতাপ এবং আল্লাহর রহমতের আশাবাদ।

বিশ্লেষণে দেখা যায়, দোয়াটির প্রতিটি শব্দ একটি গভীর অর্থ বহন করে। “ইয়া” অর্থে আহ্বান, “রাব্বি” মানে আমার প্রতিপালক, আর “গ্ফিরলি” অর্থ আমি যেন ক্ষমা পাই। এটি কেবল মুখে উচ্চারণযোগ্য নয়, বরং অন্তরের গভীর থেকে আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়ার একটি সেরা মাধ্যম।

এটি শুধু সাধারণ দোয়ার অংশ নয়, বরং রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনে বারবার উচ্চারিত একটি দোয়া ছিল। সহিহ মুসলিমসহ বিভিন্ন হাদিসে পাওয়া যায়, তিনি সেজদা অবস্থায় দীর্ঘ সময় ধরে এই দোয়া পাঠ করতেন — “ইয়া রাব্বি গ্ফিরলি, ইয়া রাব্বি গ্ফিরলি।” এতে বোঝা যায়, এই সংক্ষিপ্ত বাক্যে কতটা গুরুত্ব নিহিত।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই দোয়া প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায়, নামাজের পরে এবং তাওবার সময়ে নিয়মিত পাঠ করা উচিত। এর মাধ্যমে গুনাহ মাফের পাশাপাশি আত্মশুদ্ধি, মানসিক প্রশান্তি এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জন সম্ভব।

ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ মনে করেন, যারা বেশি সময় নিয়ে দোয়া করতে পারেন না কিংবা নতুন দোয়া মুখস্থ করতে কষ্ট হয়, তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ প্রার্থনা। শুধু মুখে নয়, অন্তর থেকে বারবার এই দোয়া করলে, একজন মুমিন আল্লাহর অপার দয়ার ছায়ায় নিজেকে সঁপে দিতে পারেন।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠতম দোয়া: ‘ইয়া রাব্বি গ্ফিরলি’

প্রকাশিত হয়েছে: ১১:৪৪:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

“ইয়া রাব্বি গ্ফিরলি” (يا رَبِّ اغْفِرْ لِي) একটি আরবি দোয়া বা প্রার্থনা, যার বাংলা অর্থ হলো:

“হে আমার পালনকর্তা, আমাকে ক্ষমা করুন।”

এটি সংক্ষিপ্ত অথচ অত্যন্ত গভীর একটি প্রার্থনা, যা মুসলমানরা আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনার জন্য ব্যবহার করেন। এটি কোরআন ও হাদিসে বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যায়, বিশেষ করে সালাত (নামাজ)-এর মধ্যে ও দোয়ার সময় পাঠ করা হয়।

মুসলিম জীবনে দোয়া ও প্রার্থনার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিনিয়ত জীবনের প্রতিটি পর্বে মানুষ আল্লাহর নিকট সাহায্য, দয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকে। এ ধরনের একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু গভীর দোয়া হলো “ইয়া রাব্বি গ্ফিরলি” — যার অর্থ “হে আমার পালনকর্তা, আমাকে ক্ষমা করুন।” ছোট্ট এ বাক্যের মাঝে লুকিয়ে আছে এক মুসলমানের আত্মসমর্পণ, অনুতাপ এবং আল্লাহর রহমতের আশাবাদ।

বিশ্লেষণে দেখা যায়, দোয়াটির প্রতিটি শব্দ একটি গভীর অর্থ বহন করে। “ইয়া” অর্থে আহ্বান, “রাব্বি” মানে আমার প্রতিপালক, আর “গ্ফিরলি” অর্থ আমি যেন ক্ষমা পাই। এটি কেবল মুখে উচ্চারণযোগ্য নয়, বরং অন্তরের গভীর থেকে আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়ার একটি সেরা মাধ্যম।

এটি শুধু সাধারণ দোয়ার অংশ নয়, বরং রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনে বারবার উচ্চারিত একটি দোয়া ছিল। সহিহ মুসলিমসহ বিভিন্ন হাদিসে পাওয়া যায়, তিনি সেজদা অবস্থায় দীর্ঘ সময় ধরে এই দোয়া পাঠ করতেন — “ইয়া রাব্বি গ্ফিরলি, ইয়া রাব্বি গ্ফিরলি।” এতে বোঝা যায়, এই সংক্ষিপ্ত বাক্যে কতটা গুরুত্ব নিহিত।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই দোয়া প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায়, নামাজের পরে এবং তাওবার সময়ে নিয়মিত পাঠ করা উচিত। এর মাধ্যমে গুনাহ মাফের পাশাপাশি আত্মশুদ্ধি, মানসিক প্রশান্তি এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জন সম্ভব।

ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ মনে করেন, যারা বেশি সময় নিয়ে দোয়া করতে পারেন না কিংবা নতুন দোয়া মুখস্থ করতে কষ্ট হয়, তাদের জন্য এটি একটি আদর্শ প্রার্থনা। শুধু মুখে নয়, অন্তর থেকে বারবার এই দোয়া করলে, একজন মুমিন আল্লাহর অপার দয়ার ছায়ায় নিজেকে সঁপে দিতে পারেন।