নোয়াখালী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাবের আহমেদ সরাসরি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে তারা সরকারি কোনো দপ্তরে হস্তক্ষেপ করেননি। কিন্তু এনসিপির তরুণ নেতাকর্মীরা ‘সমন্বয়কের’ পরিচয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারের (এসপি) অফিসে দাপটের সঙ্গে বসে থাকেন—এমন দৃশ্য জনগণ দেখেছে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেলে নোয়াখালী জেলা শহরে স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং দলটির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সাবের আহমেদ আরও বলেন, “যা হয়েছে, আমরা সহ্য করেছি। কিন্তু সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছেন আপনারা। আজকের পর থেকে যদি কোনো এনসিপি নেতাকে সরকারি অফিসে দালালি, সালিশ বা চাঁদাবাজিতে জড়িত অবস্থায় দেখা যায়, তাহলে পুলিশে দেওয়া হবে না—নিজেদের বিচার নিজেরাই করব।”
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো, সদস্য সচিব হারুনুর রশিদ আজাদ, অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, পিপি অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান মোহাম্মদ নোমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক নেতা জহিরুল ইসলাম তারেক, আবুল কালাম আজাদ, সামছুদ্দিন, নজরুল ইসলাম আদনান, রায়হানসহ ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং যুবদলের বহু নেতাকর্মী।
এদিকে, এনসিপিকে নিয়ে এমন মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলা শাখা। তারা বিষয়টিকে ‘উসকানিমূলক ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মনে করলেও এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে মাঠে-ময়দানে সরব হয়ে উঠছে বিভিন্ন রাজনৈতিক পক্ষ, যা পরবর্তী দিনগুলোতে আরও উত্তপ্ত পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।